নজরুল ইসলাম,কুতুবদিয়া :: কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় স্মার্ট কার্ড বিতরণকে কেন্দ্র করে সংশ্লিষ্ট কিছু ব্যক্তি ব্যবসার নামে সাধারণ মানুষের নিকট থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
এর সাথে স্মার্ট কার্ড বিতরণে সম্পৃক্ত ব্যক্তিরা সংশ্লিষ্ট রয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন সেবা প্রার্থীরা।
আনসার হোসাইন নামের একজন জানিয়েছেন, তিনি স্মার্ট কার্ডের জন্য বড়ঘোপ ইউনিয়ন পরিষদে যান শুক্রবার বিকেলে। তখন তেমন মানুষজন ছিলেন না।
আগের এনআইডি নিয়ে যান। কিন্তু তাকে বলা হয়েছে বাহির হতে টুকেন নিয়ে আসতে।
তিনি দীর্ঘক্ষণ হয়রানির পর টুকেন এর দোকান খোঁজে পান। তারপর আঙ্গুলের চাপ ও আইরিশ দেন।
এরপর দীর্ঘক্ষণ জানালার পাশে ভীড় ঠেলে স্মার্ট কার্ড নেন। এখানেই ভোগান্তির শেষ হয়নি । স্মার্ট কার্ড নিয়ে বের হতেই একজন ধরছে কভার বিক্রি করতে। আরেকজন ধরেছে স্মার্ট কার্ড লেমেনেটিং করার জন্য।
সরওয়ার নামের একজন জানিয়েছেন,স্মার্ট কার্ড পেতে বক্স আইডি বের করার জন্য ২০ টাকা খরচ হয়েছে। কিন্তু আগের এনআইডি সাথে না এনেছি বলে ভোগান্তির শিকার হয়েছি।
কার্ড বিতরণে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের দায়িত্বহীনতা মানুষের বিরক্তের কারণ বলে মনে করেন তিনি।
শুক্রবার বিকেলে পরিষদের নিচ তলায় স্মার্ট কার্ড বিতরণ পর্যবেক্ষণ করে মানুষের ভোগান্তির সত্যতা পেয়েছেন প্রতিবেদক।
তার সামনেই একজন সেবাপ্রার্থী বক্স আইডি নিয়ে স্মার্ট কার্ড নিতে যান। কিন্তু তিনি টুকেন নেননি। তাই তাকে টুকেন নিয়ে আসতে বলেন বিতরণকারী ব্যক্তি।
পরিষদের বাইরে কিটকট ছাতার নিচে ল্যাপটপ,প্রিন্টার ও লেমেনেটিং মেশিন নিয়ে বসেছে চার পাঁচটি ভ্রাম্যমাণ দোকান। সেখানে ৪০-৫০টাকায় বিক্রি হচ্ছে স্মার্ট কার্ডের কভার ও ফিতা।
মানুষ স্মার্ট কার্ড হাতে নিয়ে বের হতেই এগিয়ে যাচ্ছে কয়েকটি ছেলে। তার মানুষকে উদ্বুদ্ধ করছে।
তাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, এসব দোকানদার কেউই কুতুবদিয়ার নন। কুতুবদিয়ার বাইরের। যারা স্মার্ট কার্ড বিতরণ করছেন তাদের সাথে এসেছেন। তারা যেখানে যান। এসব দোকানদারও সেখানেই যান।
ভ্রাম্যমাণ দোকানের বিষয়ে স্থানীয় কম্পিউটার দোকান ব্যবসায়ীরা বিরূপ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।
উপজেলা কম্পিউটার দোকান মালিক সমিতির সভাপতি নজরুল ইসলাম জানিয়েছেন, স্থানীয় ব্যবসায়িরা সংশ্লিষ্ট পরিষদ থেকে ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করছেন।
সেখানে পরিষদের সামনে কিভাবে বহিরাগত নাগরিক ভ্রাম্যমাণ দোকানের নিয়ে সাধারণ মানুষের টাকা হাতিয়ে নেয়। বহিরাগতদের এই ব্যবসা সংশ্লিষ্ট পরিষদকে বন্ধ করার দাবি জানান তিনি।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম বলেন, স্মার্ট কার্ড বিতরণে টাকা নেওয়ার কোন সুযোগ নেই। কারণ জনগণকে সহজে স্মার্ট কার্ড বিতরণের জন্য যাবতীয় ব্যবস্থা করেছে নির্বাচন অফিস। বক্স আইডি বাহির থেকে নিতে হবে কেন? বক্স আইডি দেওয়ার জন্যও লোক আছে।
ভ্রাম্যমাণ দোকানের বিষয়টি দেখছি। এর সাথে স্মার্ট কার্ড বিতরণে সংশ্লিষ্ট কোন ব্যক্তি জড়িত আছে কিনা অনুসন্ধান করে দেখা হচ্ছে।
Posted ১:১৪ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta