বিশেষ প্রতিবেদক(২৪ জুন) :: কক্সবাজারে অন্যান্য বছরের মতো এবারও যথাযোগ্য ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পালিত হবে ঈদ-উল-ফিতর।এজন্য সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।ঈদ উৎসবকে কেন্দ্র করে রোববার বিকাল থেকেই শাওয়াল মাসের নতুন চাঁদ দেখার জন্য অগণিত মুসলিম আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকবেন।
রবিবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেলে সোমবার পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর। ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব। দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনার পর মুসলমানরা এই উৎসব পালন করবেন।রবিবার চাঁদ দেখা না গেলে ২৭ জুন হবে ঈদ-উল-ফিতর।
প্রতিবারের মতো এবারও ঈদ-উল-ফিতরের নামাজের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে শহরের ঈদগাহ ময়দানে। সকাল ৮ টায় অনুষ্ঠিত হবে ঈদের প্রধান জামাত। নামাজ শেষে দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহ্র শান্তি, উন্নতি ও সমৃদ্ধি কামনায় পরিচালনা করা হবে বিশেষ মোনাজাত।
ঈদে যাতে অপ্রীতিকর কোন ঘটনা না ঘটে সেজন্য আইনÑশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। রাস্তায় রাস্তায় মোতায়েন করা হবে পুলিশ। ঈদগাহ থেকে শুরু করে গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতেও অন্যান্য সময়ের চেয়ে অধিক সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হবে বলে জানান পুলিশ সুপার ড. একেএম ইকবাল হোসেন।
ঈদগাহ ছাড়াও শহরের বৃহত্তম জামে মসজিদগুলোতেও আয়োজন করা হচ্ছে ঈদ জামাতের। সকাল ৮ টা ৪৫ মিনিটে বায়তুশ শরফ জামে মসজিদে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন বায়তুশ শরফ কমপ্লেক্সের মহা-পরিচালক আলহাজ¦ এম.এম. সিরাজুল ইসলাম। বায়তুশ শরফ মসজিদে এক সঙ্গে প্রায় ৫ হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারবেন বলেও জানান তিনি।
এ ছাড়া সকাল ৮ টা থেকে ৯টার মধ্যে ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে বদর মোকাম জামে মসজিদ, বাজারঘাটা জামে মসজিদসহ শহরের বড় বড় জামে মসজিদগুলোতে।
ঈদের নামাজের প্রধান জামাত আয়োজন করতে প্রস্তুত করা হচ্ছে ঈদগাহ ময়দানকে। কক্সবাজার পৌরসভার তত্ত্বাবধানে গত কয়েকদিন ধরে সেখানে অস্থায়ী ছাউনি নির্মাণের কাজ চলছে। বৃষ্টি হলেও যাতে নামাজ পড়তে সমস্যা না হয় সে জন্যই এই ছাউনির ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে, মুষলধারে বৃষ্টিসহ বড় ধরনের সমস্যায় ঈদগাহ নামাজ পড়ার অনুপযুক্ত হলে ঈদের প্রধান জামাত স্থানান্তরিত করা হবে কোর্ট বিল্ডিং চত্বরস্থ কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে।
ঈদ উপলক্ষে ইতোমধ্যে সরকারি বেসরকারি অফিসগুলোতে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। আগামি ২৯ জুন খুলবে সরকারি কার্যালয়গুলো।
তবে, জনসাধারণের সুবিধার্তে গত ২৩ এবং ২৪ জুন শুক্র এবং শনিবারও তফসিলি ব্যাংকগুলো খোলা ছিলো। ফলে এ দু’দিন সাধারণ মানুষ তাঁদের অ্যাকাউন্টে লেনদেন করতে পেরেছেন।
ঈদ -উল-ফিতর উপলক্ষ্যে বর্ণাঢ্য সাজে সাজবে পর্যটন নগরী কক্সবাজার।
আদালত, জেলা প্রশাসক কার্যালয়, কক্সবাজার পৌরসভা থেকে শুরু করে গুরুত্বপূর্ণ সরকারি, ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের ভবনগুলো আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হবে। কারাগার, হাসপাতাল, মা ও শিশু হাসপাতাল, এতিমখানায় পরিবেশন করা হবে উন্নতমানের খাবার।
২৪ জুন থেকে কক্সবাজার পৌরসভার উদ্যোগে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে তোরণ নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে।
Posted ১:৫৬ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ২৫ জুন ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta