কক্সবাংলা রিপোর্ট(২৩ মে) :: কক্সবাজার জেলাজুড়ে তীব্র তাপদাহ অব্যাহত থাকায় অতিষ্ট হয়ে উঠেছে জনজীবন।তীব্র গরমে খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষ হাঁফিয়ে উঠছে। বাতাসে আর্দ্রতা বেশি হওয়ায় অস্বস্তিকর গরম অনুভূত হচ্ছে। এর সাথে রয়েছে লোডশেডিং। এদিকে আবহাওয়া পরিবর্তন ও গরমের কারণে ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার সদর হাসপাতালের চিকিৎসকরা। এ প্রচন্ড গরমে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। অপরদিকে জেলায় তীব্র লোডশেডিং হচ্ছে বলেও অধিকাংশ মানুষ অভিযোগ করেছেন।
ইতিমধ্যে মহেশখালীতে হিটস্ট্রোকে একজনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছেন আরো ২জন।
কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের সহকারী পরিচালক নাজমুল হাসান জানিয়েছেন গত কয়েকদিন ধরে কক্সবাজার জেলায় অসহনীয় গরম পড়ছে। সোমবার এখানে মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৪ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। আগামী দুই দিনে বৃষ্টির কোনো সম্ভাবনা নেই। চলমান তাপপ্রবাহ চলতে পারে আরও চারদিন থেকে এক সপ্তাহ। তিনি জানান,২০১৪ সালে জেলায় সর্বোচ্চ তাপমত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৩৭.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছারা বাতাসে আর্দ্রতা ৬০ শতাংশের বেশি থাকলে বিরাজমান গরম আবহাওয়ায় অস্বস্তি অনুভূত হয়। হালকা বাতাসে কিছুটা ভালো লাগলেও আর্দ্রতার তারতম্যের কারণে বিকাল থেকে রাতে তাপদাহে অতিষ্ঠ হচ্ছেন নাগরিকরা।
এদিকে মহেশখালীর হোয়ানক ইউনিয়নের রাজুয়ার ঘোনা গ্রামের মৃত প্রাণহরি শীলের পুত্র ব্রজেন্দ্র সুশীল (৫৭) সোমবার সকাল ১০ টায় পান বরজে কাজ করার সময় তীব্র গরমে ছটপট করছিলেন। এরপর বাড়িতে ফিরে এসে হঠাৎ তিনি অজ্ঞান হয়ে যান। সাথে সাথেই তার মৃত্যু হয়। ঢলে পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান।
অপরদিকে বিকাল ৩টায় কালারমার ছড়া ইউনিয়নের মিজ্জির পাড়ায় একটি মেলায় হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হন ২ জন। এরা হচ্ছেন মফিজ আলমের স্ত্রী রুমা আক্তার (৩০) ও হোয়ানক ইউনিয়নের বানিয়াকাটা গ্রামের মৃত হেদায়েতুর রহমানের পুত্র হাজী কামাল পাশা (৫৭)। রুমা আক্তার প্রাথমিক চিকিৎসায় সুস্থ হলেও হাজী কামাল পাশাকে অজ্ঞান অবস্থায় চমেক হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
Posted ১২:০২ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ২৩ মে ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta