নজরুল ইসলাম,কুতুবদিয়া(২৭ মে) :: তরলিকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস আমদানির জন্য কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় স্থাপন করা হচ্ছে ১ হাজার মিলিয়ন ঘনফুট ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন একটি এলএনজি টার্মিনাল।প্রকল্প বাস্তবায়নকারি প্রতিষ্টান রিলায়েন্স কোম্পানী লিমিটেড এ খাতে প্রায় ৫ হাজার কোটি রুপী বিনিয়োগ করতে আগ্রহী বলে জানা গেছে।
এ জন্য কুতুবদিয়ার দক্ষিণ ধুরুং নতুন লাইট হাউসের দক্ষিণ পয়েন্ট থেকে কৈয়ারবিল, উত্তর ধুরুং ও চরধুরুং মৌজায় ৪৫ একর জায়গায় লাল পতাকা দ্বারা সীমানা নির্ধারণের মাধ্যমে শুরু করেছে অধিগ্রহণ কার্যক্রম।
উপজেলা ভূমি প্রশাসন ইতোমধ্যে প্রস্তাবিত জায়গায় মালিকানার স্বপক্ষে বৈধ কাগজপত্র তলব করলেও কি হারে জায়গার মূল্য পরিশোধ করা হবে তা’এখনো প্রকাশ না করায় নানা হতাশায় ভুগছে জমি মালিকরা। বর্তমানে এ টার্মিনাল স্থাপনকে কেন্দ্র করে জমি মালিকদের মাঝে দৌঁড়ঝাপসহ দ্বীপে আনাগোনা বেড়েছে বিদেশি নাগরিকদের। বিগত ৫ মাস আগে সরেজমিনে পরিদর্শন করে গেছেন বহুজাতিক কোম্পানীর একদল হাইঅফিসিয়াল কর্মকর্তা।
এ সময় উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সংবাদকর্মীদের উপস্থিতিতে বেড়িবাঁধের বাইরে সমুদ্র সৈকতে টার্মিনাল ও সমুদ্র সাইডে আড়াই কি.মি. দুরত্বের একটি জেটি স্থাপনের মতামত ব্যক্ত করেছিলেন।
এ টার্মিনাল নির্মাণের খবরে অবহেলিত দ্বীপবাসীর মধ্যে শুরু হয় নানা জল্পনা-কল্পনা। কিন্তু বর্তমানে বেড়িবাঁধের ভিতরে চাষের জমিতেই লাল পতাকা দ্বারা সীমানা চিহ্নিত করায় হতাশা পরিলক্ষিত হচ্ছে জমি মালিকদের মাঝে। চিহ্নিত এলাকায় প্রায় ৩০/৪০টির মত বসতবাড়িও রয়েছে। এমনিতে সমুদ্রের অব্যাহত ভাঙনের কারণে ভূমিহীন হয়ে পড়েছে দ্বীপের অধিকাংশ মানুষ।
এ অবস্থায় সন্তোষজনক মূল্য নির্ধারণ না করে জমি অধিগ্রহণ করা হলে অনেকে নি:স্ব হয়ে পড়বে বলে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন কৈয়ারবিল ইউপি চেয়ারম্যান জালাল আহমদ, দক্ষিণ ধুরুং ইউপি চেয়ারম্যান ছৈয়দ আহমদ চৌধুরী ও জমি মালিক আকবর খানসহ অনেকে।সাংগু গ্যাসক্ষেত্র থেকে গ্যাস উত্তোলন কমে যাওয়ায় ২০০৬ সাল থেকে গ্যাস সংকটে আছে বাংলাদেশ। গ্যাসের অভাবে উৎপাদন কমেছে কয়েকটি বিদ্যুৎ কেন্দ্রে। এ অবস্থায় এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণ করে গ্যাস আমদানির দিকেই ঝুঁকছে বাংলাদেশ।
কুতুবদিয়া এলএনজি টার্মিনালে আমদানিকরা তরল গ্যাসকে রিগ্যাসিফিকেশন অর্থাৎ পুনারায় গ্যাসে রূপান্তর করে বেড়িবাঁধের বাইরে পাইপ লাইনের মাধ্যমে উত্তর ধুরুংয়ের পূর্বে কুতুবদিয়া চ্যানেল হয়ে তা’ জাতীয় গ্রীডে সরবরাহ করা হবে। জমির মূল্য নির্ধারণে পর্যালোচনা চলছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুজন চৌধুরী। অধিগ্রহণ সম্পন্ন করে বর্ষার শেষেই টার্মিনালের নির্মাণ কাজ শুরু করার কথা জানিয়েছেন কোম্পানীর দায়িত্বশীল রাহুল সাহা।
Posted ১০:৫১ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ২৮ মে ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta