এম আবু হেনা সাগর,ঈদগাঁও(৯ জুন) :: ঘূর্ণিঝড় মোরা’র প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্থ উপকূলীয় এলাকার প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।
এটি কোন ভাবে ক্ষতি পুষিয়ে উঠিয়ে অসহায় পরিবারের লোকজন এবার নতুনত্বের স্বপ্ন নিয়ে জেলা সদরের বহুল আলোচিত বানিজ্যিক উপ-শহর ঈদগাঁও বাজারের আসন্ন ঈদবাজারের মার্কেট মুখী হচ্ছে। রমজানের শুরুতেই ঈদের কেনাকাটা কিংবা ব্যবসা বানিজ্য তেমন দেখা না গেলেও মধ্য ভাগে ফের জমিয়ে উঠছে ঈদের বাজার।
এই নিয়ে নড়েচড়ে বসছে ব্যবসায়ীরা। ব্যবসায়ীক ভরা মৌসুমকে ঘিরে ইতিমধ্যে বাজার এলাকায় তাদের ব্যবসায়ীক দোকানপাটকে নিত্যনতুন ডিজাইনে সাজিয়ে কিংবা আলোকসজ্জার মাধ্যমে ক্রেতাদের মন জয় করার অপেক্ষায় প্রহর গুনছে।
এমনকি অনেক ব্যবসায়ীরা রমজানের শুরুতেই ঢাকা কিংবা চট্টগ্রাম থেকে নতুন ডিজাইনের মালামাল ক্রয় করে এনে দোকানকে ভরপুর করে তুলছে। সবমিলিয়ে ঈদের কেনাকাটাকে ঘিরে এখন থেকে নানান ধরণের প্রস্তুতি গ্রহণ করছে নতুন ও পুরনো ব্যবসায়ীরা। সরজমিনে দেখা যায়, ঈদগাঁও বাজারের বিভিন্ন মার্কেট আর অলিগলি ঘুরে ব্যবসায়ীরা তাদের দোকানে ব্যবসা-বানিজ্য জমিয়ে তুলার এক বুক স্বপ্ন নিয়ে তারা এগিয়ে যাচ্ছে।
তবে বৃহত্তর ঈদগাঁও তথা ছয় ইউনিয়নের প্রত্যন্ত গ্রামঞ্চল থেকে ক্রেতারা প্রতি বছরের ধারায় এ বছরও ঈদ বাজার জমিয়ে তুলবে বলে আশাবাদী বহু ব্যবসায়ীরা।
অন্যদিকে ঈদগাঁও বাজারে নিউ মার্কেট, রহমানিয়া মার্কেট, মাতবর মার্কেট, বঙ্গ মার্কেট, বেদার মার্কেট, শফি সুপার মার্কেট, তাজ শপিং কমপ্লেক্স, দারুল হেরা মার্কেট, নূর শপিং কমপ্লেক্স সহ বাজারের পশ্চিম গলি খ্যাত ব্যবসায়িক দোকান গুলোতে উল্লেখযোগ্য ক্রেতাদের সমাগম ঘটতেও দেখা যায়।
এদিকে এ বাজারে কাপড় ব্যবসা ছাড়াও সেন্ডেল সহ কসমেটিক্স দোকানে মোটামুটি ক্রেতাদের সংখ্যা বাড়ছে। পাশাপাশি গরীবের মার্কেট খ্যাত বাজারের যত্রতত্র স্থানে ছড়িয়ে ছিড়িয়ে থাকা ফুটপাত ব্যবসায়ীরাও এবার তাদের ব্যবসাকে জমিয়ে তুলার লক্ষ্যে জোর প্রস্তুতি গ্রহণ করছে। সেখানে প্রত্যান্ত গ্রামগঞ্জ থেকে আসা সাধারণ লোকজন অল্প টাকার বিনিময়ে সুন্দর ডিজাইনেবল কাপড় ক্রয় করতে পারে।
এব্যাপারে বাজার এলাকার কয়েক কাপড় ব্যবসায়ীর সাথে কথা হলে তারা এখন থেকে ঈদের কেনাকাটার ক্রেতা ধরে রাখার লক্ষ্যে মালামাল দোকানে ভরপুর করে রেখেছে বলে জানান।
অপরদিকে ফুটপাতের অপর আরেক ব্যবসায়ীর মতে, তারাও কোন ভাবে ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণের লক্ষ্যে ঈদ বাজারের সেই ভরা মৌসুমের অপেক্ষায় রয়েছে বলে জানান।
