মোসলেহ উদ্দিন,উখিয়া(১ জুন) :: ২৯ মে সোমবার রাত আড়াই থেকে মঙ্গলবার সকাল ১০টা পর্যন্ত বয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় মোরার আঘাতে উখিয়ার ১০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঘণ্টায় ১৩০ কিমি গতিবেগে বয়ে যাওয়া এ ঘূর্ণিঝড়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের টিনের ছাউনি ওড়ে গিয়ে আসবাবপত্র তছনছ হয়ে গেছে। ফলে এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের স্বাভাবিক কার্যক্রম অচল হয়ে পড়েছে বলে প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে রাজাপালং ফাযিল মাদরাসা ঘুরে শিক্ষক জসিম উদ্দিনের সাথে কথা বলে জানা যায়, ১৯৩০ সালে প্রতিষ্ঠিত এই মাদরাসায় প্রথম শ্রেণি থেকে ফাযিল পর্যন্ত নিয়মিত ছাত্রছাত্রী হিসাবে অধ্যয়নরত আছে প্রায় ১৫৩০ জন শিক্ষার্থী। পড়ালেখার গুণগতমান নিয়ে উপজেলার শীর্ষস’ানে বিদ্যমান এই মাদরাসার চাহিদা অনুপাতে আসবাবপত্র, টয়লেট ও শ্রেণিকক্ষ না থাকায় শিক্ষার্থীদের অবর্ণনীয় দুর্ভোগের মাধ্যমে পাঠদান করতে হচ্ছে। মাদরাসায় দক্ষ ও অভিজ্ঞ ২৯ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা থাকলেও পড়ালেখার অনুকূল পরিবেশ বাধাপ্রাপ্ত হওয়ায় শিক্ষাঙ্গনে সার্বিক উন্নয়ন চিত্রের আশানুরূপ অগ্রগামী হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে।
রাজাপালং ফাযিল মাদরাসার অধ্যক্ষ আলহাজ একেএম আবুল হাছান আলী জানান, শিক্ষাঙ্গনে বিদ্যামান নাজুক পরিসি’তিতে সাম্প্রতিক সময়ে বয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে ক্লাসরুম, আসবাবপত্র ও অন্যান্য সরঞ্জামাদিসহ মাদরাসার প্রায় ৫ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। উপজেলাভিত্তিক শতভাগ শিক্ষার হার নিয়ে অগ্রগামী এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি কার্যক্রম স্বাভাবিক করতে তিনি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এছাড়া ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস’ রত্নাপালং ইউনিয়নের ভালুকিয়া থিমছড়ি তালিমুল কুরআন দাখিল মাদরাসা, পালংখালী ইউনিয়নের থাইংখালী দাখিল মাদরাসা, থাইংখালী উচ্চ বিদ্যালয়, রহমতের বিল মডেল দাখিল মাদরাসা, থাইংখালী হলিচাইল্ড একাডেমি, থাইংখালী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ ও ফোরকানিয়া মাদরাসা, জালিয়াপালং ইউনিয়নের উপকূলীয় মাদারবনিয়া-ছেপটখালী নিম্ন মাধ্যমিক উচ্চ বিদ্যালয়সহ ১০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অবকাঠামোসহ ছাউনি, ঘেরাবেড়া, আসবাবপত্র ধ্বংস হয়ে যাওয়ার ফলে এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্ষয়ক্ষতি পুষিয়ে নিতে জরুরিভিত্তিতে সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্টরা।
থাইংখালী মাদরাসা সুপার খাইরুল বশর জানান, মাদরাসার ক্ষয়ক্ষতির বিবরণীসহ আনুষঙ্গিক ব্যয় উল্লেখ করে উপজেলা প্রশাসনে আবেদন করা হয়েছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রায়হানুল ইসলাম মিয়া জানান, ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য সরকারি অর্থ বরাদ্দের প্রয়োজনীয় ব্যবস’া নেওয়া হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাঈন উদ্দিন জানান, ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও বসতবাড়ির প্রাপ্ত তালিকা অনুযায়ী সংস্কারের জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।
Posted ২:০১ পূর্বাহ্ণ | শুক্রবার, ০২ জুন ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Chy