কক্সবাংলা সম্পাদকীয়(১৩ মার্চ) :: দেশে করোনাভাইরাস মহামারি মাঝখানে কিছুটা কমতির দিকে থাকলেও আবারও শনাক্তের হার এবং মৃত্যূ বাড়ছে।
পর্যালোচনায় দেখা যায়, নমুনা পরীক্ষা, শনাক্ত, সুস্থতা ও মৃত্যু-সবগুলো সূচকই ঊর্ধ্বমুখী। আগের সপ্তাহের তুলনায় নমুনা পরীক্ষা বেড়েছে ১৪ দশমিক ৫২ শতাংশ। এর বিপরীতে শনাক্তের হার বেড়েছে ৬৭ দশমিক ২৭ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, শনিবারও এক হাজার ১৪ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন।
এর মধ্যদিয়ে দেশে টানা চতুর্থ দিনের মতো এক হাজারের বেশি ব্যক্তির শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে।
প্রতিবেদনে জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন ১২ জনের মৃত্যুতে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে আট হাজার ৫২৭ জনে। অন্যদিকে মোট শনাক্ত হয়েছেন পাঁচ লাখ ৫৬ হাজার ২৩৬ জন।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এবং এর ফলে মৃত্যুর সংখ্যা দিন দিন উর্ধ্বমুখী থাকলেও দেশের মানুষের মাঝে তেমন কোনো সচেতনতা নেই বলেই আমরা অবাক বিস্ময়ে লক্ষ্য করছি।
এতে আবারও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার শঙ্কা তৈরি হচ্ছে, যা মোটেও কাম্য নয়।
বাংলাদেশ শুরু থেকেই করোনাভাইরাস মোকাবেলায় বিশ্বে অন্যতম রোলমডেল হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
বিশ্বব্যাপী এখনও যখন উন্নত দেশগুলো ভাইরাস মোকাবিলা এবং অর্থনীতিসহ নানা ক্ষেত্র সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে, সেখানে বাংলাদেশ শক্ত হাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে, এখনও করছে।
এটা সরকারের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা এবং দেশের সব শ্রেণির মানুষের সম্মিলিত প্রয়াসে সম্ভব হয়েছে বলে আমরা মনে করি।
তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দেখে এতে আত্মতৃপ্তির কোনো সুযোগ নেই। বৈশ্বিক এ মহামারি নির্মূলে সবার নিয়ম মেনে চলা আগের মতোই বলবৎ রাখতে হবে।
এছাড়া ভ্যাকসিন আসায়ও অনেকটা ঢিলেঢালা ভাব লক্ষ্যণীয়। কিন্তু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে শুরু করে সরকারের যথাযথ পর্যায় থেকে বলা হচ্ছে ভ্যাকসিন আসলেও করোনা নির্মূল হয়ে যায়নি। আমরাও বরাবরের মতো এ কথাটি স্মরণ করিয়ে দিতে চাই।
ভ্যাকসিন নিলেও যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে, মাস্ক পরতে হবে। করোনাভাইরাস নির্মূলে এর কোনো বিকল্প নেই।
Posted ২:৪২ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ১৪ মার্চ ২০২১
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta