শাহিদ মোস্তফা শাহিদ,সদর(১ জুলাই) :: সড়ক ও মহাসড়কে চলাচলরত যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রণ বা সড়ক দূর্ঘটনা রোধে স্পিডব্রেকার স্থাপনে সরকারের নির্দিষ্ট নিয়ম নীতি থাকলেও তা মানছে না কেউ। কক্সবাজার সদরের ঈদগাঁও-চৌফলদন্ডী-খুরুশকুলে সড়ক ও জনপথ বিভাগ এবং স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)’র অধীনস্থ আঞ্চলিক সড়ক গুলোতে যত্রতত্র স্থাপন করা হয়েছে স্পিডব্রেকার।
ঈদগাঁওর বিভিন্ন আঞ্চলিক সড়কগুলোতে এমন চিত্র দেখা গেলেও বিষয়টি যেন দেখার কেউ নেই। সড়কের পাশে কেউ নতুন বাড়ি নির্মাণ করলে সেখানে দিতে হবে একটি স্পিডব্রেকার। হাটবাজার, দোকানপাট থেকে শুরু করে চায়ের দোকানের সামনেও স্পিডব্রেকার স্থাপনের ফলে প্রায়ই ঘটছে দূর্ঘটনা। রাতের অন্ধকারে ঐসব স্পিডব্রেকারকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন স্থানে করা হচ্ছে ছিনতাই ও ডাকাতির মত ঘটনা।
সদরের ঈদগাঁও টু চৌফলদন্ডী-খুরুশকুল হয়ে শহীদ তিতুমীর স্কুল পর্যন্ত ১৬ কিলোমিটার এলাকায় অন্তত ৫৪টি স্পিডব্রেকার স্থাপন করায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছে গাড়ির চালক ও যাত্রীরা। সম্প্রতি ঐ সড়কের বিভিন্ন স্থানে রাতের অন্ধকারে ঘটছে ছিনতাই। সড়কের বিভিন্ন টার্নিং এলাকা এমনকি বাড়ীর সামনে অযথা স্পিডব্রেকার স্থাপনে স্থানীয় প্রশাসনের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ভুক্তভোগীরা।
চৌফলদন্ডী সড়কে চলাচলরত সিএনজি চালক কামাল উদ্দীন জানায়, সিএনজি কিভাবে চালাব, একটু পরপর ব্রেক করতে করতে গাড়ীর যন্ত্রাংশ নষ্ট হয়ে যায়। স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা বা হাসপাতালের সামনে স্পিডব্রেকার দিতে দেখেছি। কিন্তু বাড়ী বা চায়ের দোকানের সামনে স্পিডব্রেকার দিতে দেখিনি। যে একটি সুন্দর বাড়ী তৈরি করেছে তার বাড়ীর সামনেও স্পিডব্রেকার স্থাপন করেছে।
অন্য একজন অটোরিক্সা চালক ফয়সাল জানায়, যদি গতি নিয়ন্ত্রণের জন্য স্পিডব্রেকার দেওয়া হয়, তাহলে মোড়ের মধ্যে (টার্নিংয়ে) কি কারনে স্পিডব্রেকার দেওয়া হচ্ছে? এমনিতে মোড়ের মধ্যে গাড়ীর স্পিড কমাতে হয়।
উক্ত আঞ্চলিক সড়কে ঈদগাঁও টু চৌফলদন্ডী ৮ কিলোমিটার সড়কে ৩২টি স্পিডব্রেকার রয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী মুস্তাফিজুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে জানান, টেন্ডারে কোন ধরণের স্পিডব্রেকার থাকে না। ঠিকাদাররা স্থানীয় নেতাকর্মীদের অনুরোধে সেটি করে থাকে। বিষয়টি নিয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে সরানোর ব্যবস্থা করা হবে।
Posted ৯:২৯ অপরাহ্ণ | শনিবার, ০১ জুলাই ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta