কক্সবাংলা ডটকম(২২ জুন) :: হিন্দু পুরাণে, রাধা কৃষ্ণের প্রেমের গল্প কারোর অজানা নয়৷ কিন্তু সেই রাধা কৃষ্ণ যুগলবন্দীতেই নেমে এসেছিল বিচ্ছেদের সুর৷ কিন্তু কেন এই যুগলবন্দীর মধ্যে নেমে এল বিচ্ছেদের সুর? সেই বিষয়ে বিভিন্ন বিশেষজ্ঞরা বিভিন্ন মতবাদ দিয়েছেন৷ এরা ছিল চির প্রেমিক জুটি৷ যাদের আবদ্ধ করা যায়নি কোনও বৈবাহিক বন্ধনে৷
জয় বাগরি জানিয়েছেন, মধ্যযুগের শেষাংশে ভক্তি আন্দোলনের সময় রাধা-কৃষ্ণের লীলা প্রেমিক জুটির মধ্যে বহুল পরিমানে দেখা যায়৷ তখনকার সময়ের কবিরা সেই আধ্যাত্মিক সম্পর্ককে একটি বাস্তব রূপ প্রদান করে৷ বাগরি আরও জানিয়েছেন, কৃষ্ণ শ্রাবণ মাসে জন্মগ্রহণ করেছিলেন৷ তিনি ৭-১০ বছর বয়সেই গোপীদের সঙ্গে লীলায় মজেছিলেন৷ তিনি সেই সময়ই কুস্তি লড়ে চানুরাকে পরাস্ত করেন এবং ১০-২৮ বছর বয়সে মথুরায় থাকতেন এবং মথুরাকে তিনি নানান অশুভ শক্তি থেকে রক্ষা করেছেন৷
বাগরি আরও বলেন, দশ বছর বয়সেই কৃষ্ণ রাধার সঙ্গে প্রণয়ে জড়িয়ে গিয়েছিলেন এবং তার পর থেকেই সে কখনই বৃন্দাবনে ফিরে আসেননি৷ এছাড়াও তাঁর মতে, কোনও পুঁথিতেই রাধা কৃষ্ণের বিবাহ লেখা নেই৷ শুধু তাদের লীলার উল্লেখ ছাড়া৷ মথুরার নগরপতি কৃষ্ণ ছিলেন৷ বিশেষ করে, যে তুমুল সংগ্রামের মধ্য দিয়ে কৃষ্ণ আদায় করে নিয়েছিলেন রাধার প্রেম, তা সহজ ছিলনা৷ তবে, রাধা তাঁকে প্রথমে কাছে ঘেঁষতেই দেননি৷ তবে, কৃষ্ণ ছলে-বলে-কৌশলে আদায় করে নেয় রাধার প্রেম৷
হিন্দু পুরাণ অনুসারে, রাধাকে বৃন্দাবনে রেখেই কংসকে নিধন করতে মথুরা চলে যান কৃষ্ণ৷ আর ফেরননি৷ পরে একাধিক বিয়ে করেন৷ মহাভারতে যুদ্ধে ভূমিকাও নিয়েছিলেন তিনি৷ কিন্তু রাধাকে কেন বিয়ে করতে চাননি কৃষ্ণ সেই বিষয়ে তিনি মুখ খুলতে চাননি৷ এই বিষয়ে বাসুদেব বলেছিলেন, বিয়ের জন্য প্রয়োজন দুটো আলাদা স্বত্ত্বা৷ তিনি রাধিকাকে বিয়ে করবেন কী করে? তাহলে তো পীতাম্বরকে নিজের সঙ্গে নিজেকে বিয়ে করতে হয়৷ অর্থাৎ রাধা-কৃষ্ণ আসলে একটাই সত্ত্বা৷ তাঁরা একাত্মা৷
Posted ১১:৩৫ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২২ জুন ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta