কক্সবাংলা ডটকম(২২ জুলাই) :: বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে এমন এক ব্যতিক্রমী দেশ যেখানে গত ৭ বছর গড়ে ৬ শতাংশের বেশি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হয়েছে। আর বিদায়ি অর্থবছরে সরকার প্রবৃদ্ধি গত কয়েক দশকের রেকর্ড ছাড়িয়ে ৭.১১ শতাংশ হবে বলে প্রাক্কলন করেছে। কিন্তু দেশটির সরকারি এই পরিসংখ্যানের সাথে অভ্যন্তরীণ ব্যবসা বাণিজ্য দেশের মানুষের বাস্তব অবস্থার প্রতিফলন কমই দেখা যায়। এ কারণে নিরপেক্ষ অর্থনীতিবিদদের অনেকে সরকারের জাতীয় হিসাবের পরিসংখ্যানের যথার্থতা উপর সন্দেহ প্রকাশ শুরু করেছেন।
সাম্প্রতিক সময়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এবং বাংলাদেশের যেসব সংস্থা অর্থনৈতিক হিসাব নিকাশ তৈরি করে তাদের উপস্থাপিত বিভিন্ন সূচকে নিম্নগতি দেখা যাচ্ছে। ফলে বাংলাদেশ সরকারের দ্বিতীয় মেয়াদের শেষ বছরে এসে বড় ধরনের অর্থনৈতিক সঙ্কটে পড়ার আশঙ্কা জোরালো হতে শুরু করেছে। এখন বাংলাদেশে একদিকে অব্যাহতভাবে রেমিটেন্স আয় কমছে অন্য দিকে রফতানি প্রবৃদ্ধি শূন্যের কোটায় নেমে এসেছে। কিন্তু এর বিপরীতে শেষ মৌসুমে বন্যা ও অন্যান্য আবহাওয়াগত বিপত্তির কারণে ফসলহানি হওয়ায় আমদানি ব্যয় বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর প্রভাবে বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনের চলতি হিসাবে ঘাটতি ক্রমেই বাড়ছে। সার্বিক অর্থনীতিতে এক ধরনের স্থবিরতার কারণে লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে রাজস্ব আহরণে ঘাটতি অনেক বেশি বেড়ে গেছে।
রাজনৈতিক চাপের কারণে নতুন অর্থবছরে বর্ধিত রাজস্ব আহরণের বেশ কটি উদ্যোগ শেষ মুহূর্তে স্থগিত হয়ে যাবার ফলে বাজেট বাস্তবায়ন এবার সরকারের জন্য বড় রকমের চ্যালেঞ্জে পরিণত হতে পারে। একই সাথে বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় হারকে নিয়ন্ত্রণে রাখাও সরকারের জন্য কঠিন হয়ে দাঁড়াতে পারে। ডলারের বিপরীতে বাংলাদেশের টাকা বড় হারে মূল্য হারালে দেশে মূল্যষ্ফীতিও আকস্মিকভাবে বেড়ে যেতে পারে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ১৩ জুলাইয়ের সর্বশেষ রিপোর্ট অনুসারে বৈদেশিক বাণিজ্য ও বৈদেশিক লেনদেনের চলতি হিসাবের ঘাটতি দুটোই বেড়ে যাচ্ছে। একই সাথে কমছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনের চলতি হিসাবে উদ্বৃত্ত ছিল ৩ হাজার ৭০৬ মিলিয়ন ডলার। অথচ সদ্য বিদায়ি ২০১৬ -১৭ অর্থবছরের এপ্রিল নাগাদ ১০ মাসে এই উদ্বৃত্ত উধাও হয়ে ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১০৩ মিলিয়ন ডলার। এ অবস্থা সৃষ্টির মূল কারণ হলো বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের দুই প্রধান খাত রেমিট্যান্স ও রফতানি আয় দুটোরই নেতিবাচক প্রবণতা। সদ্য বিদায়ি অর্থবছরে আগের বছরের তুলনায় রেমিটেন্স সাড়ে ১৪ শতাংশ কমে ১২.৭৭ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে।
২০১৪-১৫ অর্থবছরে সর্বশেষ ৫.৪ শতাংশ ইতিবাচক প্রবৃদ্ধির পর ২০১৫-১৬ প্রবাস আয় কমে গিয়েছিল ২.৫ শতাংশ। এর পর থেকে অধগতির ধারা অব্যাহত রয়েছে। রেমিটেন্সের এই নিম্নগতির জন্য বাংলাদেশের টাকার বিনিময় হারকে কৃত্রিমভাবে ধরে রাখার ভুল মুদ্রানীতি এবং বৈদেশিক কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে অদূরদর্শী পদক্ষেপকে দায়ী করা হচ্ছে। বাংলাদেশের টাকাকে অতিমূল্যায়িত করে রাখার কারণে প্রবাসি শ্রমিকরা ব্যাংকের আনুষ্ঠানিক চ্যানেলে রেমিটেন্স পাঠাতে উৎসাহ বোধ করছেন না।
অন্যদিকে বাংলাদেশের প্রধান শ্রম বাজার মালয়েশিয়া সৌদি আরব, আমিরাতসহ কয়েকটি দেশে জনশক্তি রফতানির অচলাবস্থা কাঠিয়ে উঠার ক্ষেত্রে কোন সাফল্য আসেনি। এসব ক্ষেত্রে যে ঘোষণা বিভিন্ন সময় দেয়া হয়েছিল সেগুলোকে সরকার কার্যকর করতে পারেনি।
রেমিটেন্সের পাশাপাশি বৈদেশিক মুদ্রা আহরণের আরেকটি বড় খাত রফতানির অবস্থাও ক্রমেই অবনতির দিকে যাচ্ছে। অনেক বছরের মধ্যে এবারই প্রথম পোশাক খাতে ঋণাত্বক রফতানি প্রবৃদ্ধি হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে পাওয়া সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুসারে সমাপ্ত অর্থ বছরের সার্বিক রফতানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে মাত্র ১.৭ শতাংশ। আর গেল অর্থবছরের শেষ মাসে ১৫ শতাংশের বেশি রফতানি আয় কমে গেছে। অথচ ২০১৫-১৬ অর্থবছরেও পৌনে ১০ শতাংশ রফতানি প্রবৃদ্ধি হয়েছিল।
এদিকে গত ১২ জুলাই ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাথে ব্রাসেলসে বাংলাদেশি কর্মকর্তাদের সাথে এক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। তাতে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক দায়বদ্ধতা ও মানবাধিকার ইস্যুগুলোও অন্যান্য বিষয়ের পাশাপাশি স্থান পায়। পোশাক শিল্পের কর্মপরিবেশ ও অন্যান্য কমপ্লায়েন্স এর মতো সংবেদনশীল ইস্যুগুলোতে বাংলাদেশের জবাবে ইইউ কর্মকর্তারা সন্তুষ্ট হতে পারেননি। ইইউ কর্তৃপক্ষ পোশাক খাতের কমপ্লায়েন্সের বাস্তবায়ন এবং সার্বিক মানবাধিকার ইস্যুর সাথে জিএসপির সংশ্লিষ্টতা তৈরির জন্য কাজ করছে। এমন আশঙ্কাও উড়িয়ে দেয়া হচ্ছে না যে বাংলাদেশের দেয়া প্রতিশ্রুতিগুলো বাস্তবায়নে অগ্রগতি না হলে জিএসপি সুবিধা সাময়িকভাবে স্থগিত হয়ে যেতে পারে। এটি ঘটলে বাংলাদেশকে বড় রকমের চাপের মধ্যে পড়তে হতে পারে রফতানি খাতে।
বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা খাতে এখন যে সঙ্কট চলছে তার প্রতিফলন বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে দেখা যাচ্ছে। নতুন অর্থবছর শুরুর মাত্র ১২ দিনের ব্যবধানে ৩৩.৪ বিলিয়ন ডলার থেকে রিজার্ভ নেমে এসেছে ৩২.৫ বিলিয়ন ডলারে। রেমিটেন্স ও রফতানি আয় কমার পাশাপাশি খাদ্য শস্য চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় আমদানি ব্যয় বৃদ্ধির ফলে সামনে চাপ আরো বাড়তে পারে। সদ্য বিদায়ী অর্থবছরের ১১ মাসে আমদানি ব্যয় ১১ শতাংশের কাছাকাছি বৃদ্ধি পেয়ে ৪০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। অথচ আগের বছর আমদানি বৃদ্ধির এ হার ছিল এর অর্ধেক।
সামনে যে আমদানি ব্যয় বাড়ার চাপ আরো তীব্র হবে তার লক্ষণ স্পষ্ট হয় নতুন আমদানি এলসি স্থাপনের চিত্রে। বিদায়ী অর্থবছরের ১১ মাসে নতুন আমদানি এলসি বেড়েছে ১৪ শতাংশ আর খাদ্য শষ্যের এলসি ২৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। অথচ আগের বছরের একই সময়ে নতুন এলসি স্থাপনের হার ২ শতাংশ কমে গিয়েছিল। এই প্রবণতায় স্পষ্ট হচ্ছে নতুন অর্থবছরে আমদানি ব্যয়ের চাপ আরো বাড়বে।
এ চাপ বাড়ার সাথে সাথে রিজার্ভ আরো নিম্নগতি পাবে। আর এ অবস্থায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক টাকার বিনিময় হার উর্ধমুখি সংশোধনে বাধ্য হবে। তা না হলে রেমিটেন্স আরো কমবে। অন্যদিকে টাকার দাম কমলে আমদানি পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি জনিত কারণে জনগণের জীবন যাত্রার মান কমবে, সে সাথে মূল্যষ্ফীতিতে বড় ধরনের উল্লম্ফন ঘটতে পারে। যেটি সরকার এতোদিন কঠিনভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করে আসছিল।
বাংলাদেশের মুদ্রা ব্যবস্থাপনায় চাপের পাশাপাশি রাজস্ব ব্যবস্থাপনায়ও চাপ সৃষ্টি হতে পারে। গত ২ বছর অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত উচ্চ হারে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করে আসছেন। কিন্তু লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী বাস্তবে রাজস্ব আদায় না হবার কারণে বিগত বছরের সংশোধিত বাজেটে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ২৫ হাজার কোটি টাকা কমিয়ে ২ লাখ ২৩ হাজার কোটি টাকায় নামিয়ে আনা হয়। শেষ পর্যন্ত একই কমিয়ে আনা লক্ষ্যমাত্রাও অর্জন করা সম্ভব হচ্ছে না। এই ঘাটতির জন্য নতুন অর্থবছরের রাজস্ব বৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা আরো বেড়ে গেছে। এমনিতে নতুন বছরে সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় সাড়ে ৩১ শতাংশ রাজস্ব বাড়ানোর লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে। এই লক্ষ্যমাত্রাই যেখানে অর্জনঅযোগ্য বলে বিবেচিত হচ্ছিল সেখানে এর বেশি আদায়ের কোন সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।
ঢাকার সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের পর্যবেক্ষণ অনুসারে নতুন অর্থবছরের ৪৩ হাজার কোটি থেকে ৫৫ হাজার কোটি টাকা পর্যন্ত রাজস্ব ঘাটতি সৃষ্টি হতে পারে। এবার বর্ধিত রাজস্ব আদায়ের জন্য ১৫ শতাংশ সমন্বিত ভ্যাট ও বিভিন্ন খাতে আবগারি শুল্ক আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছিল। রাজনৈতিক চাপের মুখে শেষ মুুহূর্তে এই পদক্ষেপ স্থগিত করা হয়। সরকারি হিসাব অনুসারে শুধুমাত্র এ কারণে রাজস্ব কম আদায় হবে ২০ হাজার কোটি টাকা। সরকারের শেষ অর্থবছরে উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের চাপ বেশি থাকে আর বিদেশি প্রকল্প সহায়তা অবমুক্ত হয় কম। এ অবস্থায় সরকারকে উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে ঋণ নিতে হবে আরো বেশি।
বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাত ইতিমধ্যে এক ধরনের অনিশ্চিত অবস্থার মুখে রয়েছে। সরকারি ব্যাংকগুলোতে ঋণ জালিয়াতি ও অন্যান্য কারণে যে তহবিল ঘাটতি সৃষ্টি হয়েছে তা পুরণের জন্য বাজেটে ২ হাজার কোটি টাকা সংস্থান রাখা হয়েছে। অথচ এসব ব্যাংকে সুশাসন নিশ্চিত করার পরিবর্তে সরকার প্রশাসনিক ক্ষমতা প্রয়োগ করে ইসলামী ব্যাংকের মতো বাংলাদেশের অত্যন্ত সফল প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির মূল শেয়ার মালিকরা এখন ব্যাংকটির নীতি নির্ধারণে কোন ভূমিকা পালন করতে পারছে না। আর সরকার নিয়ন্ত্রণ গ্রহণের পর দুর্বল ও নিশ্চিতভাবে খেলাপি হয়ে পড়বে এমন প্রকল্পে বিনিয়োগ অস্বাভাবিক হারে বেড়ে গেছে। এছাড়া আরেকটি উদ্বেগজনক দিক হলো নানা ধরনের সুযোগ সুবিধা দেয়ার নীতিগত পদক্ষেপ নিয়েও সার্বিকভাবে ব্যাংকের খেলাপি ঋণ কমানো এখন কঠিন হয়ে পড়েছে।
ফলে দৃশ্যমান পরিসংখ্যানে খেলাপি ঋণহার বেড়ে যাচ্ছে। একই সাথে ব্যাংকের বিনিয়োগ করার মতো লাভজনক খাত কমে আসায় প্রকৃত মুনাফা কমে যাচ্ছে। এর পরও ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহিরা হিসাব নিকাশের মারপ্যাচে ব্যাংকের মুনাফা বেশি দেখাচ্ছে। আর প্রদর্শিত মুনাফার প্রায় অর্ধেক টাকা সরকারের রাজস্ব ভান্ডারে চলে যাবার ফলে ব্যাংকের প্রকৃত মূলধন ভিত্তি দুর্বল হয়ে পড়ছে।
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে গত কয়েক বছর ধরে এক ধরনের ধোয়াশা অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। এবার সরকারিভাবে দাবি করা হচ্ছে জিডিপির ৭.১১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। বিশ্বব্যাংক আইএমএফ বা এডিবি কেউই এর পরিসংখ্যানের সাথে একমত হচ্ছে না। জিডিপি’র হিসাবে যথার্থতা নিয়েই প্রশ্ন উত্থাপন করেছে সিপিডিও। প্রতিষ্ঠানটির বিশেষ ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছেন, বাংলাদেশের ৫০ শতাংশের বেশি সেবা খাত নির্ভর জিডিপিতে প্রকৃত খাতে কোন উৎপাদন না বাড়লেও ৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে। আর অধিকাংশ ক্ষেত্রে সারা বছরের প্রবৃদ্ধির প্রাক্কলন করা হয় ৪ মাসের তথ্য দিয়ে।
বিদায়ী অর্থ বছরের জিডিপির হিসাবে কৃষি খাতে ২.৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে। অথচ খাদ্য উৎপাদনে বিপর্যয়ের কারণে গত ব্যুরো মৌসুমের পর থেকে খাদ্য আমদানি বেড়ে গেছে। আসলেই যে কৃষিতে প্রবৃদ্ধি হয়নি মাঠের বাস্তবতা সেটিই বলছে। অন্য দিকে রফতানি প্রবৃদ্ধি শূন্য এবং কাঁচামাল আমদানি একবারে নিম্ন পর্যায়ে থাকার পরও ম্যানুফ্যাকচারিং খাতে ১১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি দেখানো হয়েছে। হিসাব নিকাশে কারসাজির কারণে বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনীতির সূচক ঝকঝকা তকতকা থাকলেও ভেতরের ফাঁফা অবস্থাটা ক্রমেই স্ফীত হচ্ছে। রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণ শিথিল হলে অর্থনীতির এই ফাঁফা অবস্থা আর আড়াল করা সম্ভব নাও হতে পারে। আর সেটি হলে অর্থনৈতিক মন্দা বা বিপত্তি অনিবার্য হয়ে দেখা দিতে পারে।
Posted ৫:০১ অপরাহ্ণ | শনিবার, ২২ জুলাই ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta