এম.নজরুল ইসলাম,কুতুবদিয়া(৬ জুলাই) :: কয়েকদিনের অবিরাম বৃষ্টিতে কুতুবদিয়া তলিয়ে না গেলেও ক্ষতবিক্ষত হয়ে গেছে উপজেলার ছয় ইউনিয়নের কয়েক ডজনেরও বেশি গ্রামীণ সড়ক।এসব সড়ক খানাখন্দকে পরিণত হওয়ায় চলাচলে বেড়েছে ভোগান্তি। দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এসব সড়ক দিয়ে যাতায়াত করা মুমূর্ষু রোগী, বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীসহ উপজেলামুখি নানা পেশার মানুষের।
আজকে তোলে ধরছি আলী আকবর ডেইল ইউনিয়নের বিধ্বস্ত সড়কগুলোর স্ব-চিত্র প্রতিবেদন। দ্বীপের প্রধান সড়ক নামে খ্যাত আজম সড়কের সর্ব দক্ষিণের অংশ নতুন বায়ু বিদ্যুৎ প্রকল্পের কেন্দ্র ঘেষে শান্তি বাজার হতে তাবালের চর সংযোগ সড়ক।
সড়কটির দৈর্ঘ্য দেড় কিলোমিটারের মত। যাতায়াতের একমাত্র সড়কটি এখন সম্পূর্ণ বিলীন। দেখে বুঝার উপায় নেই খাল নাকি সড়ক। স্থানীয়রা তাই বাশঁ ও কাঠ দিয়ে রাস্তার ওপর তৈরি করেছে সাকো। সম্প্রতি উপকূল দিয়ে বয়ে যাওয়া “রোয়ানো ও মোরা ” ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে বিধ্বস্ত হয়ে চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়েছে সড়কটি। বড় বড় গর্তসহ খানাখন্দে পরিনত হয়েছে সড়কটি।
সড়কটির বেহাল অবস্থার কারনে তাবালের চর থেকে উপজেলায় যেতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে এ গ্রামের পাঁচ হাজারেরও বেশি সাধারণ মানুষকে। এ সড়ক দিয়ে পায়ে হেঁটে যাতায়াত করে কুতুবদিয়া কলেজ, কুতুবদিয়া মহিলা কলেজ,কবি জসিম উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়,আলী আকবর ডেইল হাই স্কুল,কুতুবদিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় ও সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শতাধিক কোমলমতি শিক্ষার্থী। সামান্য বৃষ্টির পানিতে সড়কটি কাদায় পূর্ণ হয়ে গেলে শিক্ষার্থীরা আর স্কুল- কলেজে উপস্থিত হতে পারে না। এমনকি এসময় কোন মুমূর্ষু রোগীকে হাসপাতালে নিতে গেলে ক্ষতবিক্ষত সড়কেই অর্ধেক সময় নষ্ট হয়ে যায়। এর ফলে রোগী বাঁচানোর সম্ভাবনাও অর্ধেক কমে যায়।
তাছাড়া এমনিতেই গ্রামটির প্রতি মানুষের একধরনের বিরুপ ধারণা রয়েছে। ফলে রাত বিরাতে সড়কটি দিয়ে যাতায়াত করার সময় ডাকাতের ভয়ে ভীতসন্ত্রস্ত থাকে এলাকার পথচারীরা। সড়কের মাঝ পথে গতিরোধ করে একাধিকবার ডাকাতি হওয়ার কথা জানিয়েছেন এলাকাবাসী। বর্তমানে সড়কটি দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। সড়কটি দ্রুত মেরামতের ব্যবস্থা না করলে পথচারীদের ভোগান্তি আরো বাড়বে। এসড়ক ছাড়াও তাবালের চর গ্রামের অভ্যন্তরীণ সড়কগুলোতেও চলাচলে দূর্ভোগ পোহাচ্ছে বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
এব্যপারে এলাকার জনপ্রতিনিধি শামশুল আলম বলেন, তাবালের চর থেকে শান্তিবাজার পর্যন্ত প্রধান সড়কটি ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে সম্পূর্ণ বিলীন হয়ে যাওয়ায় যোগাযোগ বিচ্ছিন হয়ে পড়েছে এলাকাবসী।
এ ইউনিয়নে বিধ্বস্ত রয়েছে প্রধান সড়কসহ আরো একাধিক অভ্যন্তরিন সড়ক। তারমধ্যে ফতেহ আলী সিকদার পড়া হতে শান্তি বাজার,নাছিয়ার পাড়া ও কালুয়ার ডেইল সড়ক, তেলী পাড়া থেকে ঘাটকুল পাড়া সড়কের করুন অবস্থা। অথচ এসব সড়ক দিয়ে প্রতিদিনই যাতায়ত করছে হাজার হাজার পথচারী।
এদিকে গ্রামীণ সড়কের উন্নয়নের ব্যাপারে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) সৌভ্রাত দাশ বলেন, ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে সড়ক উন্নয়নর টিআর বরাদ্দের তালিকা দেয়ালে টানানো আছে। সেখানে দেখা যায় আলী আকবর ডেইল ইউনিয়নে সাবেক নুরুচ্ছফা মেম্বারের বাড়ির রাস্তা,নয়া হাটখোলা রাস্তা, মাস্টার পাড়া রাস্তা ও মোস্তাফিজুর রহমান সড়ক সংস্কারের জন্য ৫০ হাজার করে টিআর বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
Posted ৫:৫৮ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ০৬ জুলাই ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta