মোসলেহ উদ্দিন, উখিয়া(১৪ জুন) :: কক্সবাজারের উখিয়ায় নিত্যপণ্য চাল ও চিনির বাজারে অস্থিরতা বিরাজ করছে। বাজারে চাল ও চিনির কোন সংকট না থাকলেও খুচরা বাজারে চিনি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৭৫ টাকা ও মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ৪২ টাকা ধরে।
পবিত্র রমজান মাসে সর্বজনের চাহিদা পণ্য চিনি ও চালের দাম লাগামহীন বেড়ে যাওয়ায় ক্রেতা সাধারণের মাঝে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। হাটবাজারে নিত্যপণ্যের দাম অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ার ঘটনাকে বাজার মনিটরিং কমিটির অব্যবস্থাপনাকে দায়ী করছেন বৃহত্তর ক্রেতা সাধারণ।
সূত্রমতে, চট্টগ্রামের বিশিষ্ট শিল্পপতি এস.আলম গ্রুপ রমজানে চিনির মূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখার জন্য বৃহত্তর চট্টগ্রামে ৭৭ জন ডিলার নিয়োগ দিয়েছে। তৎমধ্যে উখিয়ার ২ জন ডিলার রতন বিশ্বাস ও প্রদীপ সেন তাদের অনুকূলে বরাদ্ধ পাওয়া চিনি কালোবাজারে চড়া দামে বিক্রি করে দেওয়ায় খুচরা বিক্রেতারা ন্যায্য মূল্যের চিনি পাইনি বলে অভিযোগ করে মরিচ্যা বাজারের খুচরা ব্যবসায়ী শামশুল আলম সওদাগর জানান, ডিলার রতন বিশ্বাসের নিকট থেকে সে ৬৫ টাকা কেজিতে চিনি ক্রয় করেছে।
সে আরো জানায়, উক্ত ২ জন পাইকারী বিক্রেতা সে চিনির ডিলারশীপ নিয়ে চিনি সরবরাহ এনেছে তা উখিয়ার কোন খুচরা বিক্রেতা অথবা ভোক্তা সাধারণ জানে না। এস.আলম গ্রুপের জারিকৃত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে মিল গেইট এলাকায় পরিবহন ভাড়া সহ কেজি প্রতি ৫৮ টাকা দরে ডিলারদের চিনি সরবরাহ দেওয়া হয়েছে। উখিয়া সদরের খুচরা বিক্রেতা ব্যবসায়ী সমিতি উক্ত চিনি কোথায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে তা খতিয়ে দেখার জন্য স্থানীয় গোয়েন্দা সংস্থা ও ইউএনও’র হস্তক্ষেপ কামনা করে প্রশাসনের নিকট অভিযোগ করেছে।
উখিয়ার চালের বাজার ঘুরে খুচরা ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানান যায়, পাইকারী চাল ব্যবসায়ীরা তাদের গুদামে শত শত মেট্রিক টন চাল মজুদ রেখে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির মাধ্যমে দফায় দফায় চালের দাম বাড়াচ্ছে। যার প্রভাব পড়েছে খুচরা চালের বাজার। নি¤œআয়ের যারা দৈনিক চাল ক্রয় করে এমন কয়েকজন ব্যক্তি যেমন রিক্সা শ্রমিক ফরিদ আলম, ঠেলা গাড়ী চালক মোঃ কালু জানান, ৩২ টাকার চাল ৪২ টাকায় উন্নীত হওয়ায় অনেকেই চাল ক্রয় করতে পারছে না। নুন আনতে পানতা পুরায় এমন পরিবার গুলো পবিত্র রমজান মানে সেহেরী খেতেও হিমসিম খেতে হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে পাইকারী ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব কবির আহমদের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি সহ ১২ জন পাইকারী ব্যবসায়ী খাদ্য গুদামে ৫টন করে চাল ৩২ টাকা দরে বিক্রির চুক্তিনামা সম্পাদন করার সত্যতা স্বীকার করেছে। অভিজ্ঞ মহলের মতে ওইসব ব্যবসায়ীদের কাছে পর্যাপ্ত চাল না থাকলে তারা কীভাবে খাদ্য গুদামের সাথে চুক্তিবদ্ধ হল তা খতিয়ে দেখার জন্য উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মাঈন উদ্দিন জানান, ব্যস্ততার কারণে হাটবাজার মনিটরিং করা হয়নি। বিশেষ করে মাছ, মাংস চাল, চিনি সহ নিত্যপণ্যের মূল্য স্বাভাবিক রাখার জন্য যতদ্রুত সম্ভব ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে বাজার মনিটরিং করা হবে বলে আশ্বস্ত করেন।
Posted ৫:১৫ অপরাহ্ণ | বুধবার, ১৪ জুন ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta