মোসলেহ উদ্দিন,উখিয়া(২০ মে) :: উখিয়া উপজেলার শিক্ষা অফিসের অফিস মুদ্রাক্ষরিক পদে কর্মরত বশির আহমদের বিরুদ্ধে একাধিক শিক্ষকের লিখিত অভিযোগ সরেজমিনে তদন্ত করলেন সহকারি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ শহিদুল আযম। গত বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৩ টায় থেকে ৫টা পর্যন্ত দীর্ঘ সময় ভুক্তভোগী শিক্ষক-শিক্ষিকাদের লিখিত জবানবন্দি গ্রহণ করেন।
ভুক্তভোগী মাদার বনিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মাওলানা কবির আহমদ অভিযোগ করে বলেন, তার পেনসানের ফাইল আটকিয়ে রেখে বশির আহমদ ২০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। একই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক চেমন বাহারকে প্রধান শিক্ষক পদে পদায়ন করার কথা বলে ২০ হাজার টাকা নিয়েছেন অফিস সহকারি বশির আহমদ। ফলিয়াপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা পারভিন আকতার ে আন্তা বিশ্বাস থেকে ৮হাজার টাকা নিয়েছে এবং দাবীকৃত আরও টাকা দিতে না পারায় পারভিনের কাছ থেকে কানের দুল দাবী করেন।
এভাবে ৯৫ জন শিক্ষকের কাছ থেকে প্রায় ৩ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়। তবে ১৮ জন শিক্ষক উক্ত অফিস সহকারির বিরুদ্ধে লিখিত ও মৌখিক স্বাক্ষ্য তদন্তকারী কর্মকর্তা সহকারি জেলা শিক্ষা অফিসার গ্রজণ করেন।
এব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা শিক্ষা অফিসার সুব্রত কুমার ধর জানান, তদন্ত কাজ সম্পন্ন হয়েছে, সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায় দায়িত্ব তদন্তকারী কর্মকর্তার।
অভিযুক্ত অফিস সহকারি বশির আহমদের নিকট জানতে চাইলে সে জানান, তার কাছ থেকেও একটি লিখিত জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে তদন্তকারী কর্মকর্তা সহকারি জেলা শিক্ষা অফিসার শহিদুল আজম বলেন, এটা সাংবাদিকদের জানার বিষয় নয়।
উলে¬খ্য যে, উখিয়া শিক্ষা অফিসে কর্মরত অফিস সহকারি কাম কম্পিউটার বশির আহমদের ব্যাপক অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ এনে ১৪ জন শিক্ষক স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগ সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান বদিসহ প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে প্রেরণ করেন।
এ অভিযোগের ভিত্তিতে গত ১৮ মে বৃহস্পতিবার দুপুরে তদন্তে আসেন সহকারি জেলা শিক্ষা অফিসার শহিদুল আজম।
এদিকে ওই অফিস সহকারি স্বাক্ষিদের পোষ মানাতে ব্যর্থ হওয়ায় বিভিন্ন দপ্তরে লক্ষ টাকার মিশন নিয়ে দুর্নীতি ধামাচাপা দিতে অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিক্ষক বৃন্দরা জানিয়েছেন।
Posted ৯:৩২ অপরাহ্ণ | শনিবার, ২০ মে ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta