এম রমজান আলী,মহেশখালী(৪ জুন) :: কক্সবাজার-২(মহেশখালী-কুতুবদিয়া) সংসদীয় আসনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের মহেশখালী-মাতারবাড়ি ঘুরে যাওয়ার পর টনক নড়েছে সম্ভাব্য প্রার্থীদের মাঝে।বর্তমান এমপি আশেক উল্লাহ রফিক আগামী নির্বাচনে মনোনয়ন পাবেন কিনা এই নিয়ে বিতর্ক দানাবাধার গুঞ্জনে আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থীরা নির্বাচনী মাঠে নেমে পড়েছেন।
জানা যায়,বিগত ২০০১ সালের নবম সংসদ নির্বাচনে জামায়াতের র্শীষ নেতা হামিদুর রহমান আজাদ দাঁড়িপাল্লা প্রতীক নিয়ে বিপুল ভোটে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তাই এ আসনে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছে আওয়ামী লীগ। কারণ কক্সবাজার জেলায় মহেশখালীতে সব চেয়ে বেশি উন্নয়ন করে যাচ্ছে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার। সেই দিক দিয়ে বিতর্কহীন ও যোগ্য প্রার্থী নির্বাচন করতে না পারলে এ আসনটি আওয়ামী লীগের পক্ষে জিতিয়ে আনা কঠিন হবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
ইতিমধ্যে প্রতিটি দলের কেন্দ্রীয় হাইকমান্ডের সংসদ সদস্য নির্বাচনের প্রস্তুতির নির্দেশ মাথায় রেখে স্ব-স্ব আসনের সম্ভাব্য প্রার্থীরা বিভিন্ন কৌশলে গ্রামেগঞ্জে চষে বেড়ানোর সুযোগে ভোটারেরা ও তাদের পছন্দের প্রার্থীদের নিয়ে অংক কষা শুরু করে দিয়েছেন।
এ সংসদীয় আসনে পুর্বে টানা দু’বারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য আলমগীর মুহাম্মদ মাহফুজুল্লাহ ফরিদ এর শাসনামলে এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন হয়।জনগন স্বাধীন মতামতের যেমন সুযোগ পেয়েছে তেমনি ভোটারেরা ভোট কেন্দ্রে গিয়ে নিজের পচন্দের প্রার্থীদের রায় প্রদান করতে পেরেছে। সব মিলিয়ে তার সমর্থকেরা আগামী সংসদ সদস্য নির্বাচনে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে মুল্যবান রায় প্রদান করে নির্বাচিত করার মতামত ব্যক্ত করেন।
জামায়াতে ইসলামী’র প্রার্থী এইচ.এম.হামিদুর রহমান আযাদ পূর্বে মহেশখালী-কুতুবদিয়া’র নির্বাচিত সংসদ সদস্য। এ আসনে হামিদুর রহমান আযাদ এর শাসনামলে জনগনের স্বাধীন মতামতের সুযোগ, মসজিদ, মাদ্রাসা, মন্দির, সড়কের উন্নয়ন হয়। পাশাপাশি মহেশখালী-কুতুবদিয়ায় সর্বস্থরের জনগন/ভোটারেরা জাতীয়তাবাদী ও ইসলামী মুল্যবোধের বিশ্বাসী এবং কুতুবদিয়ায় তার একক ভোট ব্যাংক সব মিলিয়ে তার সমর্থকেরা আগামী সংসদ নির্বাচনে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে মুল্যবান রায় প্রদান করে নির্বাচিত করার মতামত ব্যক্ত করেছেন।
এদিকে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের প্রার্থী পরিবেশ বিজ্ঞানী ড. আনছারুল করিম পূর্বে জামায়াতে ইসলামী’র প্রার্থী এইচ.এম হামিদুর রহমান আযাদ এর কাছে সংসদ নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পর থেকে অদ্যাবদি পর্যন্ত সংসদীয় আসনের হাল ছাড়েনি। বিভিন্ন এলাকায় সভা সমাবেশ বিভিন্ন প্রতিষ্টানে ও অসহায় গরীবদের সাহায্য সহযোগীতা করেই আসছে তাই তার সমর্থকেরা আগামী সংসদ নির্বাচনে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে মুল্যবান রায় প্রদান করে নির্বাচিত করার মতামত ব্যক্ত করেছেন।
অপরদিকে জাতীয়পার্টি কেন্দ্রীয় কমিটির শ্রম বিষয়ক সম্পাদক, কক্সবাজার জেলা শাখার সাবেক সভাপতি আলহাজ্ব কবির আহমদ সওদাগর পূর্বে মহাজোটের শরীকদল হিসাবে মহেশখালী-কুতুবদিয়ায় প্রার্থী ঘোষনা হলে ও দলের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব হুসাইন মুহাম্মদ এরশাদ এর নির্দেশে প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নেন। সেই থেকে অদ্যাবদি পর্যন্ত মহেশখালী-কুতুবদিয়ার বিভিন্ন এলাকায় সভা সমাবেশ, বিভিন্ন প্রতিষ্টানে ও অসহায় গরীব দুস্থদের মাঝে সাহায্য সহযোগীতা করেই আসছে সেই হিসাবে তার সমর্থকেরা আগামী সংসদ নির্বাচনে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে মূল্যবান রায় প্রদান করে নির্বাচিত করার মতামত ব্যক্ত করেছেন।
এছাড়া আওয়ামীলীগ নেতা, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ-সভাপতি ওসমান গনি ওসমান বিভিন্ন এলাকায় সভা সমাবেশ, বিভিন্ন প্রতিষ্টানে ও অসহায় গরীবদের সাহায্য সহযোগীতা করেই আসছে। বর্তমানে রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে শক্তিশালী অবস্থানের কারনে ওসমান গণির ব্যাপারে ইতিবাচক ধারণা জনগণের কাছে তুলে ধরার চেষ্টা করছেন এবং দলীয় বিভিন্ন কর্মসুচি কেন্দ্রিক ব্যাপক তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন। তার সমর্থকেরা আগামী সংসদ নির্বাচনে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে মূল্যবান রায় প্রদান করে নির্বাচিত করার মতামত ব্যক্ত করেছেন।
Posted ১১:২১ অপরাহ্ণ | রবিবার, ০৪ জুন ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta