মোঃ রেজাউল করিম, ঈদগাঁও(২০ মে) :: কক্সবাজার ঈদগাঁও পান ও তরকারি বাজারের মধ্যবর্তী সড়কে পঁচা আবর্জনার পানিতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন বাজারবাসী। স্থানীয় ড্রেনটি বন্ধ থাকায় মাছ বাজারের পানি এ সড়কে জমা হয়ে জন চলাচল ও ব্যবসা বাণিজ্যে মারাত্মক ব্যাঘাত সৃষ্টি করছে। জনস্বার্থে অবিলম্বে এ জলাবদ্ধতা দূর করতে বাজার কর্তৃপক্ষের প্রতি জোর দাবী জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
সরেজমিন দেখা গেছে, পান ও তরকারি বাজারের মধ্যবর্তী জন চলাচলের সড়কটি মাছ বাজারের পঁচা দূর্গন্ধময় ময়লা পানিতে ভরপুর। সড়কটি জন চলাচল বলতে গেলে একেবারে বন্ধ। নেহায়েত প্রয়োজন না হলে কেউ ঐ স্থান দিয়ে চলাচল করছেন না।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, মাছ বাজারের ব্যবসায়ীরা প্রতিনিয়ত তাদের মাছে পানি ছিটায়। বরফও দেয়। তাই বরফ মিশ্রিত প্রচুর পানি বের হয়ে সোজা ঐ সড়কে এসে জমা হয়। এ সড়কটির পাশেই রয়েছে ঈদগাঁও নদীমুখী একটি ড্রেন। যা ময়লা আবর্জনায় ভরপুর হয়ে দীর্ঘদিন অব্যবহৃত হয়ে আসছে।
ফলে এ সড়কের পানি ঐ ড্রেন দিয়ে নিষ্কাশন হতে না পারায় দিনের পর দিন জমা থাকছে। আর এতে পথচারী ও বাজারবাসীদের দূর্ভোগ বাড়ছে। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা সড়কের জলাবদ্ধতা নিরসন ও পাশর্^বর্তী ড্রেন চালু করতে বাজার ইজারাদারসহ অনেকের কাছে ধরণা দিয়েও কোন ফল পাননি। দেখা গেছে এ রাস্তার একপাশে বসেই কয়েকজন পানের ব্যবসা করছেন।
এদের মধ্যে রয়েছেন আবদুল মজিদ, আবদুল হামিদ, সাধন, ছুরত আলমসহ আরো অনেকে। জানতে চাইলে সড়কের এ অবস্থার জন্য তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে তারা বলেন, মাছ বাজারের ময়লা আবর্জনা ও পুঁতি দূর্গন্ধময় পানিতে তাদের ব্যবসা বন্ধ হওয়ার পথে। তবুও পেটের তাগিদে কোনমতে তারা পানের ব্যবসা চালিয়ে নিচ্ছেন।
তারা জানান, প্রায় সময় সড়কের এ অবস্থা থাকায় আশানুরূপ ক্রেতা পাচ্ছেন না তারা। তাই তাদের ব্যবসায় মন্দা যাচ্ছে। সমস্যাটির ব্যাপারে তারা বাজার ইজারাদার ছৈয়দুল হকের শরণাপন্ন হলে তিনি তাদের কোন সমাধান দিতে পারেননি বলে জানান।
এলাকা ঘুরে আরো দেখা গেছে, উক্ত সড়ক কেন্দ্রিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে পোকখালী পোল্ট্রি এন্ড মুরগী বিতান, মক্কা পোল্ট্রি ফিড এন্ড সেলস সেন্টার, তোহা মুরগী বিতান, সাইফুল স্টোর, নুরুল হক ট্রেডিং, নূরী স্টোর, ফরিদ আহমদ ট্রেডার্সসহ উল্লেখ যোগ্য সংখ্যক পানের দোকান।
দোকানদাররা জানান, এখান থেকে শুরু হয়ে একটি ড্রেন পাশর্^বর্তী ঈদগাঁও নদী পর্যন্ত গিয়ে শেষ হয়েছে। কিন্তু স্থানীয় অধিবাসী, ভাড়াটিয়া ও কতিপয় ব্যবসায়ী ময়লা আবর্জনা ও উচ্ছিষ্ট ফেলে ড্রেনটি ভরে ফেলেছে।
ফলে এ ড্রেন দিয়ে বাজারের পানি নিষ্কাশন হতে পারে না। কিন্তু দীর্ঘদিন এ অবস্থা বিরাজ করলেও উপর্যুক্ত কোন কর্তৃপক্ষই ড্রেন চালু ও জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যকর কোন উদ্যোগ নেয়নি। ফলে তাদেরসহ ঐ এলাকায় আগত সর্বস্তরের জনগণকে দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
Posted ১০:৩৯ অপরাহ্ণ | শনিবার, ২০ মে ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta