কক্সবাংলা ডটকম :: টি-টোয়েন্টি সিরিজ মনমতো হয়নি। পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ৪-১ ব্যবধানে হেরেছে পাকিস্তান। ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে তাও একটু লড়াই হয়েছে। কিছুটা সম্ভাবনাও জাগিয়ে তুলেছিল সফরকারীরা।
তবে শেষ পর্যন্ত হার নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয়েছে মোহাম্মদ রিজওয়ানের দলকে। তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ম্যাচে নিউজিল্যান্ড তাদের ৭৩ রানে হারিয়েছে।
মূলত মার্ক চ্যাপম্যানের ঝড়ো সেঞ্চুরি ও নাথান স্মিথের ৪ উইকেট শিকারেই ম্যাচটা নিজেদের করে নিতে পেরেছে নিউজিল্যান্ড।
চ্যাপম্যানের ক্যারিয়ার সেরা ১৩২ রানের ইনিংসে ভর করে শুরুতে ৯ উইকেটে ৩৪৪ রানের বিশাল সংগ্রহ গড়ে নিউজিল্যান্ড। তারপর জয়ের দারুণ সম্ভাবনা জাগানো পাকিস্তান ৪৫ ওভারে ২৭১ রানে গুটিয়ে গেছে।
অথচ সফরকারী দল একটা সময় পর্যন্ত জয়ের পথেই ছিল। ৩ উইকেটে স্কোর ছিল ২৪৯। তখন জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল আর ৯৬ রান। ওভারও হাতে ছিল ১১টি।
কিন্তু পেসার স্মিথের দারুণ বোলিংয়ে শেষ দিকে ধস নামায় শেষ ৭ উইকেট পড়েছে ২২ রানে। স্মিথ ৬০ রানে নিয়েছেন ৪টি। তার আগে ব্যাট হাতে পাকিস্তানকে দিশা দেখাচ্ছিলেন বাবর আজম।
৮৩ বলে দলের সর্বোচ্চ স্কোরার ছিলেন তিনি। ৭৮ রানের ইনিংস উপহার দিয়েছেন। তার আউটের পরই ধস নামে।
তবে সালমান আগা দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে ৪৮ বলে ৫৮ রানের ইনিংস খেললেও সতীর্থরা লোয়ার অর্ডারে আলগা শট খেলে তাকে হতাশ করেছেন।
নিউজিল্যান্ডও শুরুতে ৫০ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়েছিল। তাদের উদ্ধার করে চ্যাপম্যানের ১১১ বলের ইনিংস। তাতে ছিল ১৩টি চার ও ৪টি ছয়ের মার। বাঁহাতি এই ব্যাটার চতুর্থ উইকেটে ড্যারিল মিচেলের সঙ্গে ১৯৯ রান যোগ করেছেন। মিচেল ৮৪ বলে খেলেছেন ৭৬ রানের ইনিংস।
তারপর রেকর্ড গড়ে ফিনিশিং টাচ দিয়েছেন অভিষেক করা অলরাউন্ডার মোহাম্মদ আব্বাস। পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত আব্বাস অভিষেকে দ্রুততম হাফসেঞ্চুরির ইতিহাস গড়েছেন ২৪ বলে। আউট হওয়ার আগে করেছেন ৫২ রান।
শুরুতে পাকিস্তানের পেস আক্রমণ বাউন্সকে কাজে লাগাচ্ছিল। পরে অবশ্য সেই বাউন্সেই মার খেয়েছে। বাঁহাতি পেসার আকিফ জাভেদ অভিষেকে ৫৫ রানে ২ উইকেট নিয়েছেন।
সেরা ফিগার খণ্ডকালীন পেসার ইরফান খানের। ৫১ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন তিনি। ডেথে অবশ্য শেষ ৫ ওভারে ভীষণ রানও দিয়েছেন।
Posted ১২:৪২ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ৩০ মার্চ ২০২৫
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta