বিশেষ প্রতিবেদক(২৬ ডিসেম্বর) :: কক্সবাজারের কুতুবদিয়া উপজেলার বিভিন্ন পয়েন্টে ম্যানগ্রুভ ফরেষ্ট নিধন, নির্বিচারে সমুদ্র সৈকতের বালি পাচার ও বন ভূমি দখল করে লবণমাঠ করা হচ্ছে।দ্বীপের প্রভাবশালী ভূমিদস্যুদের এ অশুভ তৎপরতা কঠোরহস্তে দমন করা না গেলে অচিরেই নি:শেষ হয়ে যাবে দ্বীপ রক্ষাকারী ম্যানগ্রোভ ফরেষ্ট।
এতে করে চরম হুমকিরমূখে পড়তে পারে দেশের অন্যতম জলবায়ু ক্ষতির শিকার দ্বীপ-কুতুবদিয়া প্রতিরক্ষাবাঁধ ও জনবসতি।দ্বীপের সর্ব উত্তর জিরো পয়েন্টের পূর্ব চরধূরুং, লেমশীখালী বিসিকের আশে-পাশে, বড়ঘোপ আজম কলোনীর পূর্বে, পূর্ব আলী আকবর ডেইল গ্রামের আনিচের ডেইল ও তাবালের চর দূর্গম এলাকায় স্কেবেলেটর দিয়ে বন ভূমির রুপ পরিবর্তন, বাইনগাছ নিধন ও বন ভূমি দখলে নিয়ে লবণ করার চিত্র দেখা গেছে।
দ্বীপের বড়ঘোপ বাজার সংলগ্ন সমুদ্র সৈকত, মাতবর পাড়া ও কৈয়ারবিল সমুদ্র সৈকত থেকে প্রতিনিয়ত বালি পাচারের কারণে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে ওই এলাকায় অবস্থিত মনোমুগ্ধকর বিশাল ঝাউবাগান। ওইসব নিধন,পাচার ও দখলের সাথে জড়িত নয় কোন গরীব মানুষ।
এলাকা ভিত্তিক কতিপয় প্রভাবশালী ভূমিদস্যু ও চিহ্নিত কুখ্যাত জলদস্যু সর্দারেরাই দ্বীপের পৌণে দু’লাখ মানুষের সর্বনাশ করছে বলে অভিযোগ করেন সচেতন মহল।দ্বীপের পূর্ব চরধূরুং এলাকায় বিশাল ম্যানগ্রোভ ফরেষ্ট নিধন করে ২০/২৫ জন আইল্যা (শ্রমিক) নিয়োগ দিয়ে ওই এলাকার কুখ্যাত জলদস্যু সর্দার আবদুল মজিদ প্রায় ৫০/৬০ কানি জায়গায় লবণ মাঠ করছে বলে অভিযোগ করেন এলাকাবাসী।
বন নিধনের ফলে ওই এলাকার বিশাল সমুদ্র সৈকত সমুদ্র গর্ভে বিলীনসহ হুমকিরমূখে পড়বে বেড়িবাঁধ।
এলাকাবাসীর অভিযোগ লবণ মাঠ মৌসুমের শুরুতে দৌড়ঝাঁপ ও কয়েকটি নামকা ওয়াস্তে মামলা-অভিযোগ করে মোটা অঙ্ক হাতিয়ে নিয়ে নিরব ভূমিকায় থাকে বনবিভাগ।আর জেলা পরিবেশ অধিদপ্তর দ্বীপে কোন অভিযানই পরিচালনা করে না বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
আর কুতুবদিয়ার কতিপয় প্রভাবশালী জনপ্রতিনিধি বন ও বনভূমি চায়না দাবী করে পূর্ব চরধূরুংয়ের ওই জায়গা বন বিভাগের নয় বলে সাপ জবাব দিয়েছেন রেজ্ঞ কর্মকর্তা।
Posted ২:১৭ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta