মোঃ রেজাউল করিম, ঈদগাঁও(২৫ আগস্ট) :: কক্সবাজারের ঈদগাঁও বাজারে দূর্বৃত্তদের হামলা ও মারধরের ঘটনায় কক্সবাজার মডেল থানায় ২টি এজাহার দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার দিন রাতেই এজাহার দুটি দাখিল করা হয় বলে একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে। তবে রাতে এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত এজাহার দুটি মামলা হিসেবে এন্ট্রি হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে কয়েক দফে ঈদগাঁও তদন্ত কেন্দ্রে সরেজমিন যোগাযোগ, পুলিশ কর্তাদের সাথে আলাপ, তদন্ত কেন্দ্র ইনচার্জ এবং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)কে ফোন করেও সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি। বিষয়টি নিয়ে পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র ইনচার্জ মো. খায়রুজ্জামানকে ১৫/২০ বার মোবাইলে কল দেয়া হয়। এর মধ্যে একবার রিসিভ করে তিনি এসপি সাহেবের অফিসে আছেন জানিয়ে মোবাইল কেটে দেন।
অন্যদিকে কক্সবাজার মডেল থানার ওসি রনজিত বড়–য়ার কাছে জানতে চাইলে তিনি পরিচয় পেয়ে একটু পরে কথা বলব বলে লাইন কেটে দেন।
অন্যদিকে বিষয়টির ব্যাপারে তদন্ত কেন্দ্র এসআই জাহাঙ্গীর আলমের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করা হলে তিনি এক সপ্তাহ পর স্বাক্ষ্য দিয়ে ঢাকা থেকে গতকাল শুক্রবার এসেছেন বলে জানান। মামলা দায়ের সংক্রান্ত বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় সাংবাদিকগণ দিনভর ধোঁয়াশায় ছিলেন।
এদিকে তদন্ত কেন্দ্র সংশ্লিষ্ট কয়েকটি সূত্রের সাথে যোগাযোগ করে জানা গেছে, উক্ত ঘটনায় কক্সবাজার মডেল থানায় পৃথক দুটি এজাহার দায়ের করা হয়েছে।
একটিতে পুলিশ এবং অন্যটিতে বাজারের ব্যবসায়ীদের পক্ষে ভূক্তভোগী মিজানুর রহমান বাদী হয়েছেন। মামলায় জালালাবাদ চেয়ারম্যান ইমরুল হাসান রাশেদ ও অজ্ঞাতনামাসহ শ’খানেক আসামী করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
অন্যদিকে চৌকিদারদের সরকারী কাজে অসহযোগিতা, মারধর ও লাঞ্চিত করার অভিযোগে বাংলাদেশ গ্রামপুলিশের পক্ষ থেকে হাসপাতাল মালিক মিজানুর রহমানসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধেও অন্য একটি মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে বলে একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।
এদিকে উক্ত ঘটনায় জালালাবাদ যুবলীগ সভাপতি হাসান তারেকের উপর হামলাকারীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে শুক্রবার বিকেলে বাজারে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ হয়েছে। যুবলীগের আহবানে বিকেলে আয়োজিত মিছিলটি বাজারের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়।
সদর যুবলীগ সভাপতি এমদাদুল হক কাদেরীর সভাপতিত্বে উপ-দপ্তর সম্পাদক শাহিদ মোস্তফা শাহিদের সঞ্চালনায় শাপলা চত্বরে অনষ্ঠিত সমাবেশে নেতৃবৃন্দের মধ্যে ছিলেন সদর যুবলীগ নেতা ওসমান সরওয়ার ডিপো, সাংগঠনিক সম্পাদক নাছির উদ্দীন জয়, ঈদগাঁও যুবলীগ নেতা এনাম রনি, যুবলীগ নেতা জয়নাল আবেদীন, আহত যুবলীগ সভাপতি হাসান তারেক ও সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।
তদন্ত কেন্দ্রের শাহজালাল জানান, ঘটনার দিন রাতে ঈদগাঁও তদন্ত কেন্দ্র পুলিশ ও কক্সবাজার পুলিশ লাইন থেকে আসা অতিরিক্ত পুলিশ রাতে জালালাবাদের সওদাগর পাড়া, লরাবাক ও আশপাশ এলাকায় চিরুনী অভিযান চালিয়েও কাকেও গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়নি। এলাকাবাসী জানিয়েছেন ঘটনার পরপর অনেকে গা ঢাকা দিয়েছে।
Posted ১২:১৪ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ২৬ আগস্ট ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta