রাজিবুল ইসলাম মোস্তাক(১২ আগস্ট) :: আসন্ন ঈদুল আযহা উপলক্ষে কক্সবাজারের পাড়া-মহল্লার মুদি দোকান গুলোতে বেড়েছে পেঁয়াজ, রসুন ও আদার দাম। গত সপ্তাহের তুলনায় এ তিনটি পণ্যের কেজি প্রতি ২০ থেকে ৩০ টাকা বেড়েছে। এতে বিপাকে পড়ছেন নিম্ন ও মধ্যবিত্ত ক্রেতারা।
ক্রেতাদের অভিযোগ, ঈদকে সামনে রেখে রপ্তানি কমে যাওয়ার অজুহাতে ব্যবসায়ীরা দাম বাড়াচ্ছেন।
অন্যদিকে ব্যবসায়ীরা বলছেন, আমদানিকৃত রসুন ও আদার সরবরাহ কমে যাওয়া এবং ভারতে পেঁয়াজের দাম বাড়ার কারণে বাংলাদেশের বাজারেও এর প্রভাব পড়েছে।
কক্সবাজারের বিভিন্ন খুচরা বাজারে ঘুরে দেখা যায়,পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে কেজি ৬৫ থেকে ৭০ টাকায়।তবে পাইকারী বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকায়। আগস্ট মাসের শুরুতেই পেঁয়াজের বাজার মূল্য ছিল কেজি ২৫ থেকে ২৭ টাকা। অথচ সপ্তাহ না পেরোতেই পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় তিন গুণের কাছাকাছি।
বন্যার কারণে প্রতিবেশি দেশ ভারতে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়ায় পাইকার ও খুচরা বাজারে মূল্য বৃদ্ধির কারণ বলে জানালেন কক্সবাজার শহরের এক পাইকার বিক্রেতা।
শুধু তাই নয়- আসন্ন পবিত্র ঈদুল আযহাকে উপলক্ষ করে হু-হু করে বাড়ছে পেঁয়াজের পাশাপাশি নিত্য-পণ্য আদা ও রসুনের দাম। এক সপ্তাহ আগের ৮০-৮৫ টাকার কেজি আদা খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা। শহরতলীর মুদি দোকানদার নুরুল আবছার জানান- আদা পাইকার বাজার থেকে এখন কিনতে হচ্ছে কেজিতে ১২৫ থেকে ১৩০ টাকা।
অন্যদিকে কোরবানীর ঈদকে সামনে রেখে বাজারে উর্ধ্বমূখী রসুনের দাম। ১২০-১৩০ টাকার রসুন গত দু’দিনে দাম বেড়ে এক লাফে কেজি ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
শহরতলীর লিংকরোড় বাজারে বাজার করতে আসা ক্রেতা সোহেল জানান- বাজারে সংশ্লিষ্টদের নজরদারি না থাকায় কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে নিত্য পণ্য পেঁয়াজ,আদা, রসুনের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে অসাধু পাইকাররা। এর প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারে।
অন্য একটি সূত্র জানায়-আসন্ন কোরবানীর ঈদকে উপলক্ষ করে পেঁয়াজের বাজারে বড় ধরনের কারসাজি চলছে। ভারতে বন্যার কারণে পেঁয়াজের ক্ষতি হলেও বাংলাদেশে তা হয়নি। তবুও দাম বৃদ্ধির হার ভারতের চেয়েও বেশি।
দামের ব্যাপারে কক্সবাজারের বড় বাজারের কয়েকজন ব্যবসায়ি জানান,‘ভারতীয় পেঁয়াজের উপর নির্ভর করতে হয় আমাদের। সেখানে দাম বাড়লে, আমাদেরকেও বেশি দামে কিনতে হয়।’আর ‘চাহিদা থাকার ফলে ঈদের আগে দাম কমার সম্ভাবনা কম। এছাড়াও আমদানিকৃত পেঁয়াজ, রসুন, আদার উপর নির্ভর করে বাজারে দাম কমবে না বাড়বে।
’ তিনি আরো বলেন, ‘কোরবানি ঈদের আর বেশিদিন নেই। ঈদের আগে যে কয়েকদিন আছে এর মধ্যে এ পণ্যগুলোর আমদানির জন্য এলসি করলেও এসব পণ্য বাংলাদেশে এসে পৌঁছাতে ঈদের পর হয়ে যাবে।’
Posted ৪:০৯ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ১৩ আগস্ট ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta