সেলিম উদ্দিন,খুটাখালী(৪ জুলাই) :: কক্সবাজার চকরিয়া উপজেলার খুটাখালীতে ভারী বর্ষণ এবং উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলের কারণে খুটাখালীর ছড়ার বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে গিয়ে বিস্তীর্ণ এলাকা ২/৩ ফুট পানির নিচে তলিয়ে গেছে।
খুটাখালীর ছড়া দিয়ে ধারন ক্ষমতার অতিরিক্ত পানি প্রবাহিত হওয়ায় মঙলবার (৪জুলাই) বেড়িবাঁধের পূর্বপাড়া ও হাফেজখানা সংলগ্ন বিরাট একটি অংশ পানির প্রবল স্রোতে ভেঙ্গে গেছে।
ভাঙ্গন এলাকা দিয়ে ছড়ার বন্যার পানি অনুপ্রবেশ করায় ৬নং ওয়ার্ডের পিয়াজ্জ্যাকাটা,হরইখোলা, পূর্বপাড়া, অফিসপাড়া, নাপিতপাড়া, চড়িবিল, দরগাহপাড়া,কিশলয় স্কুল,ফরেষ্ট অফিস, ৫নং ওয়ার্ড়ের মাইজপাড়া, হাফেজখানা,দক্ষিন পাড়া,খুটাখালী উচ্চ বিদ্যালয়,৭নং ওয়ার্ড়ের জলদাশ পাড়া,উত্তর ফুলছড়ি এলাকার শত শত ঘরবাড়ী পানির নিচে তলিয়ে যায়।
উনুন জ্বালাতে না পেরে পানির নিচে তলিয়ে যাওয়া বসতবাড়ীর লোকজন বর্তমানে তীব্র খাদ্য ও পানীয় জলের সংকটে পড়েছে বলে জানিয়েছেন ইউপি চেয়ারম্যান মাওলানা আবদুর রহমান। বন্যার পানির কারণে ১নং ওয়ার্ড়ের পাগলির বিল ,ছড়াপাড়ার অবস্থা অত্যন্ত নাজুক বলেও জানান তিনি।
জলমগ্ন হয়ে পড়েছে ওই ওয়ার্ডের পাগলিরবিল ছড়াপাড়ার বেড়ীবাধ সংলগ্ন এলাকা। মহাসড়কের গ্রামীন ব্যাংক পয়েন্ট দিয়ে বন্যার পানি প্রবাহিত হওয়ার কারণে যানবাহন ও জনসাধারণের চলাচলে চরম বিঘœ সৃষ্টি হয়েছে।
৬নং ওয়ার্ড মেম্বার আনোয়ার হোসেন জানান, পানির তোড়ে ভেঙ্গে গেছে পিয়াজ্জ্রাকাটা,অফিস পাড়া, পুর্বপাড়া এলাকায় অনেকের বসত বাড়ি ও সীমানা প্রাচীরের দেয়াল এবং ভেসে গেছে বহু হাঁস-মুরগীসহ গৃহস্থালী সামগ্রী। এদিকে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকায় সরকারের পক্ষ থেকে জরুরী ভিত্তিতে ত্রাণ তৎপরতা শুরুর দাবী জানিয়েছে এলাকাবাসী।
এ ব্যাপারে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সাহেদুল ইসলামের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন। ড্রেনেজ ব্যবস্থা অকার্যকর হয়ে পড়ায় খুটাখালী বাজারের অবস্থাও অত্যন্ত নাজুক হেেয় পড়েছে।
সড়ক উপ-সড়কগুলোতে জমে আছে ময়লা পানি। তাছাড়া লামার বাজার সড়কের দক্ষিণপাড়া রাস্তার মাথা পয়েন্টটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হওয়াতে পথচারী ও যানবাহন চলাচলে চরম দুর্ভোগে পড়েছে এলাকার লোকজন। বড় বড় গর্তের কারণে সড়কটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে অনেক আগেই।
খুটাখালী বাস ষ্টেশন থেকে মহাসড়কের কিশলয় গেইট পর্যন্ত সড়কটির অবস্থা আরো নাজুক হয়ে পড়েছে। খানা খন্দকে ভরপূর ও মিনি পুকুরগুলোতে জমে থাকা ময়লা পানির ছিটায় প্রতিনিয়ত বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয় পথচারীদের। বিশেষ করে স্কুল কলেজ এবং মাদ্রাসাগামী শিক্ষার্থীদের পোহাতে হচ্ছে অবর্ষণীয় দুর্ভোগ।
অপরদিকে মেধাকচ্ছপিয়ার পাগলিরবিলে পাহাড়ী ঢলের পানিতে তলিয়ে গেছে বলে জানালেন ১নং ওয়ার্ড় আওয়ামীলীগ সভাপতি জিল্লুর রহমান। বেড়িবাধ ভেঙ্গে যাওয়ার কারনে ওই এলাকার কয়েক হাজার মানুষ কার্যত পানিবন্দী অবস্থায় জীবন যাপন করছেন। এছাড়া খুটাখালী ইউনিয়নের নি¤œাঞ্চলও অতিবর্ষণজনিত কারনে ২/৩ ফুট পানির নিচে তলিয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
এদিকে খুুটাখালী ছড়ার পিয়াজ্যাকাটা-হাফেজখানা এলাকার ভাঙ্গন শ্রীঘ্রই মেরামতের ব্যবস্থা করা না হলে কয়েকশ পরিবার নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে বলে আশংকা প্রকাশ করেছেন ওয়ার্ড মেম্বার নুরুর হক। ঐ এলাকার বিশিষ্টজনেরা অতিদ্রুত বেড়িবাধের ক্ষতিগ্রস্থ অংশটি মেরামত করার জন্য সংশি¬ষ্ঠ কতৃপক্ষের প্রতি জোর দাবী জানান।
Posted ৬:০২ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ০৪ জুলাই ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta