শাহিদ মোস্তফা শাহিদ,সদর(২৯ মে) :: প্রলয়ংকরী ঘুর্নিঝড় ’মোরা’ থেকে বাঁচতে ঈদগাঁওর উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ে ছুটছে। আবহাওয়া অফিস থেকে ৭নং সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলার পরও স্থানীয়রা প্রথমে বিষয়টিকে খুব একটা আমলে নেয়নি।
পুনরায় আবহাওয়া অফিস ১০নং মহা বিপদ সংকেতের ঘোষণা দিলে নড়েচড়ে বসে উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষ। তাদের নিরাপদ আশ্রয়স্থলে সরে যেতে স্থানীয় চেয়ারম্যান ও বিভিন্ন ব্যক্তিরা নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
খোঁজ খবর নিয়ে জানা গেছে, সদরের পোকখালীর চেয়ারম্যান রফিক উদ্দীনের নেতৃত্বে জেলা ছাত্রলীগ সাংগঠনিক সম্পাদক এম. ফিরোজ উদ্দীন খোকাসহ অনেকেই পোকখালী, গোমাতলী, পশ্চিম গোমাতলী, বাঁশখালিয়াপাড়া, মাল মুরা পাড়া, গাইট্ট্যা খালি, চরপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় মাইকিং করে নিরাপদ আশ্রয়স্থলে নিয়ে আসছে।
অনুরূপ চৌফলদন্ডীর জনপ্রতিনিধিরাও ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসরত বাসিন্দাদের সরিয়ে নিতে সারাদিন মাইকিং করে আসছিল।
আবহাওয়া হঠাৎ এমন আভাসে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে উপকূলীয় অঞ্চলের লোকজনসহ পাশর্^বর্তী এলাকার মানুষরাও। দেশের কয়েকটি জেলায় হঠাৎ প্রলয়ংকরী ঘুর্ণিঝড় ‘মোরা’ আঘাত হানতে পারে এমন পূর্বাভাসে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে এলাকাবাসী।
জানা গেছে, চৌফলদন্ডী ও পোকখালী ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ বেড়ীবাঁধ ভাঙ্গনের কারণে দূর্ভোগে ছিল। এমতাবস্থায় আবারও ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’র খবর পেয়ে বাধ্য হয়ে নিরাপদ আশ্রয়স্থলে যেতে হচ্ছে।
চৌফলদন্ডীর বাসিন্দা কামাল উদ্দীন জানান, সকাল থেকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৭নং বিপদ সংকেত দেখিয়ে মাইকিং করলেও সন্ধ্যার আগ মুহুর্তে ১০নং বিপদ সংকেতের ঘোষণা দেওয়ায় আতঙ্কিত হয়ে পড়ছে এলাকাবাসী। পর্যাপ্ত আশ্রয়স্থল ও সাইক্লোন সেল্টার না থাকায় অনেকে বেকায়দায় পড়তে পারে।
পোকখালীর বাসিন্দা জেলা ছাত্রলীগ সাংগঠনিক সম্পাদক এম. ফিরোজ উদ্দীন খোকা জানান, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নির্দেশে দূর্যোগ প্রবণ এলাকার মানুষকে সহযোগিতার জন্য মাঠে ময়দানে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
স্থানীয় চেয়ারম্যন রফিক উদ্দীন জানান, প্রশাসনের নির্দেশক্রমে পুরো ইউনিয়নে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার বাসিন্দাদের সরিয়ে আনা হচ্ছে।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম জানান, প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকল ধরণের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
গোমাতলীর বাসিন্দা দেলোয়ার হোছাইন জানান, টেন্ডার হওয়ার পরও রোয়ানুর আঘাতে ক্ষত বিক্ষত বেড়ীবাঁধটি দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় বেশি আতঙ্কিত হয়ে পড়ছে এলাকাবাসী। প্রতিনিয়ত জোয়ার ভাটায় হাবুডুবু খেলেও ‘মোরা’ আঘাত হানার সম্ভাবনা রয়েছে।
Posted ১১:৪১ অপরাহ্ণ | সোমবার, ২৯ মে ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta