কক্সবাংলা রিপোর্ট(১১ সেপ্টেম্বর) :: কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সনাক্তে আঙ্গুলের ছাপ গণনা বা বায়োমেট্রিক নিবন্ধনের আওতায় আনার কাজ শুরু হয়েছে৷সোমবার বিকালে আনুষ্ঠানিকভাবে এই নিবন্ধনের কাজ শুরু হয়।
জানা যায়,২৪ আগস্ট থেকে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সহিংসতার প্রেক্ষাপটে প্রায় তিন লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করায় চলতি সপ্তাহেই নতুন করে গড়ে উঠেছে অনিবন্ধিত আরও ৭টি শরণার্থী শিবির। এর মধ্যে উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নে গড়ে উঠেছে ৪টি নতুন শরণার্থী শিবির।
এগুলো হচ্ছে বালুখালী ঢালার মুখ শরণার্থী শিবির, তাজনিরমারছড়া শরণার্থী শিবির, শফিউল্লাহ কাটা শরণার্থী শিবির ও হাকিমপাড়া শরণার্থী শিবির।এছাড়াও টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নে গড়ে উঠেছে আরও তিনটি শরণার্থী শিবির। এগুলো পুটিবনিয়া, রইক্ষ্যং ও নাইক্ষ্যংছড়ি বাঁশবাগান এলাকায়। অনিবন্ধিত এসব শরণার্থী শিবিরের রোহিঙ্গাদের বায়োমেট্রিক নিবন্ধনের পর নিয়ে যাওয়া হবে বালুখালীর নতুন শরণার্থী শিবিরে।
উখিয়ার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মাইন উদ্দিন জানিয়েছেন, কুতুপালং ক্যাম্প থেকেই রোহিঙ্গাদের নিবন্ধনের কাজ শুরু করা হয়েছে। এখানে কুতুপালং ও বালুখালীতে দুটি টিম এবিষয়ে কাজ করছে।এই কাজে সহায়তার জন্য ঢাকা থেকে কক্সবাজারে একটি টিম এসেছে।
কক্সবাজারে রোহিঙ্গা সেলের ফোকাল পয়েন্ট (মুখপাত্র) ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) খালেদ মাহমুদ জানান,বায়োমেট্রিক নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় প্রত্যেক রোহিঙ্গার নাম, ঠিকানা,আঙ্গুলের ছাপ ও ছবিসহ তাদের বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করা হবে। এ কাজে পাসপোর্ট অধিদফতরের একটি টেকনিক্যাল টিম সব ধরনের সহযোগিতা দিচ্ছে।নিবন্ধিত রোহিঙ্গাদের পরিচয়পত্রও দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
রোহিঙ্গাদের বায়োমেট্রিক নিবন্ধন কেন প্রয়োজন জানতে চাইলে জানান, ‘ভবিষ্যতে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যর্পনের (রিপেট্রিয়েশন) সময় এই বায়োমেট্রিক নিবন্ধন কার্ড তাদের কাজে লাগবে। কোনও কারণে রোহিঙ্গাদের পরিচয় নিয়ে যদি মিয়ানমার আপত্তি তোলে সেক্ষেত্রে এটি সহায়ক হবে। আর রোহিঙ্গাদের শনাক্ত করার ক্ষেত্রে কখনোই যেন মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ বেঁকে বসতে না পারে এ জন্যই এটি করা হচ্ছে।
এছাড়াও যেহেতু প্রযুক্তি এগিয়েছে অনেকদূর আমরা সেটিকে কাজে লাগাচ্ছি। আর সাধারণভাবে রোহিঙ্গাদের নিবন্ধন করা হচ্ছে ও তাদেরকে পরিচয়পত্র দেওয়া হচ্ছে।যেহেতু বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধন করতে গেলে একজন মানুষের শরীরের অনেক কিছুরই প্রমাণ রাখতে হয়, সেহেতু এ পদ্ধতিতে রোহিঙ্গারা নিবন্ধিত হলে সেটি পাকাপোক্ত হবে।
Posted ২:৩৭ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta