মোঃ রেজাউল করিম, ঈদগাঁও(২৫ মে) :: কক্সবাজার ঈদগাঁও বাজারের প্রধান সড়ক ডিসি রোড সংলগ্ন নর্দমার ময়লা-আবর্জনার পানিতে দুষিত হয়ে উঠেছে নবনির্মিত শাপলা চত্বর এলাকা। ব্যবসায়ীদের বাঁধ সৃষ্টি এবং জ্যাম থাকার কারণে ড্রেনের পানি নিষ্কাশন হতে না পেরে এ বেহাল অবস্থার সৃষ্টি বলে ভূক্তভোগীদের অভিযোগ।
সরেজমিন পরিদর্শন ও ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, নবনির্মিত শাপলা চত্বরের পশ্চিম পাশর্^ এখন ড্রেনের পুঁতি দূর্গন্ধময় পানিতে সয়লাব। পাশর্^বর্তী ব্রীজ দিয়ে নর্দমার পানি এ অংশে চলে আসছে। এতে স্থানীয় ব্যবসায়ী, দোকানদার, সাধারণ পথচারী ও মুসল্লীদের দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
ডিসি রোড সংলগ্ন প্রধান নালাটির বিভিন্ন স্থানে নানা সময় পাকা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে স্থানীয় কতিপয় সুবিধাবাদী ব্যবসায়ী। তার উপর সংলগ্ন দোকান পাটের মালিক ও কর্মচারীরা তাদের দোকানের প্রতিদিনকার ময়লা-আবর্জনা, ফাটা-ছেঁড়া কাগজপত্র, পলিথিন, পণ্যের মোড়কসহ নানা জিনিসপত্র ফেলে ভরপুর করে রেখেছে। এতে ড্রেন দিয়ে স্বাভাবিক পানি চলাচল বন্ধ রয়েছে। অন্যদিকে স্থানীয় কয়েকটি হোটেল ও ভবন মালিক তাদের স্যুয়ারেজের পাইপ লাইন সরাসরি এ ড্রেনের সাথে সংযুক্ত করে দিয়েছে।
উক্ত স্যুায়ারেজ লাইন দিয়ে প্র¯্রাব-পায়খানাসহ দূষিত পানি ঐ ড্রেনে পড়ে দিনের পর দিন তা জমা থাকে। এতে স্থানীয় দোকানদার, ব্যবসায়ী ও পথচারীদের প্রতিনিয়ত বিরক্তিকর পরিবেশের শিকার হতে হয়।
শাপলা চত্বরের পশ্চিম পাশর্^স্থ কেন্দ্রীয় মসজিদ মার্কেটের এম. ইসলাম গার্মেন্টসের স্বত্তাধিকারী মোহাম্মদ সেলিম জানান, বাজারের শোভা বর্ধন করতে গিয়ে শাপলা চত্বর নির্মিত হলেও এখন অশুভ পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। মসজিদ মার্কেটের দ্বিতীয় তলার সিঁড়ির মুখে আবর্জনা-নালার দূর্গন্ধযুক্ত পানি ও অসহ্য পরিবেশে ব্যবসায়ীদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। শত বছরের পুরনো রাস্তার মাথায় ফুটপাতে বসে সাধারণ মানুষ ও গাড়ি চলাচল করতে বেশ কষ্ট হচ্ছে।
এ রাস্তা দিয়ে কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে অধিকাংশ মানুষ নামাজ পড়তে যান। তাই মুসল্লী ও বাজারবাসীদের সুবিধার্থে এ স্থানে স্থাপিত রাস্তাটা আগের মতোই স্বাভাবিক করা হোক। আরো দেখা গেছে, উক্ত শাপলা চত্বরের পাশেই রয়েছে হরেক রকম দোকান পাট। যাতে প্রায় সময় প্রচুর ক্রেতা সমাগম থাকে।
উল্লেখযোগ্য দোকানপাটের মধ্যে রয়েছে আলমাছ লাইব্রেরী, এম. ইসলাম গার্মেন্টস, শরমী ওয়াচ সার্ভিস, আলম স্টোর, আমিন ক্লথ স্টোর, মডেল গার্মেন্টস, মনজুর প্লাস, আল হেরাম গার্মেন্টস, শাহ আমানত গার্মেন্টস, রবিন গার্মেন্টস,হাজী মমতাজ আহমদ ও মাওলানা সিরাজ উদ্দীনের মশারি ও নেট বিক্রির দোকান।
শাপলা চত্বর সংলগ্ন রাস্তার এ অবস্থার কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন মশারি দোকানদার হাজী মমতাজ আহমদ। তার দোকানের সামনে মৌসুমী ফল ব্যবসায়ীদের জন্য তৈরি করা হয়েছে স্ল্যাব। উক্ত স্ল্যাবে বসে চলছে মৌসুমী ফলফলাদির ব্যবসা। জনৈক নুরুল হক ও মোহাম্মদ কালু ওখানে ফলের দোকান গেঁড়ে বসেছে।
এদিকে শাপলা চত্বর এলাকাটি টার্নিং পয়েন্ট হওয়ায় ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে টমটম গাড়ী। এতে যেকোন সময় অঘটনের আশঙ্কাও করছেন ব্যবসায়ীরা। তাছাড়াও টমটম চলাচলের কারণে স্থানীয় দোকানদারদের নিজস্ব অর্থ ব্যয়ে দোকানের সম্মুখে তৈরি করা সিঁড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বিষয়টি জালালাবাদ চেয়ারম্যান ও সংশ্লিষ্ট মেম্বারকে বিবেচনার অনুরোধ জানিয়েছেন ভূক্তভোগীরা।
Posted ১০:৩১ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২৫ মে ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta