মোসলেহ উদ্দিন,উখিয়া(৬ জানুয়ারী) :: দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারের উখিয়ার ইনানী বীচ এখন সম্পূর্ণ অরক্ষিত। বীচ কমিটি থাকলেও কার্যক্রম না থাকায় বেপরোয়া হয়ে উঠেছে দখলবাজ চক্র।
সম্প্রতি এলাকার কতিপয় অসাধূ ব্যক্তি আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বীচ এলাকায় প্রায় অর্ধশতাধিক কাঁচা দোকানপাট গড়ে তোলার প্রতিবাদে ইনানী বহুমূখী ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ছৈয়দ হোসেন কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের নিকট একটি অভিযোগ করেছে।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসক প্রদত্ত অভিযোগে জানা যায়, ইনানী বীচের সুন্দর্য্য রক্ষার্থে ও পর্যটন পরিবেশ সম্মত উন্নয়নের লক্ষ্যে তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আহমদ শামীম আল রাজী একটি মাশরুম মার্কেট নির্মাণের লক্ষ্যে ১৭জন স্থানীয় ব্যবসায়ী প্রত্যেকের নিকট থেকে সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে ৫০হাজার টাকা করে জামানত আদায় করেন।
তিনি অন্যত্রে বদলী হয়ে যাওয়ার পর নবাগত ইউএনও আবু আহমদ ছিদ্দিকী ২০১০সালের মাঝামাঝি সময়ে মাশরুম মার্কেট নির্মাণে সময় কালক্ষেপন করায় পূর্বের ব্যবসায়ীরা তাদের পরিবার পরিজনের তাগিদে ফের দোকান পাট নির্মাণ করেন। এসময় ইউএনও গোলামুর রহমান অভিযান চালিয়ে উক্ত দোকানপাট গুলো উচ্ছেদ করে দেন।
২০১০সালের ১৪মার্চ ইনানী বহুমূখী ব্যবসায়ী সমিতির হাইকোটে একটি রীট মামলা দায়ের করেন। মহামান্য আদালত উক্ত আবেদনের প্রেক্ষিতে পরবর্তী আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত স্থিতিবস্থা নির্দেশ দেন।
ইনানী বহুমূখী ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ছৈয়দ হোসেন অভিযোগ করে জানান, ইনানী বীচকর্মীর নাম ভাঙিয়ে স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি বেলাল উদ্দিন জনপ্রতি ৩০হাজার টাকা আদায় করে প্রায় ৪০টির অধিক অবৈধ দোকানপাট নির্মাণ করেন।
তিনি বলেন, অবৈধ লেনদেনের মাধ্যমে ইনানী বীচে যত্রতত্র দোকানপাট নির্মাণের ফলে ইনানী বীচের ভাবমূর্তি চরম ভাবে ক্ষুন্ন হয়েছে। পাশাপাশি মাশরুম মার্কেট নির্মাণের জন্য সোনালী ব্যাংকে অর্থ প্রদানকারী ব্যবসায়ীরা এসব অবৈধ দোকানপাট উচ্ছেদের ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ নিকারুজ্জামান জানান, আদালতের নির্ষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে বীচ এলাকায় কোন প্রকার স্থাপনা নির্মাণের সুযোগ নেই। তিনি বলেন, যদি কেউ দোকান নির্মাণ করে থাকে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Posted ৯:৩৮ অপরাহ্ণ | শনিবার, ০৬ জানুয়ারি ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta