কক্সবাংলা ডটকম(১৯ জুন) :: বহুমানুষের আশ্রয়স্থল ছিলেন তিনি। সুখ,দুঃখে তিনিই ছিলেন শান্তির আশ্রয় সংসারি মানুষের। স্বামী আত্মস্থানন্দের প্রয়াণে সমাপ্ত হল এক সুদীর্ঘ আধ্যাত্মিক জীবনের। যিনি ছিলেন সর্বঅর্থেই মানবতার পুজারি।
জন্ম ওপার বাংলায়। ১৯১৯ সাল। বাংলাদেশের ঢাকা শহরের কাছে সবজপুরে জন্ম স্বামী আত্মস্থানন্দের। বাবা মার দেওয়া নাম ছিল সত্যকৃষ্ণ। আধ্যাত্মিকতার আলোকে ,রামকৃষ্ণপ্রেমে তিনিই একদিন হয়ে উঠলেন স্বামী আত্মস্থানন্দ। কলেজজীবনে তিনি যুক্ত হন দিনাজপুর রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমের সঙ্গে।
১৯৩৮ সালে শ্রীরামকৃষ্ণের সন্ন্যাসী শিষ্য বিজ্ঞানানন্দের কাছে দীক্ষা নেন আত্মস্থানন্দ। ১৯৪১ সালের ৩ জানুয়ারি ২২ বছর বয়সে বেলুড় মঠে যোগ দেন।১৯৪৫ সালে ব্রহ্মচর্য গ্রহণ। ১৯৪৯ সালে সন্ন্যাস গ্রহণ। স্বামী বিজ্ঞনানন্দজীর কাছে মন্ত্র দীক্ষা নিয়ে সত্যকৃষ্ণই হন স্বামী আত্মস্থানন্দ।
২০০৭ সালের ৩ ডিসেম্বর রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের ১৫তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্বগ্রহণ করেন স্বামী আত্মস্থানন্দ।দীর্ঘ কর্মজীবনে বর্ণময় এই চরিত্রের সান্নিধ্যে যারাই এঁসেছেন তারাই তার পরম স্নেহের স্পর্শ পেয়েছেন। স্পর্শ পেয়েছেন বিশাল হূদয়ের। যে হৃদয় দিয়ে লক্ষ মানুষের মন ছুঁয়ে যেতেন এই সর্বত্যাগী সন্ন্যাসী। চরৈবেতি মন্ত্রই ছিল তাঁর জীবনের চলার মূল মন্ত্র। সেই মন্ত্রেই তাঁর অগনিত ভক্ত কূলকে সারা জীবন উদ্বুদ্ধ করে গেছেন তিনি।
Posted ১১:১৮ অপরাহ্ণ | সোমবার, ১৯ জুন ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta