এম আবু হেনা সাগর,ঈদগাঁও(৯ জুন) :: জেলা সদরের গুরুত্ববহ বাণিজ্যিক নগরী ঈদগাঁও বাজারে চলতি রমজানের শুরুতেই যত্রতত্র গাড়িং পাকিং, ফুটপাত সহ সর্বপরি অনিয়মের বিরুদ্ধে অভিযান দাবী করেছেন সচেতন এলাকাবাসী। জানা যায়, দক্ষিণ চট্টলার দ্বিতীয় বাণিজ্যিক কেন্দ্র এ ঈদগাঁও বাজারে যততত্র স্থানে ছেয়ে গেছে ভ্রাম্যমান ফুটপাত কিংবা পালকি দোকান।
পাশাপাশি প্রধান ডিসি সড়ক সহ উপ-সড়ক সমূহে টমটম, অটোরিক্সা, সাধারণ রিক্সা সহ নানান যানবাহন চলাচলের কারণে ব্যবসায়ী, শিক্ষার্থী, রোগী, পথচারী সহ সর্বশ্রেণি পেশার মানুষজনের মহা দূর্ভোগ আর দুগর্তি যেন প্রতিনিয়ত লক্ষনীয়। পাশাপাশি বাজারের সড়ক পেরিয়ে বিভিন্ন শিক্ষাঙ্গনের শিক্ষার্থীরা চলাফেরা করতে সময়ের অপচয় হচ্ছে যানজটের কবলে পড়ে।
এমনকি ঈদগাঁও বাজারে চট্টগ্রাম কিংবা তৎসংলগ্ন পার্শ্ববর্তী স্থান হতে খাদ্যদ্রব্যের মালামালবাহী বড় বড় ট্রাক মালসহ ডিসি সড়কের প্রবেশ করায় ছোট বড় যানবাহন চলাচল করতে না পারায় লেগে যায় যানজট। যার ফলে সাধারণ লোকজন জ্যামে পড়ে ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হয়।
অন্যদিকে বিভিন্ন দোকানে মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য সামগ্রী সহ ভেজাল খাদ্যদ্রব্যের বিরুদ্ধে অভিযান ও দাবী করেন সুশীল সমাজ। এদিকে বেশ কিছুদিন পূর্বে জালালাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সাবেক ছাত্রনেতা ইমরুল হাসান রাশেদের নেতৃত্বে অপরাপর ইউপি সদস্যদের সাথে নিয়ে ঈদগাঁও বাজারের জালালাবাদ অংশে ফুটপাত বিরোধী অভিযান চালায়।
এ নিয়ে অনেকে মাঝে হাঁসির ঝিলিক ফুটে উঠলেও আবার অনেকের মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়াও লক্ষণীয় ছিল। তার পরেও যত্রতত্র স্থানে চেয়ে থাকা ফুটপাত বিরোধী অভিযানের জন্য সাধুবাদ জানান সাধারণ লোকজন।
আহলান-সাহলান মাহে রমজানের মাসের দিকে লক্ষ্য রেখে কিংবা রোজাদারদের কষ্ট থেকে পরিত্রাণ পেতে রমজানের শুরুতেই ঈদগাঁও বাজারে যততত্র স্থানে গাড়ি পাকিং সহ ফুটপাত বিরোধী অভিযানের দাবী জানিয়েছেন সচেতন এলাকাবাসী।
এ ব্যাপারে কয়েকজন পথচারীর সাথে কথা হলে তারা চলতি রমজান মাসে এ ধরনের অভিযান হলে সাধারণ লোকজন একটু হলেও পরিত্রাণ পাবে। অন্যতায় দূর্ভোগ থেকে মুক্তি পাবেনা।
অপর দিকে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীর মতে, বৃহৎ বানিজ্যিক এলাকা ঈদগাঁওতে মাসে অন্তত একবার করে হলেও অভিযান করা একান্ত জরুরী বলে মত প্রকাশ করেন ।
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সচেতন লোকজন জানান, পবিত্র রমজান মাসে যদি বাজারের দক্ষিণ পার্শ্বস্থ ব্রীজের দিকে অস্থায়ী ভাবে গাড়ি পাকিংয়ের স্থান রাখা হয় তাহলে যানজট অনেকটা কমে আসবে।
এদিকে এসব বিষয়ে স্থানীয় জন প্রতিনিধি সহ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ ও কামনা করেন তারা।
Posted ২:১৩ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ১০ জুন ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta