শাহিদ মোস্তফা শাহিদ,সদর(২৮ মে) :: কক্সবাজার সদর ইসলামাবাদ ইউনিয়নের মারকাযে আমেনা এতিমখানা হেফজখানা ও নূরানী মাদ্রাসায় পাতানো ও পকেট কমিটি গঠনের খবরে ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে যে কোন মুহুর্তে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা প্রকাশ করছে অভিভাবক মহল।
জানা যায়, স্থানীয় কুচক্রী মহল ও কতিপয় রোহিঙ্গা মৌলভীদের যোগসাজশে এ প্রতিষ্ঠানের কথিত শিক্ষক, বর্তমান ও সাবেক কয়েকজন শিক্ষক মিলে আজিজ মার্কা পরিচালনা ও উপদেষ্টা কমিটি গঠন করেছেন।
বর্তমান আহবায়ক কমিটির একজন সদস্যকে নিয়ে এ পাতানো কমিটি গঠন করা হয়েছে। অথচ ৭সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটির ৬ জন সদস্য এ ব্যাপারে কিছুই জানেন না। যার কারণে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে প্রতিষ্ঠানের সদ্য গঠিত পরিচালনা কমিটির বিরুদ্ধে।
স্থানীয় এমইউপি আবদু শুক্কুর জানান, ২০০০ সালে মাওলানা আবদুল্লাহ নেজাম কর্তৃক ইউনিয়নের আউলিয়াবাদ এলাকায় উক্ত প্রতিষ্ঠানটির যাত্রা শুরু হয়। বর্তমানে এর ছাত্রছাত্রী প্রায় ৩ শতাধিক। শিক্ষক রয়েছেন স্থানীয় ও রোহিঙ্গা মৌলভীসহ ৮ জন। প্রতিষ্ঠাতা কয়েক বছর নিজেই এ মাদ্রাসাটি পরিচালনা করেন। পরে বিশেষ কারণে তিনি স্থানীয় মোহাম্মদ ইসলামকে পরিচালনার জন্য অস্থায়ী দায়িত্ব দিয়ে সৌদি আরবে চলে যান।
বিশে^র বিভিন্ন দেশের নানা সংস্থার সাথে উক্ত প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্টদের যোগাযোগ রয়েছে। স্থানীয়ভাবেও প্রতিষ্ঠান পরিচালনার জন্য বিভিন্নজন থেকে চাঁদা সংগ্রহ করে আসছিল। বিষয়টি এলাকায় চাউর হলে তা বন্ধ হয়ে যায়।
২০১৪ সালে এটি পরিচালনার দায়িত্ব দেয়া হয় একটি বিদেশী সংস্থাকে। তারও দীর্ঘদিন পর স্থানীয় শাহনেওয়াজ শাহীন কোম্পানী ও নুরুল আবছার প্রতিষ্ঠানটিকে পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে আনেন। তারা এটি পরিচালনার জন্য পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করে সরকারী পাঠ্য-পুস্তক অন্তর্ভূক্তির চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন।
এক পর্যায়ে ইসলামাবাদ চেয়ারম্যান মো. নুর ছিদ্দিকের নেতৃত্বে ৮ সদস্যের উপদেষ্টা কমিটি গঠন করে প্রতিষ্ঠানটিকে সুন্দর ও নিয়মতান্ত্রিকভাবে পরিচালনা করতে থাকেন। পরে পূর্ণাঙ্গ পরিচালনা কমিটি গঠনের জন্য এ উপদেষ্টা কমিটি শিক্ষকদের সাথে দফায় দফায় আলোচনায় বসেন। তাতে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ চেয়ারম্যান লে. ক. অব. ফোরকান আহমদকে প্রধান অতিথি করে বার্ষিক সভার তারিখ ও নির্ধারণ করেন তারা।
কিন্তু এতে বেঁকে বসেন প্রতিষ্ঠানটির কর্মরত কয়েকজন শিক্ষক। তারা স্থানীয় কুচক্রীদের সাথে যোগসাজশ করে পূর্বনির্ধারিত বার্ষিক সভা বানচাল করে দেন। পরে ঐ উপদেষ্টা কমিটির অধিকাংশ সদস্যকে না জানিয়ে নতুন পরিচালনা ও উপদেষ্টা কমিটি গঠন করা হয়।
সাবেক উপদেষ্টাদের অনেকে নতুন এ কমিটিকে পাতানো ও পকেট কমিটি অভিহিত করে বলেন, ভারপ্রাপ্ত সুপার মাওলানা রশিদ আরমান, ইয়াকুব মনছুর ও বহিষ্কৃত সুপার মাও. মো. ইসলাম পরস্পর যোগসাজশের মাধ্যমে ষড়যন্ত্রমূলক উক্ত কমিটি গঠন করায় আমরা চরম হতাশ ও ব্যথিত হয়েছি। সাবেক উপদেষ্টা ও স্থানীয় মেম্বার আবদু শুক্কুর উক্ত ঘটনাটি ষড়যন্ত্রমূলক বলে মন্তব্য করেন।
এদিকে কমিটি গঠনের ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট অভিযুক্তদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।
Posted ১২:৩০ পূর্বাহ্ণ | সোমবার, ২৯ মে ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta