বিশেষ প্রতিবেদক,কুতুবদিয়া(৬ আগস্ট) :: কুতুবদিয়া উপজেলার উত্তর ধুরুং,দক্ষিণ ধুরুং ও কৈয়ারবিল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়াম্যানদের বিরুদ্ধে ঈদুল ফিতর/১৭ উপলক্ষ্যে সরকারী বরাদ্দকৃত ভিজিএফ চালের পরিবর্তে “গম” বিতরণে ব্যাপক অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।
এ নিয়ে ৬ আগস্ট (রবিবার) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে আওয়ামীলীগের স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
অভিযোগগুলো করেছেন, কৈয়ারবিল ইউনিয়ন ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি মনজুর আলম বাদী হয়ে গম আত্মসাতের অভিযোগ এনে ওই ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান জালাল আহমদের বিরুদ্ধে। দক্ষিণ ধুরুং ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি,সাংগঠনিক সম্পাদক যথাক্রমে মোতাহের হোসেন,মোঃইয়াছিন ও জনৈক জাফর আলম বাদী হয়ে গম আত্মসাতের অভিযোগ করেছেন ওই ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান ছৈয়দ আহমদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে। অন্যদিকে একই অভিযোগ এনে উত্তর ধুরুং ইউপির চেয়ারম্যান জামাত নেতা আ.স.ম শাহরিয়ার চৌধুরীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড মৃত মোজাফ্ফর আহমদের পুত্র উপজেলা আওয়ামীলীগের সক্রিয় কর্মী দলিলুর রহমান।
অভিযোগ সূত্রে জনা যায়, বিগত ঈদুল ফিতর/১৭ উপলক্ষে হত-দরিদ্র ও অসহায় পরিবারকে সরকারী ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় সহায়তা প্রদানের জন্য কুতুবদিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কার্যালয়ের ১৫/০৪/২০১৭ ইং তারিখের ৫১.০১.২২৪৫.০০০.৪১.০০১.১৫.৬৭ স্মারকে কৈয়ারবিল ইউনিয়নে ১৭ টন, দক্ষিণ ধুরুং ইউনিয়নে ১৭.৫০ টন ও উত্তর ধুরুং ইউনিয়নের জন্য ২৯টন চারশত কেজি চাল বরাদ্ধ দেয়া হয়।
এসব বরাদ্দ বিতরণের জন্য উত্তর ধুরুং ইউনিয়নে ২,৯৪০টি, দক্ষিণ ধুরুং ইউনিয়নে ১,৭৫০টি এবং কৈয়ারবিল ইউনিয়নে ১,৭০০টি কার্ড বিতরণ করা হয়। প্রতিটি কার্ডের বিপরীতে ১০ কেজি করে চাল বিতরনের কথা। কিন্তু কুতুবদিয়া খাদ্য গুদামে পর্যাপ্ত পরিমাণ চাল না থাকায় তার বিপরীতে আনুপাতিক হারে গম বরাদ্ধ দেয়া হয়।
চালের বিপরীতে গমের অনুপাতে কার্ড প্রতি ১৩.২৭৫ কেজি গম দেয়ার কথা। কিন্তু প্রত্যেক কার্ডধারীকে ৮/৯ কেজি করে বিতরণ করে বাকী গম আত্মসাৎ করেছে ইউপি চেয়ারম্যান ত্রয়। আত্মসাতকৃত গমের পরিমাণের মধ্যে উত্তর ধুরুং ইউপি চেয়ারম্যান ১১ টন, দক্ষিণ ধুরুং ইউপি চেয়ারম্যান ৭ টন ও কেয়ারবিল ইউপির চেয়ারম্যান সাড়ে ৬ টন গম আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
অভিযোগের ব্যপারে কৈয়ারবিল ইউপির চেয়ারম্যান জালাল আহমদ বলেন, আমার ইউনিয়নে বিজিএফ বিতরনে কোন ধরনের দূর্নীতি ও অনিয়ম হয়নি।
একইভাবে অন্য দুই ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদ্বয়ও তাদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ মিথ্যা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন উল্লেখ করে বলেন, ভিজিএফ বিতরণে কোন ধরনের দূর্নীতি করা হয়নি। প্রত্যেক কার্ডধারীকে বালতি ওজনে সমানভাবে বিতরণ করা হয়েছে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)’র ব্যবহৃত মঠোফোনে যোগাযোগ করে পাওয়া যায়নি বলে বক্তব্য দেয়া সম্ভব হয়নি।
Posted ১০:৪১ অপরাহ্ণ | রবিবার, ০৬ আগস্ট ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta