এম রমজান আলী,মহেশখালী(১০ আগষ্ট) :: জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে কক্সবাজার-২ মহেশখালী-কুতুবদিয়ার আসনের জনসাধারনের মাঝে ততই বেড়ে চলছে যোগ্য প্রার্থী বাচাইয়ে জল্পনা কল্পনা বেড়ে চলেছে।বিশেষ করে ক্ষমতাধীন আওয়ামীলীগের প্রার্থী কে হবে এই নিয়ে সরগরম রাজনীতির মাঠ। বর্তমান এমপি আশেক উল্লাহ রফিক সমর্থকেরা মনে করেছে আশেক উল্লাহ রফিক প্রার্থী হবে।
কিন্তু অন্য সমর্থকেরা মনে করেছে আওয়ামীলীগের সাবেক প্রার্থী পরিবেশ বিজ্ঞানী ড. আনসারুল করিম প্রার্থী হবে আসবে।
উত্তর মহেশখালীর কিছু ভোটার মনে করেছে সাবেক ছাত্রনেতা ওসমান গনি ওসমান গনসংযোগ অব্যাহত রেখেছে তাই তার অবস্থান ভোটারের মাঝে ভাল স্থান পেয়েছে সেই হিসাবে কেন্দ্রীয় কমান্ড চিন্তা ভাবনা করে তাকেই আওয়ামীলীগের প্রার্থী দিতে পারে।
অন্যদিকে মহেশখালীর তরুন শিল্পপতি মালয়েশিয়া গার্মেন্টস ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ছাত্রলীগের সাবেক ত্যাগী নেতা আলহাজ্ব মার্শাল পাভেল নিজের পিতার নামে গড়া নুরুল হক ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে মহেশখালী-কুতুবদিয়ার ৫৪টি মাদ্রাসা এতিমখানা সহ সাধারণ অসহায় মানুষদের মাঝে নিজের পক্ষ হতে বাৎসরিক ১৭/১৮ লক্ষ টাকার মত যাকাত প্রদান করে থাকে। এছাড়াও বার্ষিক শিক্ষা বৃত্তি মসজিদ মাদ্রাসা ও মন্দিরে অসংখ্য সহযোগীতার মাধ্যমে দিনদিন জনপ্রিয় হয়ে আসছে সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যমে ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়াতে বিভিন্ন মন্ত্রী এমপি ও আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথে দেখা যাচ্ছে।
যার দরুন মহেশখালীর রাজনৈতিক বিশ্লেষকগন ও ভোটারদের অভিমত উপকূলীয় এলাকা মহেশখালী-কুতুবদিয়াকে ঢেলে সাজাতে হলে আওয়ামী লীগের বির্তকিত লোকদের বাদ দিয়ে দলীয় অভ্যান্তরীন কোন্দল মেটাতে নিরপক্ষ ব্যক্তি হিসাবে তরুণ শিল্পপতি আলহাজ্ব মার্শাল পাভেল কে প্রার্থী করলে ভাল হয়।
জানা যায়, এ আসনে বর্তমানে আওয়ামী লীগের এমপি আশেক উল্লাহ রফিক। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তিনি দলের পক্ষে মনোনয়ন চাইবেন। তবে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে পরিবেশ বিজ্ঞানী ড. আনছারুল করিম, মহেশখালী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসাইন ইব্রাহিম ও ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা মোহাম্মদ ওসমান গনিও মনোনয়নপ্রত্যাশী।
বিএনপি ঘরনার হালচাল-বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রভাবশালী নেতা সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আলমগীর মুহাম্মদ মাহফূজুল্লাহ ফরিদ সমর্থকেরা মনে করেন মহেশখালী-কুতুবদিয়া আসনের দু’বারের অপরাজিত প্রাথী হিসাবে বিএনপির কেন্দ্রীয় হাইকমান্ড তাকে প্রার্থী দিবে, অন্য সমর্থকেরা মনে করেন সাবেক সংসদ সদস্য জেলা নেতা এটিএম নুরুল বশর চৌধুরী কে প্রার্থী দিতে পারে, আরো গুঞ্জন শুনা যাচ্ছে সাবেক যোগাযোগ মন্ত্রী বিএনপির কেন্দ্রীয় সিনিয়র যুগ্ন মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমদ প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
২০ দলীয় জোটের শক্তিশালী শরীকদল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দলের নিবন্ধন না থাকলে ও ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে সাবেক সংসদ সদস্য বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সেক্রেটারী জেনারেল আলহাজ্ব এ এইচ এম হামিদুর রহমান আযাদ ২০ দলীয় জোটের চুড়ান্ত প্রার্থী বলে ধারনা করা হচ্ছে।আগামী নির্বাচনে ২০ দলীয় জোটের পক্ষ থেকে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নেতা ও সাবেক এমপি হামিদুর রহমান আজাদের মনোনয়ন পাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। নানা প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও তিনি এলাকায় নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের খোঁজ খবর রাখছেন। কেননা সম্প্রতি বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকা, স্থানীয় পত্রিকা ও অনলাইন পত্রিকায় ২০ দলীয় জোটের প্রার্থী চুড়ান্ত বলে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।আর এ আসনে হামিদুর রহমান আযাদ নিশ্চিত জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি।
অপরদিকে জাতীয়পার্টি কেন্দ্রীয় কমিটির প্রভাবশালী নেতা কক্সবাজার জেলা জাতীয় পার্টির সাবেক সফল সভাপতি বিশিষ্ট শিল্পপতি গেল সংসদ নির্বাচনে পল্লীবন্ধু আলহাজ্ব হুসাইন মুহাম্মদ এরশাদ এর মনোনীত প্রার্থী হুসাইন মুহাম্মদ এরশাদের বিশ্বস্থ ব্যক্তি আলহাজ্ব কবির আহমদ সওদাগর জাতীয় পার্টির একমাত্র প্রার্থী হতে পারে ভোটারের ধারনা।
জাতীয় পার্টি থেকে প্রার্থী হওয়ার জন্য কেন্দ্রে যারা ডাটা জমা দিয়েছে এবং গ্রামেগঞ্জে প্রচার প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা ও জেলার সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মহিবুল্লাহ, কুতুবদিয়া উপজেলা সভাপতি এডভোকেট আ.ফ.ম শহীদ উদ্দিন ছোটন, জেলা কমিটির ১নং যুগ্ন সাধারন সম্পাদক নাজেম উদ্দিন চেয়ারম্যান, জেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ন সাধারন সম্পাদক জাতীয় যুব সংহতি কক্সবাজার জেলা সভাপতি শহীদুল ইসলাম মুন্না, জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক ও মহেশখালী উপজেলা সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব আলম মাহবুব।
Posted ১:৩৬ পূর্বাহ্ণ | শুক্রবার, ১১ আগস্ট ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta