মোসলেহ উদ্দিন, উখিয়া(১৫ জুন) :: সাম্প্রতিক সময়ের ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ী ঢলের পানি নিষ্কাশনে বাধাঁপ্রাপ্ত হওয়ায় পালংখালী স্টেশনে শতাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন করে সড়ক ও জনপদ বিভাগের জায়গার উপর ড্রেন নির্মাণের আশ্বস্ত করেন এবং তিনি পালংখালী খাল দখল করে অপরিকল্পিত জবর দখল ও অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের ফলে এ জলাবদ্ধতার কারণ বলে উল্লেখ করেন।
সরেজমিন ঘটনাস্থল পালংখালী স্টেশন ঘুরে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ী সলিমুল্লাহ, আব্দু শুক্কুর, আবুল বশর, ছৈয়দ ও মাও: জহিরুল ইসলামের সাথে কথা বলে জানা যায়, এলাকার কতিপয় প্রভাবশালী চক্র পালংখালী খাল জবর দখল করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার কারণে প্রতি বর্ষা মৌসুমে পাহাড়ী ও বৃষ্টির পানিতে পালংখালীর পুরো এলাকা প্লাবিত হয়ে পড়ে। ক্ষতিগ্রস্থ হয় বসতবাড়ি, কাঁচা রাস্তাসহ কৃষি পণ্যের চাষাবাদ। এ অবস্থা থেকে উত্তোরণের জন্য এলাকাবাসী প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করলেও পালংখালী খাল দখল মুক্ত হয়নি।
পালংখালী ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি এম এ মনজুর অভিযোগ করে জানান, বি.এস দাগ নং- ২৪১০ জায়গাটি সরকারি ভাবে নয়নজুলি হিসাবে উল্লেখিত থাকলেও কতিপয় জনপ্রতিনিধি নিজেদের আখেঁর গোছানোর পরিকল্পনা নিয়ে ড্রেন নির্মাণে গড়িমষি করছে। যে কারণে গত কয়েকদিনের ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ী ঢলে প্রায় শতাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কোটি কোটি টাকার মালামাল ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
আ’লীগের ওই নেতা দাবী করেন, পালংখালী স্টেশনে একটি ড্রেন নির্মাণের জন্য ৭ লক্ষ ২৫ হাজার টাকার একটি প্রকল্প গৃহিত হলেও বাস্তবায়ন হচ্ছে না।
পালংখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন চৌধুরী জানান, কতিপয় আ’লীগ নেতার দাপটের কারণে পালংখালী স্টেশনে ড্রেনটি নির্মাণ করা সম্ভব হচ্ছে না। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মাঈন উদ্দিন ক্ষতিগ্রস্থ এলাকায় একটি স্থায়ী ড্রেন নির্মাণে আশ্বস্ত করেন।
Posted ৫:১৪ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১৫ জুন ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta