সোয়েব সাঈদ,রামু(১৭ মে) :: পরপর একাধিক মিথ্যা নারী নির্যাতন মামলা করায় বাদি নাছিমা আকতারকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃত নাছিমা আকতার কক্সবাজার সদর উপজেলার পিএমখালী ইউনিয়নের উত্তর ডিকপাড়া এলাকার ছৈয়দ নুরের মেয়ে।
১৭ মে বিকালে কক্সবাজার শহরের বাজারঘাটা এলাকা থেকে তাকে আটক করেন কক্সবাজার মডেল থানার এসআই দেলোয়ার।
আটক নাছিমা আকতার ইতিপূর্বে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়লে স্বামী কর্তৃক তালাকপ্রাপ্ত হন। পরে ক্ষিপ্ত হয়ে নাছিমা আকতার স্বামীসহ নিরীহ লোকজনকে জড়িয়ে রামু থানায় ২টি ও কক্সবাজার থানায় ১টি সহ মোট ৩টি মামলা দায়ের করেন। এরমধ্যে পুলিশ দুটি মামলা মিথ্যা উল্লেখ করে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। এরই প্রেক্ষিতে বিজ্ঞ আদালতের বিচারিক হাকিম মামলা দুটি খারিজ করে দেন।
মামলাটি দুটি মিথ্যা প্রমানিত হলেও এ মামলায় কারাভোগ করে হয়রানির শিকার হন বাদি নাছিমা আকতারের সাবেক স্বামী রামুর ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের তেচ্ছিপুল এলাকার আমিন উল্লাহ।
এজন্য তিনি মিথ্যা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন অনুযায়ি মিথ্যা মামলা করায় বাদি নাছিমা আকতারকে অভিযুক্ত করে গত ১১ জানুয়ারি কক্সবাজার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সংশোধিত ২০০৩) এর ১৭(১)৩০ ধারা মতে মামলা দায়ের করেন। বিজ্ঞ আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে মিথ্যা মামলার বাদি নাছিমা আকতারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
মিথ্যা মামলায় হয়রানির শিকার সৌদি প্রবাসী আমিন উল্লাহ জানিয়েছেন, নাছিমা আকতার তার বিবাহিত স্ত্রী এবং তাদের দুই ছেলে মেয়ে ছিলো। তিনি প্রবাসে অবস্থানকালে স্ত্রী থাকাবস্থায় নাছিমা আকতার ওই এলাকার মৃত নুর আহমদের ছেলে ফয়েজ আলম নামের এক ব্যক্তির সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে।
বিষয়টি জানতে পেরে স্বামী আমিন উল্লাহ ২০১৪ সালের ১৯মে দেশে চলে আসেন এবং আসার পর ওই বছরের ১২ মে স্ত্রী নাছিমা আকতারকে ফয়েজ আলমের সাথে আপত্তিকর অবস্থায় হাতেনাতে ধরে ফেলেন।
এসময় ক্ষিপ্ত হয়ে পরকীয়া প্রেমিকের সহায়তায় নাছিমা আকতার দা দিয়ে স্বামী আমিন উল্লাহকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেন। এঘটনার পর স্ত্রী নাছিমা আকতার ও পরকীয়া প্রেমিক ফয়েজ আলমকে অভিযুক্ত করে রামু থানায় মামলা করেন (জিআর ১৩৪/১৪) আমিন উল্লাহ। এছাড়াও নষ্টা চরিত্রের হওয়ায় ওই বছরের ১৫মে নাছিমা আকতারকে তালাক দেন আমিন উল্লাহ।
এঘটনার পর নাছিমা আকতার ২০১৪ সালের ২জুলাই রামু থানায়, ২০১৫ সালের ১৯ এপ্রিল কক্সবাজার মডেল থানায় এবং সর্বশেষ গত ২০১৬ সালের ১৭ নভেম্বর রামু থানায় আমিন উল্লাহসহ নিরীহ লোকজনকে জড়িয়ে পরপর ৩টি মামলা দায়ের করেন নাছিমা আকতার। যার মধ্যে ২টি মামলা মিথ্যা প্রমানিত হওয়ায় বিজ্ঞ আদালত খারিজ করে দিয়েছে।
Posted ১২:৪৮ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১৮ মে ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta