কামাল শিশির,ঈদগড়(১৬ মে) :: বিষাক্ত খাদ্য নীরব গণহত্যা। এ হত্যা বন্ধে কঠোর কার্যকর পদক্ষেপ সময়ের দাবী। সরকারের ভেজাল বিরোধী অভিযান সত্বেও বিষাক্ত বা ভেজাল খাদ্যের রমরমা ব্যবসা কোন ভাবেই রোধ করা যাচ্ছে না।
ঈদগড়ে বিষাক্ত খাদ্যের প্রভাবে নানা ধরনের দূরারোগ্য জঠিল রোগের প্রাদুর্ভাব আশংকা জনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে রোগী ও রোগীর আত্মীয় স্বজন চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করতে গিয়ে সর্বশান্ত হচ্ছে।
তাছাড়া রাষ্ট্রের স্বাস্থ্য খাতের বরাদ্দ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ খরচ হচ্ছে। জনস্বাস্থ্য ও অর্থনীতির কথা বিবেচনা করে অভিলম্বে খাদ্যে বিষ বা ভেজাল রোধে কঠোর কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া জরুরী। বাজারে প্রায় সব ফলমুল যেমন লিচু,আম,আনারস,কাঠাল,কলা ইত্যাদি বিবিধ ক্ষতিকর রাসায়নিক দ্রব্য মিশ্রিত।
ব্যবসায়ীরা কৃত্রিম উপায়ে ফল পাঁকাতে কপারসালফেট,ক্যালসিয়াম কার্বাইড,পটাশের লিকুইড,সলিওশন,কপার সালফাইড,কার্বনের ধোঁয়া,কার্বাইড সহ বিভিন্ন ধরনের কীটনাশক ব্যবহার করছে। ফল গুলোকে টাটকা ও তাজা রাখতে ফরমালিন ব্যবহার করা হচ্ছে।
এ রাসায়নিক বিষ মেশানো ফল খেয়ে মানুষ দীর্ঘ মেয়াদী নানা রোগে বিশেষ করে শ্বার্সকষ্ট,অ্যাজমা,গ্যাস্টিক,লিভার নষ্ট হয়ে যাওয়া,ক্যান্সার সহ নানা রকম ভয়াবহ রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।
এর ফলে গর্ববর্তী মহিলারা জন্ম দিচ্ছে বিকালাঙ্গ শিশু। রাসায়নিক ফল খেয়ে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শিশুরা।
দীর্ঘদিন এসব ফল খাওয়ার ফলে বয়স্ক ও শিশুদের মধ্যে ক্যান্সার জাতীয় রোগের লক্ষণ দেখা যাচ্ছে খুব বেশী। সব মিলিয়ে দিন দিন মানুষের স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়ছে। এভাবে চলতে থাকলেই জাতী পঙ্গুত্বের দিকে ধাবিত হবে।
ভুক্তভোগী জনসাধারনের দাবী বিশুদ্ধ খাদ্য নিশ্চিত করতে খাদ্যের গুণগত মান নিয়ন্ত্রণে অবিলম্বে স্থায়ী কমিশন প্রতিষ্ঠা করতে হবে এবং কমিশনের অনুমুতি ছাড়া খাদ্যের বিপনন ও প্রচার নিষিদ্দ করতে হবে। ফলসহ খাদ্য মজুদকারী গুদাম,কারখানা,নিয়মিত ভাবে ভেজাল বিরোধী টিম কর্তৃক পরিদর্শন করতে হবে।
খাদ্যে বিষ ও ভেজাল মিশ্রণকারীদের ধরার জন্য সেল গটন করে ফোন বা ফ্যাক্স সহ বিভিন্ন মাধ্যমে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে সংবাদ গ্রহনের জন্য কন্ট্রোল রুম চালু করতে হবে এবং দায়ী সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে শাস্তির বিধান করতে হবে।
Posted ১১:২৮ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ১৬ মে ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta