রোতাব চৌধূরী :: কক্সবাজার শহরের প্রাণ কেন্দ্র কাছারি পাহাড়ে নব নির্মিত জেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে উদ্বোধন করা হয়েছে।
শুক্রবার দুপুরে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন প্রধান অতিথি হিসাবে ফিতা কেটে নব নির্মিত চারতলা বিশিষ্ট এই জেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন।পরে দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করা হয়।
মুসল্লীদের উদ্দেশ্যে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, মসজিদ পবিত্র ও উত্তম স্থান। ধর্মীয় মূল্যবোধ, ইসলামি সংস্কৃতির বিকাশ ও ভ্রাতৃত্ব প্রতিষ্ঠায় মডেল মসজিদ অনন্য ভূমিকা রাখবে।
তিনি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সুরক্ষার পাশাপাশি বৈষম্যহীন দেশ গড়ে তুলতে দুর্নীতির মানসিকতা পরিহারের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
এরপরে সাংবাদিকদের ড. খালিদ বলেন, ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, ওমরাহর ক্ষেত্রে বিমানের টিকেট সিন্ডিকেট ভেঙে দেয়া হয়েছে।
সিন্ডিকেটের মাধ্যমে গ্রুপ টিকেট বুকিং দিয়ে অতিরিক্ত দামে বিক্রির সুযোগ বন্ধ হয়েছে।
তিনি বলেন, সাড়ে নয় হাজার কোটি টাকা ব্যায়ে সরকার ৫৬৪টি মডেল মসজিদ নির্মাণ করছে।এখানে কোন বিদেশী অর্থ নেই সবগুলোই বাংলাদেশ সরকারের অর্থ।
এ ছাড়া উপকূলীয় এলাকায় ১৬ টি মডেল মসজিদ নির্মাণ করা হচ্ছে। দুর্যোগকালীন সময়ে যাতে উপকূলবাসী এগুলো আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবেও ব্যবহার করতে পারে।
জেলা প্রশাসক ও মসজিদ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ সালাহ্উদ্দিনের সভাপতিত্বে এ সময় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রকল্প পরিচালক মো শহিদুল ইসলামসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
সবশেষে মডেল মসজিদে পবিত্র জুমার নামাজ আদায় করেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আ.ফ.ম খালিদ হোসেন।
কক্সবাজার কাছাড়ি পাহাড়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদটি ভেঙে সেখানে আধুনিক ও নান্দনিক স্থাপত্য শৈলীতে ৪ তলা বিশিষ্ট এই মডেল মসজিদ ও ইসলামীক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়।
নতুন এই মসজিদটিতে মহিলা পুরুষ মিলিয়ে মোট ১২ শত মুসল্লী একসাথে নামাজ আদায় করতে পারবেন বলে মসজিদ কমিটি জানায়।
কক্সবাজার গণপূর্ত বিভাগের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী মোহাম্মদ আরিফুর রহমান জানিয়েছেন, ১৯ কোটি ১৯ লক্ষ টাকা ব্যয়ে বহুমুখী সুবিধা সম্বলিত ভবনটি নির্মাণ করা হয়।
এ ছাড়া ভবনটির বিভিন্ন তলায় গাড়ি পার্কিং, ইমাম প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ পরিচালকের অফিস নামাজের মূল স্থান, ইসলামি গবেষণা কেন্দ্র, ইসলামি লাইব্রেরি ও সম্মেলন কক্ষসহ নানা সুযোগ সুবিধা রয়েছে।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অধীন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে গণপূর্ত বিভাগ “প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় ১টি করে ৫৬০ টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন (২য় সংশোধিত)” শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় এ সুরম্য ভবনটি নিমার্ণ করেছে।
Posted ১:০২ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta