শাহিদ মোস্তফা শাহিদ,সদর(২১ মে) :: কক্সবাজার সদর উপজেলার জালালাবাদ স্বাস্থ্য ও পরিবার কেন্দ্রে ঔষধ কোম্পানীর প্রতিনিধি (এম আর) দের দৌরাত্ম্যে অতিষ্ট হয়ে পড়েছে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রোগী ও তার স্বজনরা। প্রতিদিন কাকডাকা ভোর থেকে রাত পর্যন্ত স্বাস্থ্য ও পরিবার কেন্দ্রে বিভিন্ন ওয়ার্ড ও হাসপাতাল এলাকায় মোটর সাইকেল নিয়ে অবস্থান করে ঔষধ কোম্পানীর প্রতিনিধিরা।
বাসা, চেম্বার ও পরিবার কেন্দ্র থেকে ডাক্তার দেখিয়ে বেরিয়ে আসলে ডজন খানেক এম আর রোগীর সামনে এসে হাজির। রোগীর হাত থেকে কার আগে কে প্রেসক্রিপশান নিবেন সে প্রতিযোগিতায় তারা ব্যস্ত হয়ে পড়ে। কোন রকমে চলচাতুরী করে রোগীর হাত থেকে প্রেসক্রিপশান নিয়েই কোন কোম্পানীর ঔষধ লিখেছেন ডাক্তার সেটা দেখতে থাকেন একেকজন করে।
এদিকে প্রেসক্রিপশান নিয়ে টানা টানি করাকালে রোগীর কষ্টের প্রতি কর্ণপাতই থাকেনা এমআরদের। হত-দরিদ্র অশিক্ষিত ও মহিলা রোগী পেলেতো কথাই তদের। এম আররা তাদের নিজের ইচ্ছে মতো প্রেসক্রিপশান দেখছে।
রোববার সকালে জালালাবাদ স্বাস্থ্য ও পরিবার কেন্দ্র এবং সরকারী-বেসরকারী বিভিন্ন ক্লিনিকসহ ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে সরেজমিনে দেখা গেছে, স্বাস্থ্য কেন্দ্রে প্রবেশে রোগীদের সমস্যায় না পড়লেও বের হতে এম আরদের চাপের মুখে পড়তে হয় সকল রোগীদের। একজন রোগীর প্রেসকিপসশন দেখতে ৫-১০ জন এম আর কাড়াকাড়ি শুরু করতে থাকেন। কারন ডাক্তার মহোদয়কে এম আরের ঝালাই করে দিয়ে আসা ঔষধ খানা প্রেসক্রিপশনে দিয়েছে কিনা সেটা দেখার জন্য।
এতে করে অতিষ্ট হয়ে পড়ে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা। অনেক সময় দেখা যায় ডাক্তারাও এম আরদের চাপে পড়ে দিতে হয় ঔষধ, সেই ঔষদের লিষ্টে এমনও ঔষধ থাকে যা ঈদগাঁও কিংবা কক্সবাজার গিয়েও পাওয়া যায়না।
এদিকে শফিউল আলম, আবদুল করিম, মোহাম্মদ হোছন ও শাহেনা আক্তারসহ কয়েকজন রোগী জানান, সকাল সাড়ে ১০টায় গিয়ে দেখা যায় দরজায় গাদাগাদি করে একটি কোম্পানির এমআর ছবি তুলছে প্রেসক্রিপশনের, তার কাছে জানতে চাইলে সে ডাক্তার ভিজিটে গিয়েছিল বলে জানায়।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করা হলে এ ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান।
মেডিকেল অফিসার ডাক্তার তৃণাসাহার সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগযোগের চেষ্টা করেও রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
Posted ১০:১৭ অপরাহ্ণ | রবিবার, ২১ মে ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta