
বিশেষ প্রতিবেদক :: কক্সবাজার সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টের বালিয়াড়ি দখল করে গড়ে তোলা বহুল আলোচিত অর্ধশতাধিক দোকানপাট ও স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে জেলা প্রশাসন।
রবিবার (১২ অক্টোবর) সকাল ১১টা থেকে বিকাল পর্যন্ত পরিচালিত এ অভিযানে অংশ নেয় জেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে সেনাবাহিনী, র্যাব, ট্যুরিস্ট পুলিশ ও জেলা পুলিশের সদস্যরা।
অভিযানে অংশ নেওয়া ট্যুরিস্ট পুলিশের কক্সবাজার রিজিয়নের অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ বলেন, ‘জেলা প্রশাসনের নির্দেশে অন্তত ৫০টি দোকানপাট ও স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে।
দুপুর ২টার মধ্যে মালিকদের নিজ উদ্যোগে স্থাপনা সরিয়ে নিতে সময় দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু তা না করায় প্রশাসন উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে।

অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মো. শাহিদুল আলম বলেন, ‘শনিবার রাতের মধ্যে স্থাপনা সরানোর নির্দেশনা দেওয়া হলেও তা অমান্য করায় রবিবার উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়।’
এর আগে গত বছরের ডিসেম্বর এবং ২০২৩ সালেও একাধিকবার অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান চালিয়েছিল জেলা প্রশাসন।
জানা গেছে, গত এক বছরে কক্সবাজারের নাজিরারটেক, সুগন্ধা, কলাতলী, দরিয়ানগর, হিমছড়ি, সোনারপাড়া, ইনানী, পাটুয়ারটেক ও টেকনাফ সৈকতজুড়ে শতাধিক দোকান ও অস্থায়ী স্থাপনা গড়ে ওঠে।

উল্লেখ্য, ১৯৯৯ সালে সরকার কক্সবাজারের নাজিরারটেক থেকে টেকনাফ পর্যন্ত ১২০ কিলোমিটার দীর্ঘ সমুদ্র সৈকতকে ‘প্রতিবেশগতভাবে সংকটাপন্ন এলাকা’ (ECA) ঘোষণা করে। আইনে জোয়ার-ভাটার অঞ্চল থেকে ৩০০ মিটারের মধ্যে যেকোনো স্থাপনা নির্মাণ ও উন্নয়ন নিষিদ্ধ।
এর আগে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসসহ গত বছরেও একাধিকবার সৈকতজুড়ে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে জেলা প্রশাসন।




Posted ৭:৪১ অপরাহ্ণ | রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta