এম জিয়াবুল হক, চকরিয়া :: চকরিয়া উপজেলার কোনাখালী ইউনিয়নে জমি দখলে নিয়ে ধান রোপনের চেষ্টা চালিয়েছে কতিপয় চক্র। এসময় বাঁধা দিতে গেলে পরিবারের চার সদস্যকে অস্ত্রধারী দুবৃর্ত্তরা কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করেছে। আহতদের চকরিয়া উপজেলা সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
তাদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে কক্সবাজার জেলা সদর সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ১৫ ফেব্রুয়ারী সকাল সাড়ে আটটার দিকে কোনাখালী ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের পুরুত্যাখালীস্থ ভেওলা মানিকচর মৌজার বিএস ৫১৬ নম্বর খতিয়ানের জমিতে ঘটেছে এ ঘটনা।
এ ঘটনায় জমি মালিক পক্ষের স্থানীয় পুরুত্যাখালী এলাকার মৃত গুরা মিয়ার ছেলে মো.রাজীব বাদি হয়ে গতকাল দুপুরে চকরিয়া থানায় ৬ জনের নামোল্লেখ ও আরও ৭-৮জনকে অজ্ঞাত আসামি করে একই এজাহার জমা দিয়েছেন।
এতে আসামি করা হয়েছে একই এলাকার মো ফরহাদ, বাবুল, বখতিয়ার উদ্দিন ও তার লোকজন।
চকরিয়া থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী জমি দখলে নিয়ে ধান রোপনের চেষ্টা, হামলার ঘটনায় বাদি রাজীব কতৃক দায়ের করা এজাহারটি আমলে নিয়ে তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে মাতামুহুরী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জকে দায়িত্ব দিয়েছেন।
বাদি রাজীব এজাহারে বলেন, অভিযুক্ত আসামিরা আগে থেকে আমাদের জমি দখলে নিতে নানাভাবে অপচেষ্টা চালিয়ে আসছে। এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে স্থানীয় কোনাখালী ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম আদালতে আমরা মামলা করি। দীর্ঘ শুনানিতে জমির বিপরীতে তাঁরা কোনধরনের বৈধ দলিলপত্র আদালতে দেখাতে পারেনি। এ অবস্থায় আদালত ওই জমির মালিকানা নিয়ে আমাদের পক্ষে রায় দিয়েছেন।
এরই জেরধরে অভিযুক্তরা বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্রে দলবদ্ধ হয়ে সর্বশেষ বৃহস্পতিবার সকালে আমাদের জমিতে হামলা চালিয়ে জোরপূর্বক ধান রোপন শুরু করে।
পরে বিষয়টি জানতে পেরে আমরা জমিতে গিয়ে তাদেরকে বাঁধা দিই। এসময় অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা কুপিয়ে ও পিটিয়ে আমাদের পরিবারের চারজনকে জখম করে।
আহতরা হলেন জমি মালিক মৃত গুরা মিয়ার ছেলে মো রাজীব (২৪), মৃত নুরুল আবছারের ছেলে আতিকুর রহমান (২৭), মৃত নুর মোহাম্মদ এর ছেলে তাসিরুল ইসলাম (২১) ও মৃত গুরা মিয়ার ছেলে সোহাগ (২১)। তাদের মধ্যে গুরুতর আহত আতিকুর রহমানকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বাদি রাজীব এজাহারে বলেন, হামলার সময় তাঁর পকেট থেকে ৩৭ হাজার পাঁচশত টাকা, ২১ হাজার টাকা দামের আতিকুর রহমানের একটি মোবাইল ফোন, ২৭ হাজার টাকা দামের তাসিরুল ইসলামের মোবাইল ফোন লুটে নিয়ে গেছে।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, আক্রান্ত পক্ষে রাজীব নামে একজন বাদি হয়ে করা এজাহারটি তদন্তের জন্য মাতামুহুরী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ঘটনা সত্যতা পাওয়া গেলে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
Posted ১১:০৪ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta