মোঃ রেজাউল করিম, ঈদগাঁও :: পল্লী বিদ্যুৎ ঈদগাঁও জোনাল অফিসের আওতাধীন অনেক সার্ভিস এলাকায় সোমবার দিনের অধিকাংশ সময় বিদ্যুৎ ছিল না। কোন কোন এলাকায় সামান্য সময়ের জন্য বিদ্যুৎ আসলেও পরক্ষণে তা আবার চলে যায়।
কালবৈশাখী ঝড় ও বজ্রপাতের কারণে এ জোনাল অফিসের আওতাধীন এলাকায় সাময়িক বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকার কথা স্বীকার করেছেন পল্লী বিদ্যুতের স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।
গ্রাহকরা জানান, জালালবাদ ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড, পোকখালী ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের আবুল ফজল পাড়া, ইসলামপুর ইউনিয়ন ও লবণ শিল্পনগরী, ঈদগাঁও ইউনিয়নের চান্দের ঘোনা, বৃহত্তর মাইজ পাড়া ও বাস স্টেশন, ইসলামাবাদ ইউনিয়নের পাহাশিয়া খালি, খোদাইবাড়ি ও বৃহত্তর গজালিয়া, রশিদ নগর ইউনিয়নের নতুন বাজার এলাকার অন্তর্ভুক্ত ২ নম্বর ফিডারে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ ছিল।
এতে গ্রাহক সাধারণের ভোগান্তি চরমে উঠে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সরবরাহ লাইনে তার ছিঁড়ে যাওয়া, ট্রান্সফরমার নষ্ট হওয়া, তারের উপর চাল ও গাছের ঢাল পড়া, খুঁটি ভেঙ্গে যাওয়া সহ বিভিন্ন কারণে গ্রাহকরা বিদ্যুৎ সুবিধা থেকে বঞ্চিত ছিলেন।
বিভিন্ন স্থান থেকে যথাসময়ে তথ্য না পাওয়ার কারণেও অনেক জায়গায় বিদ্যুৎ লাইন সচল করা যায়নি। গ্রাহকরা যথাসময়ে বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষকে লাইনের ব্যাপারে তথ্য দেন না।
এতে বিদ্যুৎ অফিসের লোকজনের পক্ষে লাইন চেক করা কঠিন হয়ে পড়ে। কোথাও বিকট আওয়াজ হলেও তারও তথ্য পায় না নিকটস্থ বিদ্যুত অফিসের অভিযোগ কেন্দ্র।
লাইনে ফল্টের কারণেও বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘ্নিত হয়। ফল্ট কোথাও কোথাও সমাধা করা হলেও আবারো নতুন ফল্টের সৃষ্টি হয়।
দু,দফে বাতাসের কারণে সার্ভিস তারের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হওয়ায় দীর্ঘ সময় লাইন চালু করা সম্ভব হয়নি। বারবার ট্রায়াল দিতে হচ্ছে বিদ্যুৎ অফিসকে।
ঈদগাঁও পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের উপ- মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) রাজন পাল জানান, প্রচন্ড ঝড়, বজ্রপাত ও বাতাসের তীব্র গতিবেগে তার আওতাধীন অফিসের ৩৩ কেভি ও ১১ কেভি লাইনের তারে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।
বৈদ্যুতিক ট্রান্সফর্মার ও খুঁটি নষ্ট হয়ে পড়ে। যার কারণে বিদ্যুৎ সরবরাহ সাময়িক বন্ধ ছিল।
বৈদ্যুতিক লাইন চেক করতে ভোর থেকে তার অফিসের লোকজন মাঠে কাজ করেছেন। আজ মঙ্গলবারও মাঠে কাজ করতে হবে বলে জানান তিনি।
Posted ১:৫৪ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta