মোসলেহ উদ্দিন, উখিয়া(৩ জুন) :: উখিয়ার ভালুকিয়া গ্রামের চাঞ্চল্যকর গৃহবধু মনজুরা বেগম (২৫) হত্যা মামলার প্রধান আসামী নেশাখোর স্বামী ছৈয়দ হোছন সহ অপরাপর আসামীরা প্রকাশ্য দিবালোকে অবাধে বিচরণ করছে। সন্ত্রাসীরা হত্যা মামলা উছিয়ে নিতে বাদীকে হুমকি ধমকি প্রদর্শণ করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
থানা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মনজুরা বেগমের স্বামী মৃত সোনা আলীর ছেলে ছৈয়দ হোছন একজন পেশাদার নেশাখোর। মাদকদ্রব্য ব্যবহার নিয়ে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল দীর্ঘদিন থেকে।
মনজুরা বেগমের পিতা খুইল্ল্যা মিয়া (৮০) জানান, তার মেয়ে মনজুরা বেগমের সাথে অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে মর্মে মিথ্যা অজুহাত তুলে ইতিপূর্বে স্থানীয় ২/৩ জন যুবককে তার বাড়ীতে বেধেঁ রাখে ঘাতক স্বামী ছৈয়দ হোছন। এঘটনার জের ধরে তার স্ত্রী মনজুরা বেগমকে বাপের বাড়ীতে পাঠিয়ে দেয়।
ঘটনার দিন ১ জুন বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটার দিকে নেশাখোর পাষন্ড স্বামী ছৈয়দ হোছন মুঠোফোনে তার স্ত্রী মনজুরা বেগমকে তার বাড়ীতে ডেকে নিয়ে আসে। পরকীয়ার বানোয়াট ঘটনা নিয়ে তাদের মধ্যে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে ছৈয়দ হোছন উপর্যুপুরি ছুরিকাঘাত করে মনজুরা বেগমকে হত্যা করে পালিয়ে যায়। এঘটনায় নিহত মনজুরা বেগমের বয়োবৃদ্ধ পিতা খ্ইুল্ল্যা মিয়া বাদী হয়ে উখিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
খ্ইুল্ল্যা মিয়া স্থানীয় সাংবাদিকদের অভিযোগ করে জানান, পাষন্ড ঘাতক ছৈয়দ হোছন গ্রেপ্তার না হওয়ায় প্রকাশ্য দিবালোকে ঘুরাফেরা করে বাদী পক্ষদের মামলা প্রত্যাহার করে নেওয়ার হুমকি প্রদর্শন করছে। যে কারণে তাদেরকে মেয়ে হারানোর পরও অসহায় অবস্থায় পরিবার পরিজন নিয়ে দিনযাপন করতে হচ্ছে।
স্থানীয় চেয়ারম্যান খাইরুল আলম চৌধুরী জানান, চারিত্রিকগত দিক দিয়ে স্ত্রী হত্যাকারী ছৈয়দ হোছন একজন নেশাখোর, মাতাল শ্রেণির যুবক। উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আবুল খায়ের জানান, ঘাতক স্বামী ছৈয়দ হোছনকে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
Posted ৫:৩৯ অপরাহ্ণ | শনিবার, ০৩ জুন ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Chy