এম.আর মাহবুব(২২ মে) :: অস্থির চালের বাজার কিছুতেই নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। কৃষকরা বোরো চাষের নতুন ধান ঘরে তুললেও বাজারে এর প্রভাব পড়েনি। হতদরিদ্রদের চাহিদার মোটা চালের দাম ঠিক আগের মতোই। উল্টো মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্তের চাহিদার মিনি কেট, কাটারি আতপ ও চিনি গুরা চাল খোলা বাজারে কেজিতে ৩ থেকে ৫ টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে।
সব মিলিয়ে বেঁচে থাকার অনুষঙ্গ চালের উর্ধ্বমুখি বাজারে নি¤œ আয়ের মানুষের জীবনমান কষ্ট সাধ্য হয়ে উঠছে। আবার কোন রকমে খেয়ে বাচাঁর তাগিদে হতদরিদ্র মানুষ খাদ্য তালিকায় নতুন করে আটা নিয়ে এসেছে।
এদিকে সহসাই চালের দাম কমছে না বলে অভিমত দিয়েছেন কক্সবাজারের পাইকার ও খুচরা চাল বিক্রেতারা।
২০ মে কক্সবাজার শহর ও শহরতলীর বেশ কয়েকটি চালের পাইকারী আড়ত ও খুচরা দোকান ঘুরে দেখা যায়-সব দোকানেই কম-বেশি বোরো চাষের নতুন চাল তুলেছে। কিন্তু চালের বাজারে এর প্রভাব পড়েনি।
নতুন চাল পাইকারী আড়তে বস্তা প্রতি বিক্রি হচ্ছে-১৮’শ থেকে ১৯’শ টাকায়। যা খোলা বাজারে কেজি ৩৮ টাকা থেকে ৪২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পুরনো মোটা চাল এক বস্তা বিক্রি হচ্ছে ২’হাজার থেকে ২২’শ টাকায়। বর্তমানে মোটা চালের গ্রাহকরা খাদ্য তালিকায় চালের পরিবর্তে কেজি ২৬ টাকা দামের আটার দিকে ঝুঁকে পড়েছে।
নি¤œ মধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্ত শ্রেণীর পছন্দের মিনিকেট প্রজাতির চাল বস্তা প্রতি বিক্রি হচ্ছে ২৪’শ থেকে আড়াই হাজার টাকায়। যা খোলা বাজারে কেজিতে ৫০ টাকা থেকে ৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে কাটারি আতপ বস্তায় বিক্রি হচ্ছে ২৭’শ থেকে ২৮’শ টাকায়। সমাজের বড় লোকের পছন্দের চাল চিনি গুরা বস্তা প্রতি ৩৮’শ থেকে ৪’হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে শহরের চাঊল বাজারের মেসার্স এম. হোসেন ট্রেডার্সের পরিচালক এইচ এম জসিম উদ্দিন বলেন-কৃষির উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পাওয়ায় কৃষক বাচাঁতে সরকার বিদেশ থেকে চাল আমদানি বন্ধ করেছে। ফলে চালের বাজার বিগত ৩ মাস ধরে অস্থির রয়েছে। তাছাড়া হাওর এলাকার ৬ জেলার ৪৭ টি উপজেলার বোরো চাষ আগাম বন্যায় সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে (এরপর যাওয়ায় দেশে চালের দাম আরও বাড়তে পারে।
খুরুস্কুলের বয়োবৃদ্ধ রিক্সা চালক হোসেন আহমদ জানান-অভাবের সংসারে ৬ সদস্য। সারাদিন খাটুনি দিয়ে যে আয় হয় তা চাল কিনতেই পুরিয়ে যায়। এভাবেই চলছে কষ্টের সংসার।
Posted ১২:২২ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ২৩ মে ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta