কক্সবাংলা ডটকম :: সবুরে মেওয়া ফলে। বহু পুরনো এই প্রবাদ আরও একবার সত্যি প্রমাণিত হলো।
তাড়াহুড়োয় বড় শট খেলতে গিয়ে একের পর এক উইকেট ছুঁড়ে দিয়ে আসছিলেন ব্যাটাররা। তখন শান্ত ভাবে এক প্রান্ত আঁকড়ে দাঁড়িয়েছিলেন তিলক বর্মা।
তাঁর ইনিংসের জন্যই ভারতীয় ক্রিকেটাররা জয়তিলক নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারলেন। নাটকীয় ম্যাচে ২ উইকেটে জয় পেল ভারত। ৭২ রানে অপরাজিত রইলেন তিলক। ম্যাচের সেরা হয়েছেন তিনিই।
টস জিতে প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নেন ভারতীয় ক্যাপ্টেন সূর্যকুমার যাদব। তাঁর সিদ্ধান্তের মর্যাদা দেন বোলাররা। প্রথম ওভারেই মাত্র ৪ রানে ফিল সল্টকে আউট করেন অর্শদীপ সিং।
তিন রানে ফেরেন বেন ডাকেট। এক প্রান্ত আগলে রেখে প্রথম ম্যাচের মতোই লড়াই চালান ক্যাপ্টেন জস বাটলার।
তবে আজ আসেনি হাফ সেঞ্চুরি। ৩০ বলে ৪৫ রান করে আউট হন অক্ষর প্যাটেলের বলে।
বাজ়বল খেলতে গিয়ে তাড়াহুড়োয় উইকেট হারান ইংল্যান্ড ক্রিকেটাররা। অভিষেক ম্যাচে ২২ রান করেন জেমি স্মিথ। আটে নেমে ১৭ বলে ৩১ রান করেন ব্রাইডন কার্স।
২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৬৫ রান তোলে ইংল্যান্ড। ২টি করে উইকেট পেয়েছেন অক্ষর প্যাটেল ও বরুণ চক্রবর্তী।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৯ রানের মধ্যে ২ উইকেট হারিয়ে ধাক্কা খায় ভারত। ৫ রানে ফেরেন সঞ্জু, ১২ করেন অভিষেক। তিনে নেমে এক প্রান্ত ধরে রাখেন তিলক।
তবে সুযোগ পেলে ছয় মারতেও ছাড়েননি। জোফ্রা আর্চারের ১৫০ কিমি গতির বলেও মেরেছেন ছক্কা। তাঁর দাপটেই ৪ ওভারে ৬০ রান দিয়েছেন ইংল্যান্ডের এই পেসার।
তবে বাকি ব্যাটাররা একই ভুল করেন ইংল্যান্ডের মতো। ম্যাচ শেষ করতে গিয়ে উইকেট ছুঁড়ে দিয়ে আসেন। প্রথম বলে চার মারলেও সূর্যকুমার আউট হন ১২ রানে।
ধ্রুব জুরেল ৪, হার্দিক ৭ এবং অক্ষর প্যাটেল ফেরেন ২ রানে। একটা সময়য় ৭৮-৫ ছিল ভারতের স্কোর।
তবে ধৈর্য হারাননি তিলক। জোফ্রা আর্চারের বলে ছয় মেরে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। শেষ ১২ বলে ভারতের দরকার ছিল ১৩ রান। হাতে ২ উইকেট।
এমন অবস্থা থেকে ম্যাচ বের করেন তিলক। শেষ ওভারের দ্বিতীয় বলে চার মেরে ম্যাচ জেতান তিনি।
৫৫ বলে ৭২ রানে অপরাজিত থাকেন। গুরুত্বপূর্ণ দুটি চার মেরে ৯ রানে অপরাজিত থাকেন রবি বিষ্ণোই।
কঠিন পরিস্থিতিতে তিলকের এই ইনিংস সেঞ্চুরির থেকেও কম নয় বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
Posted ১:৪৫ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ২৬ জানুয়ারি ২০২৫
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta