বিশেষ প্রতিবেদক(১৯ মে) :: রাজধানী ঢাকার চাঞ্চল্যকর বনানী ধর্ষণ ঘটনায় জড়িত আপন জুয়েলার্স পরিবারের সদস্যদের বিপদ-আপদ থেকে রক্ষার জন্য কক্সবাজারের মসজিদে জুম্মার নামাজে মোনাজাত করা হয়েছে। এমনকি ধর্ষকদের রক্ষার জন্য মসজিদে বিশেষ কোরান খতমেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে।
শুক্রবার জুমার নামাজের পর এই মোনাজাত করা হয়।
কক্সবাজার শহরের দুটি ঐতিহ্যবাহী মসজিদের জুম্মার নামাজে ধর্ষকদের রক্ষার জন্য এমন ধর্মীয় প্রার্থনায় উপস্থিত মুসল্লিসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
জানা গেছে, কক্সবাজার শহরের ঐতিহ্যবাহী বায়তুশ শরফ জামে মসজিদের জুম্মার নামাজে ইমামদ্বয় এমনসব প্রার্থনা করেন। মোনাজাতে প্রার্থনার পরপরই মসজিদের মুসল্লিরা তীব্র সমালোচনা করতে থাকেন। এমনকি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিষয়টি নিয়ে তীব্র সমালোচনা করা হচ্ছে।
আবুল বাশার নামের এক মুসল্লি জানিয়েছেন, নামাজের সময় তিনি একেবারে সামনের সারিতেই ছিলেন। জুমার নামাজ শেষে মসজিদের ইমাম মৌলানা রিদুয়ানুল হক যখন মোনাজাত শুরু করবেন তখন বায়তুশ শরফ কমপ্লেক্সের পরিচালক সিরাজুল ইসলাম কানে কানে ইমাম সাহেবকে কিছু একটা বলেন। এরপর মোনাজাত করে বনানীতে ২ ছাত্রী ধর্ষণে জড়িতদের মুক্তি ও আপন জুয়েলার্সকে বিপদ থেকে মুক্তির জন্য দোয়া করা হয়।
এ প্রসঙ্গে বায়তুশ শরফ জামে মসজিদ পরিচালনা পরিষদের সভাপতি বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ এম এম সিরাজুল ইসলাম বলেন, “আমি শুক্রবার সকালে চট্টগ্রাম এসেছি। আমিও শুনেছি বিষয়টি। ”
তিনি বলেন, “খোঁজ নিয়ে জেনেছি মসজিদের খতিব মওলানা রিদওয়ানুল হককে আপন জুয়েলার্সের একজন ঘনিষ্ঠ আত্মীয় মোনাজাতের সময় আকস্মিক একটি স্লিপ ধরিয়ে দিয়ে মোনাজাত করিয়ে নেন। মোনাজাতের পর মসজিদের খতিব অবশ্য বিষয়টির ভুল স্বীকার করেছেন। “এ ঘটনার জন্য শনিবার কমিটির জরুরি সভা আহবান ও ইমামকে শোকজ করার কথা জানান।
বায়তুশ শরফ মসজিদ কক্সবাজার শহরের সবচেয়ে বড় মসজিদ। এই মসজিদে কয়েক হাজার
মুসল্লী জুমার নামাজ আদায় করেন। মোনাজাত শেষ হওয়ার পর ৩ তলা এই মসজিদের কয়েক হাজার মুসল্লী চিৎকার শুরু করেন। মুসল্লীরা মসজিদের ইমাম ও কমিটির কাছে এই ধরনের ঘৃণিত কাজের জন্য মোনাজাত কেন করা হলো জানতে চায়। মুসল্লীরা উত্তেজিত হয়ে পড়লে ইমাম ও পরিচালক দ্রুত পালিয়ে যায়।
Posted ১২:৩১ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ২০ মে ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta