শাহিদ মোস্তফা শাহিদ,সদর(১৭ জুন) :: ককসবাজার সদরের বাকখালী নদী থেকে উদ্ধারকৃত লাশ বেওয়ারিশ হিসাবে দাফনের পর পরিচয় মিলেছে। তবে মৃত্যু নিয়ে জনমনে কৌতুহলের শেষ নেই। ইতিমধ্যে লাশ উত্তোলনে প্রশাসনিক প্রক্রিয়া চালাচ্ছে বলে পারিবারিক সুত্রে জানা গেছে।
লাশটি রামু উপজেলার রশিদ নগর ইউনিয়নের উল্টাখালী সিকদার পাড়া গ্রামের বদিউল আলমের ছেলে খোকন বলে দাবী করছে তার পরিবার।
উল্লেখ্য গত বৃহস্পতিবার বাকখালী নদী থেকে ভাসমান অবস্থায় প্রত্যক্ষদর্শীরা একটি লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পরে নানা চেষ্টার পর ও লাশের পরিচয় না মেলায় বেওয়ারিশ হিসাবে দাফনের একদিন পর সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারিত ছবি থেকে পরিবারের লাশটি খোকনের বলে শনাক্ত ও দাবী করে। রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত পরিবার খোকনের দাফনকৃত লাশ উত্তোলনে প্রক্রিয়া চালাচ্ছে।
উদ্ধারস্থল ও নিহত যুবক খোকনের এলাকার মেম্বার ও চেয়ারম্যানের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করে ও রিসিভ না করায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রনজিত বড়–য়ার সাথে কথা হলে তিনি জানান বেওয়ারিশ হিসাবে দাফনকৃত লাশের পরিচয় পাওয়ার পর পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে লাশ উত্তোলন পুর্বক ময়না তদন্তের প্রক্রিয়া চলছে। রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর কারন জানা যাবে।
তবে ঘটনাস্থলের লোকজন জানান উক্ত খোকনসহ আরো কয়েকজন গত মঙ্গলবার সকালে খরুলিয়াস্থ বাঁকখালী নদীর পাড়ে জিয়াউর রহমানের কথিত ইয়াবা সেবনের টঙ্গিতে অবস্থানকরে ইয়াবা সেবন করে। ঐ সময় বিজিবি সদস্যরা কাঠ উদ্ধারে অভিযান চালায়।
এ সময় টঙে অবস্থান কারী ইয়াবা সেবীরা তাদেরকে আটকের অভিযান চালাচ্ছে মনে করে নদীতে ঝাঁপ দিলে ঢলের পানিতে ভেসে যায় খোকন। তাদের মধ্যে কয়েকজন উদ্ধার হয় এবং এরপরদিন খোকনের লাশ পেয়ে বেওয়ারিশ হিসাবে দাফন করে প্রশাসন। এদিকে তার লাশ উত্তোলনের সংবাদে মৃত্যুর কারন নিয়ে নানা জল্পনা কল্পনা চলছে।
সচেতন মহলের দাবী সরেজমিনে ঘটনাস্থল তদন্ত করলেই বেরিয়ে আসতে পারে মৃত্যুর আসল রহস্য।
Posted ১২:৫৮ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ১৮ জুন ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta