কক্সবাংলা রিপোর্ট(২২ জুলাই) :: কক্সবাজারের হিমছড়ি পিকনিক স্পটে ঝর্ণা দেখতে গিয়ে পাহাড় ধ্বসে রিদোয়ানুল আলম সাব্বির(২১) নামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২য় বর্ষের মার্কেটিং বিভাগের এক ছাত্রের মর্মান্তিক মৃত্যূ হয়েছে। সাব্বির রাজধানী ঢাকার উত্তরার বাসিন্দা নুরুল আলম বাচ্চুর ছেলে। এসময় রাহাত ও ইব্রাহিম নামে আরও আরও দুইজন আহত হন। শনিবার ২২ জুলাই বিকাল ৪ টায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়,ঢাকা থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রিদোয়ান সহ ৭ জনের একটি গ্রুপ শনিবার সকালে কক্সবাজারের হিমছড়িতে একটি সরকারী প্রতিষ্ঠানের রেস্টহাউসে উঠেন। বিকাল ৪টায় তারা হিমছড়ির ঝর্ণা দেখতে গেলে ছাত্রদের কেউ কেউ ঝর্ণার পানিতে নেমে ছবি তুলছিলেন। এ সময় সাব্বিরসহ তিন সহপাঠী রংধনু নামে পরিচিত ঝর্ণার পাশে পাহাড়ের পাদদেশে দাঁড়িয়ে দৃশ্যটি উপভোগ করছিলেন। একপর্যায়ে প্রায় ১০০ ফুট উঁচু ঝর্ণার উপরের পাহাড়ের একটি বড় অংশ রিদোয়ানের শরীরে উপর চাপা পড়ে।
এ সময় স্থানীয় সেনাবাহিনীর প্রকৌশল বিভাগের আবুল নামের এক মাইক্রো ড্রাইভার তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত ডাক্তার ইমরান উদ্দিন তাকে মৃত্যূ ঘোষনা করে।আহত রাহাত ও ইব্রাহিমের আঘাত গুরুতর না হওয়ায় তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়।
এ ব্যাপারে কক্সবাজার হিমছড়ি পুলিশ ফাড়িঁর ইনচার্য মোজাম্মেল হক চৌধূরী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান,নিহত রিদোয়ানুল আলম সাব্বিরে লাশ ময়না তদন্দের কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রণজিৎ কুমার বড়ুয়া বলেন, নিহত সাব্বিরের লাশ কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। পরিবারের সদস্যরা ঢাকা থেকে কক্সবাজার পৌঁছালে লাশ হস্তান্তর করা হবে।
প্রসঙ্গত, ২০১১ সালের ১৫ জুন হিমছড়িতে পাহাড়ধসে মারা যান সেনাবাহিনীর প্রকৌশল বিভাগের ছয় সদস্য।
Posted ৬:৫৫ অপরাহ্ণ | শনিবার, ২২ জুলাই ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta