এম.নজরুল ইসলাম,কুতুবদিয়া (২২ ডিসেম্বর) :: দেড় হাজার বছরেরও বেশী পুরনো কুতুবদিয়া দ্বীপে ১৯১৭খ্রিস্টাব্দে ব্রিটিশ কর্তৃক স্থাপিত কুতুবদিয়া থানার শতবর্ষ উদ্যাপন অনুষ্ঠান আগামী ৩০ ডিসেম্বর ২০১৭ (শনিবার)। দিনটি উপলক্ষ্যে কুতুবদিয়া উপজেলা প্রসাশন হাতে নিয়েছে নানা আয়োজনের।
যাতে থাকছে বর্ণাঢ্য র্যালি,আলোচনা সভা, মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও নাটক এবং আটশবাজির বর্ণিল আলোকউৎসব। কুতুবদিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুজন চৌধুরী জানিয়েছেন এসব তথ্য। অনুষ্ঠান উপভোগ করতে সকলকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন তিনি।
ইতিহাসের পাতা থেকে জানা যায়, ব্রিটিশ শাসনের পূর্বে কুতুবদিয়ায় তেমন কোন প্রশাসনিক বিধি-ব্যবস্থা ছিল না। ১৭৬০ সনে মীরজাফর জামাতা মীর কাশিম নবাবী লাভ করার বিনিময়ে ইংরেজদেরকে চট্টগ্রাম দিয়ে দেন। ১৭৬৩ সনে চট্টগ্রামের কালেক্টর ভ্যারেলেস্ট পর্তুগীজ ক্যাপ্টেন স্যাদারল্যান্ড এর মৃত্যুর পর তার স্ত্রী জোয়ানা ১৭৯৮ সনে কুতুবদিয়া দ্বীপে যারা বসবাস করতে আগ্রহী তাদেরকে চাষাবাদের অনুমতি প্রদান করেন। পরে ১৮২৬ সন মি.রিলিফ ধুরুং ও বড়ঘোপ এলাকার কতক অংশে জরিপ করে স্থানীয় দখলদারকেরকে বন্দোবস্তি দেন। দ্বীপের সম্পূর্ণ জরিপ কাজ শেষ হয় ১৮৩৪ সনে মি.ক্লাউডেন এর নেতৃত্বে।
মূলত কুতুবদিয়া দ্বীপটি ছিলো পার্শ্ববর্তী চকরিয়া উপজেলার একটি মৌজা। পরে ব্রিটিশরা প্রশাসনিক সুবিধার্থে মহেশখালী থানার অধিনে কুতুবদিয়া একটি পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপন করে। ১৯১৭ সনে পুলিশ ফাঁড়ি থেকে কুতুবদিয়াকে আলাদা থানা হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ১৯১৭ সালে কক্সবাজার মহকুমার ষষ্ঠ থানা হিসেবে গঠিত থানা কুতুবদিয়ায় ইউনিয়ন ছিল মাত্র দুটি। চর ধুরু,উত্তর ধুরুং, দক্ষিণ ধুরুং,আলী ফকির ডেইল,লেমশীখালী ও কৈয়ারবিল গ্রামগুলো নিয়ে ছিল ধুরুং ইউনিয়ন।
অন্যদিকে মুখবন্ধ মনোহরখালী,ঘিলাছড়ি,মগডেইল,অমজাখালী নিয়ে বড়ঘোপ ইউনিয়ন। পরে আলী আকবর ডেইল,তাবালেরচর ও খুদিয়ারটে নিয়ে আলী আকবর ডেইল ইউনিয়ন গঠিত হয়। পরবর্তীতে ধুরুং ইউনিয়ন বিভক্ত হয়ে উত্তর ধুরুং,দক্ষিণ ধুরুং,লেমশীখালী ও কৈয়ারবিল ইউনিয়ন গঠিত হয়।
১৯৮৩ সালে কুতুবদিয়া উপজেলা হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে। বর্তমানে এই উপজেলায় ইউনিয়ন রয়েছে ৬টি এবং মৌজা রয়েছে ৯টি।
Posted ১০:৫৬ অপরাহ্ণ | শুক্রবার, ২২ ডিসেম্বর ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta