মোসলেহ উদ্দিন,উখিয়া(২৩ জুন) :: উখিয়া উপজেলার উপকূলীয় জনপদ জালিয়াপালং ইউনিয়নের সোনাইছড়ি গ্রামের বাসিন্দা বশির আহমদ দীর্ঘ ১০ বছর ধরে উখিয়া শিক্ষা অফিসের কম্পিউটার অপারেটর হিসাবে যোগদান করলেও মূলত সে অফিস সহকারীর দায়িত্ব পালন করে গোটা শিক্ষক সমাজকে জিম্মি করে বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার আশ্রয় নিয়ে শিক্ষকের হয়রানি করে আসছিল।
এ ঘটনায় ১৪ জন শিক্ষকের স্বাক্ষরিত অভিযোগ উখিয়া-টেকনাফ আসনের সংসদ সদস্যসহ প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে প্রেরণের ধারাবাহিকতায় ঘটনার তদন্ত শুরু হয়। গত ২০ জুন কক্সবাজার জেলা শিক্ষা অফিসার ওসমান গণির প্রেরিত প্রজ্ঞাপনে অফিস সহকারী বশির আহমদকে বদলী করা হয়।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির নেতা মোঃ শাহজাহান জানান, উক্ত অফিস সহকারীর অনৈতিক কর্মকান্ড সহ তার অবাধ ঘুষ বাণিজ্য দুর্ব্যবহার ও শিক্ষকদের জিম্মি করে টাকা আদায় করার ঘটনা নিয়ে শিক্ষকদের মাঝে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছিল।
এ ঘটনা নিয়ে অভিযোগ করার পর জেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার শহিদুল আজম সরেজমিন ঘটনাটি তদন্ত করে বশির আহমদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সত্য প্রমানিত হয়।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার সুব্রত কুমার ধর অফিস সহকারী বশির আহমদের বদলীর সত্যতা স্বীকার করেন। দীর্ঘ দিন পর তার বদলীর ঘটনা নিয়ে শিক্ষকদের মাঝে প্রাণচাঞ্চল্য ও খুশির আমেজ পরিলক্ষিত হচ্ছে।
একাধিক শিক্ষক জানান, বশির আহমদ বদলী হওয়ার ফলশ্র“তিতে শিক্ষক সমাজ তাদের নৈতিক দায়িত্ব পালনে আরো অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে। যাতে উখিয়ার প্রাথমিক শিক্ষার গুনগত মান আরো একধাপ এগিয়ে যায়।
Posted ৯:২৪ অপরাহ্ণ | শুক্রবার, ২৩ জুন ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta