জানা গেছে উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের ২নং ওয়ার্ড মেম্বার বক্তার আহমদ গত বছর ২২ জুন শপথ গ্রহণের পর ২৬ জুন কক্সবাজার থেকে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা ট্যাবলেট নিয়ে তার ভাই জাহাঙ্গীর আলম ও পিতা হাজী আব্দুল মজিদসহ বিমানে করে ঢাকা যান। বিমান বন্দর থেকে বের হলে গোয়েন্দা পুলিশ তাদের আটক করে।
পরে ভাই জাহাঙ্গীর ও পিতা হাজী আব্দুল মজিদ ছাড়া পেলেও বক্তারকে ৫০ হাজার ইয়াবা, একটি প্রাইভেট কার ও অপর সহযোগীসহ ঢাকার খিলক্ষেত থানায় মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের পূর্বক সোপর্দ করা হয়।
এ মামলায় দীর্ঘ প্রায় ১১ মাস জেলে থাকার পর গত মে মাসের ২৯ তারিখ বক্তার আহমদ কথিত জামিনে বেরিয়ে আসেন। একই মামলার অপর আসামি নুরুল আলম টিটুও জামিন চেয়ে আবেদন করেন। এই আবেদনের শুনানিতে মূল আসামি বক্তারের জামিন পাওয়ার বিষয়টি উলেহ্মখ করা হলে তখনই বক্তারের জালিয়াতির ঘটনাটি ধরা পরে। এরপরই রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে রেজিস্টারকে নিদের্শ দেন হাইকোর্ট।
জানা গেছে বক্তারের মামলাটি ঢাকার অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত–৬ এ বিচারাধীন রয়েছে। অভিযোগ ওঠেছে এ মামলায় হাইকোর্টের জামিন চেয়ে আবেদন করলেও আবেদনটি শুনানি পর্যন্ত হয়নি। শুনানি না হওয়ার পরও বেঞ্চ কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম হাইকোর্টের দুই জন বিচারপতির স্বাক্ষর জাল করে জামিন আদেশ প্রস্তুত করেন। ওই ভুয়া জামিন বিচারিক আদলতে দাখিল করে আসামি বক্তার কারাগার থেকে মুক্তি পান।
উখিয়া থানার ওসি মো. আবুল খায়ের জানান বক্তার আহমদ কিভাবে জামিনে মুক্তি পেয়েছে তা সংশ্লিষ্ট আদালত ও জেল কর্তৃপক্ষ ভাল জানেন। উখিয়া থানায় তিনি কোন জামিন নামা জমা দেননি।
Posted ৮:৫৪ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ০৬ আগস্ট ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta