মোসলেহ উদ্দিন,উখিয়া(১৮ মে) :: উখিয়া শিক্ষা অফিসের সহকারি কাম কম্পিউটার অপারেটর বশির আহমদের বিরুদ্ধে শিক্ষকদের দায়ের করা অভিযোগ সরেজমিনে তদন্ত করেছেন ককসবাজার জেলা সহকারি শিক্ষা অফিসার শহিদুল আযম।
১৮ মে বিকাল ৩ টায় উপজেলা শিক্ষা অফিস কার্যালয়ে অনুষ্টিত তদন্ত কমিশনে শিক্ষকদের অভিযোগ শুনেন ও তাঁদের লিখিত স্বীকারোক্তি গ্রহন করেন।
উখিয়া সদর ফলিয়াপাড়া প্রাথমিক বিদ্যায়ের ভুক্তভোগী শিক্ষকা পারভিন আকতার জানান, তার সাময়িক অনুপস্থিতির জন্য বন্ধ বেতন ফিরিয়ে দেওয়ার কথা বলে ৪ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। কিন্তু তা যথেষ্ট না হওয়ায় কানের দুল দাবী করেন কাম কম্পিউপার বশির। একইভাবে কান্তা বিশ্বাস থেকে ৪ হাজার টাকা ঘোষ নেয়।
মাদার বনিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মৌলানা কবির আহমদ থেকে তার পেনসান ফাইল আটকিয়ে রেখে ২০ হাজার টাকা ঘোষ নেয়। রুমখা বড়বীল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মমতাজ বেগমের সার্ভিস বুক লুকিয়ে রেখে উদ্ধারের ব্যবস্থার কথা বলে বিভিন্ন দফায় ৫০ হাজার টাকা ঘোষ নেয়। মাদার বনিয়ার চেমন বাহার থেকে প্রধান শিক্ষক পদে পদায়ন করার কথা বলে ২০ হাজার টাকা ঘোষ নেয়।
তবে তদন্ত চলাকালীন সময়ে বশির ১০ টাকা ফেরত দেয়। জে চৌধুরী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোক্তার আহমদ থেকে ৫ হাজার টাকা ঘোষ নেয়। একইভাবে আরও ৩জন শিক্ষক থেকেও ৬ হাজার টাকা ঘোষ গ্রহন করে।
উখিয়া শিক্ষা অফিসের অফিস কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক বশির আহমদের বিভিন্ন অনিয়ম দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ করে উখিয়া উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষকদের একটি অভিযোগ উখিয়া-টেকনাফ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান বদিসহ প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে প্রেরণ করার পর এ তদন্ত কার্য শুরু হয়।
উল্লেখ্য যে, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১৪ জন শিক্ষকের একটি অভিযোগ উখিয়া টেকনাফের সাংসদ আলহাজ আবদুর রহমান বদি এমপিসহ প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে প্রেরন করার পর এ তদন্ত কার্যক্রম শুরু হয়।
Posted ৭:৫৮ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১৮ মে ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta