এম.নজরুল ইসলাম,কুতুবদিয়া(২১ মে) :: মাত্র ছয় জন কর্মকর্তা নিয়ে চলছে কুতুবদিয়া সোনালী ব্যাংকের চৌদ্দ হজার গ্রাহকের সেবা কার্যক্রম। এখানে খালী রয়েছে দুই জন সিনিয়র কর্মকতা, চার জন কর্মকর্তা, দুই জন কর্মকর্তা (ক্যাশ) ও দুই জন ঋণ কর্মকর্তাসহ মোট নয়টি গুরুত্বপূর্ণ পদ।
এ ব্যাপারে শাখার বর্তমান ১৬ তম ব্যস্থাপক জসিম উদ্দিন বলেন, ১৯৮৩ সালে শুরু হওয়া সোনালী ব্যাংক কুতুবদিয়া শাখার বর্তমান গ্রাহক সংখ্যা চৌদ্দ হাজার। মোট আমানতের পরিমান ৪২ কোটি টাকা।
এ শাখায় ঋণ গ্রহীতা রয়েছেন চার হাজার দুই’শ। ২০১৪ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর অনলাইন ব্যাংকির চালু হওয়ার পর থেকে লেনদেন বেড়েছে তুলনামূলক হারে। সে সাথে কাজও বেড়েছে দ্বিগুণ। সোনালী ব্যাংকের এ শাখা থেকে দেশের ১২১০ টি শাখার সাথে অনলাইনে লেনদেন কার্য সম্পাদন করা যায় তাৎক্ষনিকভাবে। কাজের চাপের কারনে প্রায় প্রতিদিনই রাত আটটা-নয়টা পর্যন্ত কাজ করতে হয় সব কর্মকর্তা কর্মচারীদের। এর ফলও পেয়েছেন তিনি।
তিনি এ প্রতিবেদককে জানান, ২০১৩ সালে যোগদানের সময় ব্যাংকের এ শাখায় আমানত ছিল ১৭ কোটি যা বর্তমানে ৪২ কোটিতে দাঁড়িছে। আমানত সংগ্রহে ২০১৬ সালে বিভাগে প্রথম স্থান অর্জন করেছে কুতুবদিয়া শাখা।
তাছাড়া ঋণ আদায়ের ক্ষেত্রেও ২০১৪ থেকে পর্যায়ক্রমে তিনবার বিভাগীয় পর্যায়ে ১ম স্থান অজর্ন করে ব্যাংকটি। বর্তমানে ব্যাংকটির সেবা কার্যক্রম নিয়ে কোন গ্রাহকের অভিযোগ শোনা যায়নি।
তিনি আশা করছেন, পূর্ণ জনবল নিয়েগের মাধ্যমে ১৮শ গ্রাহকের মোট তিন কোটি শ্রেণিকৃত ঋণ ( ২০১৫ সালের পূর্ববর্তী সময়ে বিতরণকৃত) আদায় হলে ব্যাংকের এ শাখাটি আরো এগিয়ে যাবে এবং সেবা কার্যক্রমও আরো গতিশীল হবে।
Posted ৭:৩৯ অপরাহ্ণ | রবিবার, ২১ মে ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta