নজরুল ইসলাম,কুতুবদিয়া :: কুতুবদিয়ায় সামুদ্রিক কচ্ছপের ডিম সংরক্ষণ ও সফলভাবে অবমুক্তকরণে কাজ করছে ইকোফিশ-২ প্রকল্পের হ্যাচারি।
সামুদ্রিক জীববৈচিত্রের ভারসাম্য রক্ষায় কচ্ছপসহ অন্যান্য মেগাফোনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তা সংরক্ষণের অংশ হিসেবে কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় সমুদ্র সৈকত সংলগ্ন এলাকায় ইউএসএআইডি’র এনহ্যান্সড কোস্টাল ফিশারিজ ইন বাংলাদেশ (ইকোফিশ-২) এ্যাক্টিভিটি, ওয়ার্ল্ডফিশ বাংলাদেশ এর উদ্যোগে একটি হ্যাচারি স্থাপন করা হয়েছে ।
জানা যায়,স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবীর মাধ্যমে সমুদ্র সৈকত সংলগ্ন এলাকা হতে অলিভ রিডলি প্রজাতির ৪৬৭ টি ডিম সংগ্রহ করে হ্যাচারিতে সংরক্ষণ করা হয়েছে। এ প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে স্থানীয়দের নানা ধরণের মিটিং ও ট্রেনিং-এর মাধ্যমে সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য, মেগাফোনা সংরক্ষণ, সামুদ্রিক পরিবেশ ও তার ভারসাম্য সম্পর্কে অবহিত ও সচেতন করা হয়। সংগ্রহ করা ডিম হতে এখন পযন্ত ১৪৯ বাচ্চা সমুদ্রে অবমুক্ত করা হয়েছে।
ইকোফিশের রিচার্স এসোসিয়েট সুলতান মাহমুদ বলেন, সামুদ্রিক কাছিম এর ডিম নষ্টকারী কুকুর, শেয়াল ও ডিম আহরণকারী মানুষের হাত হতে ডিমগুলিকে রক্ষা করতে ইউএসএআইডি’র এনহ্যান্সড কোস্টাল ফিশারিজ ইন বাংলাদেশ (ইকোফিশ-২) এ্যাক্টিভিটি, ওয়ার্ল্ডফিশ বাংলাদেশ এর উদ্যোগে ডিমগুলো সংগ্রহ করে কাছিম হ্যাচারিতে বৈজ্ঞানিক উপায়ে সংরক্ষণ করা হয়েছে।‘
ইকোফিশের সাইন্টিস্ট ড. মোঃ শরিফ উদ্দিন জানান, ‘কাছিম সমুদ্রের ময়লা আবর্জনা খেয়ে সমুদ্রকে পরিস্কার রাখে, জেলি ফিস/ নুইন্না খেয়ে মাছের বংশ বিস্তারে সহায়তা করে, সমুদ্রের খাদ্য শৃংখল সচল রাখে সামুদ্রিক পরিবেশ কে বিশুদ্ধ রাখে। সামুদ্রিক কাছিম সংরক্ষণে সকল কে সচেতন হতে হবে।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) কুতুবদিয়ার সভাপতি অধ্যাপক মোঃ নজরুল ইসলাম বলেন, একসময় সমগ্র পৃথিবীজুড়ে বিভিন্ন প্রজাতির দেখা মিললেও নানান কারণে এদের সংখ্যা লক্ষণীয় হারে কমে যাচ্ছে। ডিম পাড়ার সময়ে স্ত্রী কাছিমকে দ্বীপে আসে।
এরা ডিম পাড়ার সময়ে খুব নির্জন স্থান বেছে নেয় এবং যদি সেখানে কোন প্রতিকূল পরিস্থিতি দেখে তাহলে সাথে সাথে ডিম পাড়া বন্ধ করে মা কাছিম আবার সাগরে ফেরত চলে যায়। ২৩শে মে ‘বিশ্ব কাছিম দিবস’ হিসেবে পালিত হয়।
কুতুবদিয়া মেরিন এন্ড ফিশারিজ কর্মকর্তা নাজমুস সাকিব বলেন, সাধারণ মানুষ সচেতন হলে আরও অনেক সামুদ্রিক কাছিম সৈকতে ডিম দিয়ে নিরাপদে চলে যেতে পারবে। কাছিমের ডিম সংরক্ষণ ও সফলভাবে অবমুক্তকরণে কাজ করায় ইউএসএআইডি’র এনহ্যান্সড কোস্টাল ফিশারিজ ইন বাংলাদেশ (ইকোফিশ-২) এ্যাক্টিভিটি, ওয়ার্ল্ডফিশ বাংলাদেশ এর উদ্যোগের প্রশংসা করেন তিনি।