বিশেষ প্রতিবেদক(২৫ আগস্ট) :: মহামান্য হাইকোর্টের নিদের্শনানুযায়ী কক্সবাজারে সমুদ্র সৈকতে পর্যটকদের সুবিধার্থে বিনামূল্যে শতকরা ৫০% কিটকট ( বসার জন্য ছাতা-চেয়ার ) উন্মুক্ত রাখা নিশ্চিত করনের লক্ষ্যে এ বছরের শুরু থেকে কাজ করছে জেলা প্রশাসন ও বীচ ম্যানেজম্যান্ট কমিটি।
ইতিমধ্যে এতদসংক্রান্ত বিষয়ে জেলা প্রশাসক মো: আলী হোসেনের দিক-নির্দেশনানুযায়ী বীচ-ম্যাজেম্যান্ট কমিটি সংশ্লিষ্ট বিষয়ে লেখাসহ বিভিন্ন প্রকাশ্যস্থানে সাইনবোর্ড স্থাপন, উন্মুক্ত চেয়ারগুলোকে নীল রং ও লেখনীর মাধ্যমে এ চিহ্নিতকরণ, এ বিষয়ে পর্যটকদের অবগতির জন্য মাইকিং করাসহ বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে।
উক্ত কাজগুলোর বাস্তবায়ন নিশ্চিতকরণে নিয়মমাফিক তদারকির অংশ হিসেবে শুক্রবার বিকেলে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ( সার্বিক ) মো: আনোয়ারুল নাসের লাবনী বীচ পয়েন্ট, সুগন্ধা বীচ পয়ন্ট ও কলাতলী বীচ পয়েন্ট পরিদর্শন করেন।
এসময় ট্যুরিষ্ট পুলিশের সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার হোসাইন মো: রায়হান কাজেমী, জেলা প্রশাসনের সহকারি কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট এহসান মুরাদ, একেএম লুৎফর রহমান, জুয়েল আহমেদ ও মো: সেলিম শেখ উপস্থিত ছিলেন।
পরিদর্শনকালে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক পর্যটকদের সাথে কথা বলেন এবং নীল রং চিহ্নিত (উন্মুক্ত ) কিটকটে অবস্থানকারীদের কাছ থেকে কেহ ভাড়া নিচ্ছে কিনা জানতে চান।
এ ছাড়া সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের এ বিষয়ে যাতে পর্যটকদের হয়রানি করা না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে নির্দেশনা প্রদান করেন এবং কারো বিরুদ্ধে যদি নীল রং চিহ্নিত (উন্মুক্ত ) কিটকটে অবস্থানকারীদের কাছ থেকে ভাড়া নিয়েছে বা কোনররূপভাবে পর্যটকদের হয়রানি করেছে এমন অভিযোগ পাওয়া যায় তাহলে তার ব্যবসায়ী লাইসেন্স বাতিল করা হবে এবং তাকে শাস্তির আওতায় আনা হবে বলে সতর্ক করে দেন তিনি।
আগামী ২/৩ দিনের মধ্যে নতুন ডিজাইনে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে লেখাসহ বিভিন্ন প্রকাশ্যস্থানে সাইনবোর্ড স্থাপন করা হবে বলে জানান তিনি। এ সময় ট্যুরিষ্ট পুলিশের সদস্য,বীচ কর্মী ও কিটকট ব্যসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।
সৈকতে ভ্রমণে আসা পর্যটকেরা এ ব্যবস্থা-কে সাধুবাদ জানান পাশাপাশি নিজেরা এ সুযোগ ভোগ করে অন্যদেরকেও এ সুযোগ দিতে নির্দ্দিষ্ট সময় পর্যন্ত অবস্থান করা উচিত বলে অভিমত ব্যক্ত করেন।
উল্লেখ্য যে, সমুদ্র সৈকতে দু ধরনের রং দিয়ে কিটকটের চেয়ারগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে। সাদা এবং নীল। সাদার্ ং এর চেয়ারে কেহ বসলে নিয়ম অনুযায়ী ব্যবসায়ীরা তাদের ভাড়া নিতে পারবে কিন্তু নীলর্ ং এর চেয়ার এ বসলে তার বিনিময়ে কোনরুপ ভাড়া নিতে বা দাবী করতে পারবে না।
পর্যটকেরা কে কোথায় বসবে তা তাদের নিজস্ব ব্যাপার, তবে এ ব্যপারে ব্যবসায়ীরা মিথ্যা বা কোনরূপ চালাকি করে পর্যটকদের হয়রানি করতে পারবে না বা সৈকতে কোন ব্যবসায়ী পর্যটকদের সাথে দুর্ব্যবহার করতে পারবে না।
এ ধরনের কাজ কেহ করলে বা ভাড়া চাইলে তা অপরাধ হিসেবে গন্য হবে। এতদসংক্রান্ত বিষয়ে সকল ব্যবসায়ীদেরকে সহযোগীতার আহবান জানাননো হয়।
Posted ১২:০৯ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ২৬ আগস্ট ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta